‘খেলা দ্রুতগতিতে আগাচ্ছে’ আইভীকে শামীম ওসমান
নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য শামীম ওসমান মেয়র সেলিনা হায়াৎ আইভীকে উদ্দেশ্য করে বলেছেন, খেলা দ্রুতগতিতে আগাচ্ছে।
তিনি বলেন, এখানে খেলবেন না। বাপ দাদা চৌদ্দগোষ্ঠীকে গালি দিতে দিতে, ধৈর্য ধরতে ধরতে আর গায়ে লাগে না। মৃত্যুর জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছি। এখানে বক্তব্য দেওয়ার কথা ছিলো না। দিলাম কারণ, যদি খেলা শুরু হয়। তাহলে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা প্রস্তুত আছে। তখন এই নারায়ণগঞ্জের মাটি আর দেখা যাবে না, খালি মাথা আর মাথা দেখা যাবে। আমি জানি সবাই প্রস্তুত আছে। ডাকলে সবাই আসবে।
শনিবার (৭ ডিসেম্বর) ফতুল্লা থানা আওয়ামী লীগের সম্মেলনে বক্তব্য দিতে গিয়ে তিনি এ কথা বলেন।
নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে আইভীর মামলায় ক্ষোভ প্রকাশ করে শামীম ওসমান বলেন, অনেক ধৈর্য ধরেছি, অনেক চুপ থেকেছি। কিন্তু আর নয়, আমি বেঁচে থাকতে আমার কর্মীর গায়ে কাউকে একটা আঁচড় দিতে দেবো না। আমি বেঁচে থাকতে যদি কেউ আমার কর্মীর গায়ে আঁচড় দেয়, আর যদি মনে করে নারায়ণগঞ্জ শান্ত থাকবে, তাহলে আপনি বোকার রাজ্যে বাস করছেন। আমার জীবন থাকতে আমার কর্মীর গায়ে আঁচড় দিয়ে এই নারায়ণগঞ্জের মাটিতে শান্তিতে এক ঘণ্টাও কেউ ঘুমাতে পারবেন না।
তিনি সবাইকে ধৈর্য ধরার আহ্বান জানিয়ে বলেন, আমি যাকে গোনায় ধরি না, সেরকম একটি মানুষ মামলা করেছে। আজকে এখানে আমার আসার কথা ছিল না। আমি মামলার আসামি। কি কারণে মামলা, কেন এই মামলা, কে করলো এই মামলা? এর ব্যাখ্যাটা সাংবাদিক ভাইয়েরাই দিবেন। নিয়াজুলকে সেদিন হত্যার চেষ্টা করা হয়েছিলো, ভিডিও ফুটেজ তার প্রমাণ। সে মামলা কী হবে না? সেদিন নিয়াজুল আসরের নামাজ পড়তে যাবে। গাড়ি নিয়ে যাচ্ছিলো। কিন্তু গাড়ি যাবে না। তাই হেঁটে যাচ্ছিল। কেউ যদি হামলা চালাতে যায় তাহলে কি একা যাবে? সেদিন কাদিরও (জেলা যুবলীগের সভাপতি) বাধা দিলো নিয়াজুলকে না মারতে। কাদিরতো আইভীর বোন জামাই। নিয়াজুল যদি আইভীকে হত্যার চেষ্টা করতো তাহলেতো সবার আগে কাদিরই তাকে মারতো।
শামীম ওসমান প্রশাসনের কর্মকর্তাদের উদ্যেশ্য করে বলেন, আপনারা তদন্ত করেন। যদি মনে করেন আমি সংসদ সদস্য তাই আমাকে ধরতে সমস্যা হবে। তাহলে এই মুহূর্তে কথা দিচ্ছি, সংসদ সদস্য পদ ছেড়ে দেব। আর আমার কারণে যদি এই ঘটনা ঘটে থাকে তাহলে মূল আসামিতো আমি। সেদিন তো আমি গিয়েছিলাম পার্টির সেক্রেটারির কথায়। তিনি বলেছিলেন, জলদি যাও, থামাও। ভাগ্য ভালো তিনি এটা বলেন নাই যে, ওবায়দুল কাদের হুকুমের আসামি। বলা যায় না, কখন জানি সেটাও বলে দেয়।
সম্মেলনে ফতুল্লা থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি এম সাইফউল্লাহ বাদলের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুল হাই, প্রধান বক্তা হিসেবে ছিলেন জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক।
এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন, মহানগর আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি চন্দন শীল, সাধারণ সম্পাদক অ্যাড. খোকন সাহা, সিদ্ধিরগঞ্জ থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি মজিবুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক হাজী ইয়াছিন মিয়া, বন্দর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক কাজিম উদ্দিন প্রধান, শহর যুবলীগের সভাপতি শাহাদাৎ হোসেন সাজনু প্রমুখ।