যাত্রীবাহী লঞ্চ সংঘর্ষ: অভিযান অব্যাহত, নিখোঁজ নেই দাবি র্যাবের
নারায়ণগঞ্জের ধলেশ্বরী নদীতে যাত্রীবাহী দুটি লঞ্চের মুখোমুখি সংঘর্ষের পর সকাল আটটা থেকেই ঘটনাস্থলে কোস্টগার্ড, নৌ-পুলিশ ও বিআইডব্লিউটিএ যৌথভাবে তল্লাশি অভিযান চালিয়ে যাচ্ছে। এছাড়া ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল ১২০ ফুট পানির নীচে নেমে তল্লাশি চালিয়ে যাচ্ছে। তবে এখন পর্যন্ত নদীর তীরে নিখোঁজদের সন্ধানে কোনো স্বজন আসেনি।
বিষয়টি নিশ্চিত করে নারায়ণগঞ্জ নৌ-পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ আব্দুল হাকিম জানান, বোগদাদিয়া-১৩ ও মানিকচাঁদ-৪ এর মধ্যে মুখোমুখি সংঘর্ষের ঘটনায় হুমায়ুন নামের এক যাত্রী নিহত হয়েছেন বলে খবর পাওয়া গেছে। এ দুর্ঘটনায় আহত হয়েছে আরো বেশ কয়েকজন। নিহত ও আহতদের রাজধানীর সদরঘাট নিকটবর্তী মিটফোর্ড হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। তবে ১৫ জন নিখোঁজের বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া যাচ্ছে না।
দুর্ঘটনায় নিহত হুমায়ুন ওরফে বন্দুকছি (৩৫) শরীয়তপুর জেলার ভেদেরগঞ্জ উপজেলার রামভদ্রপুর ইউনিয়নের আব্দুল হাই বন্দুকছির ছেলে।
এর আগে শনিবার (৭ ডিসেম্বর) রাত দেড়টার দিকে এ দুর্ঘটনা ঘটে। মধ্য রাতে নদীতে ঘন কুয়াশার কারণে এই দূর্ঘটনা ঘটে বলে জানান নৌ-পুলিশের এ কর্মকর্তা।
ঘটনাস্থলে থাকা র্যাব -১১ এর সহকারি পরিচালক মো: আলেপ উদ্দিন বলেন, রাত দেড়টার দিকে এই দুর্ঘটনা ঘটেছে বলে আমরা নিশ্চিত হয়েছি। আহত নিহতদের ব্যাপারে নারায়ণগঞ্জ ও মুন্সীগঞ্জের সকল নৌ-পুলিশসহ তাদের হেড কোয়ার্টারের কর্মকর্তাদের সাথে কথা বলেছি। সব মিলিয়ে একজন নিহত ও কয়েকজন আহত হয়েছেন বলে নিশ্চিত হয়েছি। তবে নিখোঁজ থাকার সংবাদটি লোকমুখে প্রচারিত হয়েছে বলে আমাদের ধারণা। তারপরও বিষয়টি আমরা পর্যবেক্ষণ করছি। কেউ নিখোঁজের খবর নিয়ে এলে আমরা উদ্ধার অভিযান চালাব।
এদিকে যাত্রীবাহি দুটি লঞ্চের মুখোমুখি সংঘর্ষের কারণ উদঘাটনের জন্য বিআইডব্লিউটিএ'র নৌ-নিরাপত্তা বিভাগের যুগ্ন-পরিচালক সাইফুল ইসলামকে প্রধান করে ৪ সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
কমিটিকে আগামী তিন দিনের ভেতর তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেয়া হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন সদরঘাট নদী-বন্দরের যুগ্ম-পরিচালক আরিফ উদ্দিন।