শেরপুর ও নালিতাবাড়ী মুক্ত দিবস

  • ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, শেরপুর
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

১৯৭১ সালের ৭ ডিসেম্বর শেরপুরের শহীদ দারোগ আলী পৌর পার্ক মাঠে মিত্রবাহিনীর সর্বাধিনায়ক জগজিৎ সিং অরোরা শেরপুরকে মুক্ত বলে ঘোষণা দেন

১৯৭১ সালের ৭ ডিসেম্বর শেরপুরের শহীদ দারোগ আলী পৌর পার্ক মাঠে মিত্রবাহিনীর সর্বাধিনায়ক জগজিৎ সিং অরোরা শেরপুরকে মুক্ত বলে ঘোষণা দেন

শেরপুর ও নালিতাবাড়ী মুক্ত দিবস ৭ ডিসেম্বর। একাত্তরের এই দিনে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীকে পরাজিত করে মিত্রবাহিনীর সহায়তায় মুক্তিযোদ্ধারা শেরপুর সদর উপজেলা ও নালিতাবাড়ী অঞ্চল শত্রুমুক্ত করে।

এদিন মিত্রবাহিনীর পূর্বাঞ্চলীয় সর্বাধিনায়ক প্রয়াত জগজিৎ সিং অরোরা শেরপুর শহীদ দারোগ আলী পৌর পার্ক মাঠে এক সংবর্ধনা সভায় শেরপুরকে মুক্ত বলে ঘোষণা দেন। এ সময় মুক্ত শেরপুরে প্রথম বাংলাদেশের পতাকা উত্তোলন করা হয়।

বিজ্ঞাপন

স্বাধীনতা যুদ্ধের দীর্ঘ ৯ মাসে বর্তমান শেরপুর জেলার বিভিন্ন অঞ্চলে ৩০ থেকে ৪০টি খণ্ডযুদ্ধ সংগঠিত হয়েছে। এসব যুদ্ধে বীরত্বের সঙ্গে লড়াই করে ৫৯ মুক্তিযোদ্ধা শহীদ হয়েছেন।

পাকিস্তানি হানাদারদের নির্মমতার শিকার হয়ে নালিতাবাড়ী উপজেলার সোহাগপুর গ্রামে ১৮৭ জন, শেরপুর সদর উপজেলার সূর্যদী গ্রামে ৫২ জন, ঝিনাইগাতী উপজেলার জগৎপুর গ্রামে ২০ জন মুক্তিকামী মানুষ শহীদ হন।

৪ ডিসেম্বর কামালপুরের ১১ নং সেক্টরের মুক্তিযোদ্ধাদের আক্রমণ ও গুলি বর্ষণের মুখে পাকিস্তানি সেনারা পিছু হটে। ৫ ডিসেম্বর থেকে সেনারা কামালপুর-বক্সিগঞ্জ থেকে শেরপুর শহর হয়ে জামালপুর অভিমুখে রওনা হয়। অবশেষে পাকসেনারা ৬ ডিসেম্বর রাতের আধারে শেরপুর শহরের উপর দিয়ে ব্রহ্মপুত্র নদ পাড়ি দিয়ে জামালপুর পিটিআই ক্যাম্পে আশ্রয় নেয়। এরপর ৭ ডিসেম্বর মুক্ত হয় শেরপুর।

মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার নুরুল ইসলাম হিরো শেরপুরে মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিবাহী স্থান, গণকবর ও বধ্যভূমিগুলো সংরক্ষণের দাবি জানিয়েছেন।