আ.লীগের সম্মেলন স্থগিতে লক্ষ্মীপুর জেলা সম্পাদকের হ্যাঁ, সভাপতির ‘না’

  • ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, লক্ষ্মীপুর
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

লক্ষ্মীপুর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি গোলাম ফারুক পিংকু ও সাধারণ সম্পাদক নুর উদ্দিন চৌধুরী নয়ন

লক্ষ্মীপুর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি গোলাম ফারুক পিংকু ও সাধারণ সম্পাদক নুর উদ্দিন চৌধুরী নয়ন

লক্ষ্মীপুর কমলনগর উপজেলার ৮টি ইউনিয়নের আওয়ামী লীগের সম্মেলন স্থগিত করেছেন জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক নুর উদ্দিন চৌধুরী নয়ন। তবে সম্মেলন স্থগিত করা হয়নি বলে জানিয়েছেন জেলা সভাপতি গোলাম ফারুক পিংকু। এনিয়ে তৃণমূল আওয়ামী লীগ নেতাকর্মী ও সমর্থকরা বিভ্রান্তিতে রয়েছেন।

এ কারণে শনিবার (৭ নভেম্বর) বিকেলে পূর্ব ঘোষিত উপজেলার সাহেবের হাট ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সম্মেলন করা হয়নি।

বিজ্ঞাপন

অভিযোগ উঠেছে ইউনিয়নগুলোর সম্মেলনকে ঘিরে আওয়ামী লীগের কাউন্সিলর তালিকায় নাশকতা মামলার আসামি ও বিএনপি-জামায়াতের অনুপ্রবেশকারীদের নাম রাখা হয়েছে। এছাড়াও ফরম সংগ্রহ করতে ইউনিয়নের সভাপতি-সম্পাদক প্রার্থীদের কাছ থেকে ১০ হাজার ১০০ টাকা আদায় করা হয়। এসব অভিযোগের ভিত্তিতে শনিবার সকালে আওয়ামী লীগ নেতা নুর উদ্দিন চৌধুরী নয়ন উপজেলা কমিটির সভাপতি-সম্পাদককে ৮টি ইউনিয়নের সম্মেলন স্থগিত করার নির্দেশ দেন।

এ বিষয়ে নুর উদ্দিন চৌধুরী নয়ন বলেন, এখনো কাউন্সিলরদের তালিকা প্রস্তুত হয়নি। কয়েকজন কাউন্সিলরের বিরুদ্ধে বিতর্ক রয়েছে। এজন্য ইউনিয়নগুলোর সম্মেলন স্থগিত করা হয়।

বিজ্ঞাপন

তবে আওয়ামী লীগ নেতা গোলাম ফারুক পিংকু বলেন, প্রার্থীদের কাছ থেকে ১০০ টাকা করে নেওয়ার জন্য বলা হয়েছিল। কিন্তু ১০ হাজার ১০০ টাকা করে আদায় করা হয়। এ অভিযোগে কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল-আলম হানিফ টাকা নেওয়া বন্ধ করতে বলে আমাকে ফোন করেছেন। তবে সম্মেলন স্থগিত করার জন্য কোন নির্দেশনা দেওয়া হয়নি। দুই-একদিন পর পরবর্তী সম্মেলনগুলো করার জন্য আমাদের জেলা সাধারণ সম্পাদককে বলেছি।

কমলনগর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক একেএম নুরুল আমিন রাজু বলেন, সম্মেলনের মঞ্চ ও খাবারসহ আনুসঙ্গিক খরচের জন্য প্রার্থীদের কাছ থেকে ১০ হাজার ১০০ টাকা করে নেওয়া হয়। এতে কোন অসৎ উদ্দেশ্য নেই। এ প্রেক্ষাপটে নেতাকর্মীরা বিভ্রান্তিতে রয়েছে।

জানতে চাইলে কমলনগর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি একেএম নুরুল আমিন বলেন, জেলা কমিটির সভাপতি বলেছেন, সম্মেলন স্থগিত করা হয়নি। কিন্তু সম্মেলন স্থগিত করার জন্য সাধারণ সম্পাদক আমাদেরকে নির্দেশ দিয়েছেন। এ কারণে শনিবার বিকেলে পূর্ব ঘোষিত উপজেলার সাহেবের হাট ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সম্মেলন করা হয়নি।

দলীয় সূত্র জানায়, সাহেবেরহাট, চরলরেন্স, চরমার্টিন, চরফলকন, পাটারিরহাট, হাজিরহাট, চরকাদিরা ও তোরাবগঞ্জ ইউনিয়নের সম্মেলন স্থগিত করা হয়। এর আগে শুক্রবার (৬ ডিসেম্বর) চরকালকিনি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সম্মেলন করা হয়েছে।

প্রসঙ্গত, গত ২ নভেম্বর উপজেলার তোরাবগঞ্জ ইউনিয়নের ৯টি ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের কমিটি ঘোষণা করা হয়। টাকার বিনিময়ে কমিটিগুলোর দেওয়ার অভিযোগে ৩ নভেম্বর হাজিরহাট ও ৪ নভেম্বর ফাজিল বেপারীর হাটে বিক্ষোভ মিছিল করে পদবঞ্চিতরা। এদিকে নাশকতা মামলার আসামি সুলতান আহমেদ টিপু তোরাবগঞ্জ ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি প্রার্থীর ফরম সংগ্রহ করায় আওয়ামী লীগের একটি অংশ ক্ষুব্ধ হয়ে উঠেছেন।