অ্যাপ’র মাধ্যমে ধান বিক্রি, যশোরে কৃষকের ব্যাপক সাড়া
সরকার নির্ধারিত অ্যাপ’র মাধ্যমে ন্যায্য মূল্যে ধান বিক্রির বিষয়ে ব্যাপক সাড়া দিয়েছে যশোর সদরের কৃষকরা। সরকার নির্ধারিত সময়ে প্রায় ৭ হাজার কৃষক ধান বিক্রির জন্য নিবন্ধন করেছেন। এদের মধ্যে থেকে লটারির মাধ্যমে অর্ধেক কৃষককে চূড়ান্ত করবে উপজেলা কৃষি বিভাগ।
সূত্রে জানাগেছে, চলতি আমন মৌসুমে পরীক্ষামূলকভাবে ডিজিটাল পদ্ধতিতে সরকার যশোরসহ ১৬ জেলা থেকে এই পদ্ধতিতে ধান কেনার উদ্যোগ গ্রহণ করে। যশোর সদর উপজেলা থেকে এ প্রক্রিয়ায় ধান সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা ২ হাজার ৮২৬ মেট্রিকটন।
যশোর সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা খালিদ সাইফুল্লাহ বার্তা২৪.কমকে জানান, ন্যায্যমূল্যে সরাসরি কৃষকের কাছ থেকে ধান ক্রয়ের জন্য সরকার এবার পরীক্ষামূলকভাবে ডিজিটাল পদ্ধতি গ্রহণ করে। আমন ধান সংগ্রহ করতে যশোর সদরে অ্যাপ’র মাধ্যমে ২৫ নভেম্বর থেকে ৭ ডিসেম্বর পর্যন্ত নিবন্ধন কার্যক্রম চলে। আগামী ১৫ ডিসেম্বরের মধ্যে কৃষি বিভাগ আবেদন যাচাই বাছাই করে অটোমেটিক পদ্ধতিতে লটারির মাধ্যমে কৃষক চূড়ান্ত করবে।
তিনি আরও জানান, নির্ধারিত সময়ে যশোর সদরের প্রায় ৭ হাজার কৃষক অ্যাপে নিবন্ধন করেছে। যে ইউনিয়নে যেমন ধান চাষ ও চাষি রয়েছে সেখান থেকে সেই পরিমাণ ধান সংগ্রহ করা হবে।
তিনি বলেন, ‘পদ্ধতিটি নতুন। তাই কৃষককে বিশ্বাস করানোটাই প্রধান চ্যালেঞ্জ। এতে ২ হাজার ৮২৬ চাষির কাছ থেকে ধান নেওয়া সম্ভব হবে।
সদর উপজেলার পুলেরহাট গ্রামের কৃষক আসাদ জানান, প্রথমে অ্যাপ’এ নিবন্ধনের মাধ্যমে ধান ক্রয় কিভাবে করব জানতাম না। পরে ইউনিয়ন তথ্য সেবা কেন্দ্র গিয়ে নিয়ম জেনে অ্যাপ’এ ধান বিক্রির আবেদন করি।
যশোর সদরের চুড়ামনকাটি ইউনিয়নে দায়িত্বপ্রাপ্ত উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা জহুরুল ইসলাম জানান, একেবারে নতুন এই পদ্ধতি সফল করতে তারা কর্মকর্তাদের নির্দেশ মোতাবেক কাজ করেছেন। এ জন্য কৃষক ব্যাপক সাড়া দিয়েছে। আশা করছি প্রকৃত কৃষক ধান বিক্রি করতে পারবে।
যশোর জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক মো. লিয়াকত আলী জানান, যশোর সদরের কৃষকের কাছ থেকে অ্যাপ’র মাধ্যমে ধান কেনা হবে। এজন্য নিবন্ধন শেষ হয়েছে। কৃষি বিভাগ কৃষকের আবেদন যাচাই বাছাই ও কৃষকদের চূড়ান্ত তালিকা প্রস্তুত করবে। এরপর নির্ধারিত কৃষকদের কাছ থেকে ধান সংগ্রহ করা হবে।