টেন্ডারে জালিয়াতি, লাইসেন্স কালো তালিকায়

  • ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, লক্ষ্মীপুর
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ঠিকাদার আবদুল ওয়ারেছ

ঠিকাদার আবদুল ওয়ারেছ

লক্ষ্মীপুরের রামগতিতে ট্রেড লাইসেন্স ও ঠিকাদারি লাইসেন্স জালিয়াতি করে একাধিকবার টেন্ডারে অংশ নেওয়ায় মেসার্স বাপ্পী টেডার্সকে কালো তালিকাভুক্ত করা হয়েছে।

ওই লাইসেন্সের অনুকূলে সব ধরনের কাজ ২ বছরের জন্য বাতিল করেছে রামগতি পৌর কর্তৃপক্ষ। সম্প্রতি টেন্ডারে অংশ নিতে প্রতিষ্ঠানটির স্বত্বাধিকারী আবদুল ওয়ারেছ এ জালিয়াতি করেছেন।

বিজ্ঞাপন

রোববার (৮ ডিসেম্বর) সকালে রামগতি পৌরসভা পরিষদের মাসিক সভার কার্য বিবরণীর একটি চিঠির মাধ্যমে বিষয়টি জানানো হয়।

পৌর কর্তৃপক্ষ ও মাসিক সভার কার্যবিবরণী থেকে জানা যায়, মেসার্স বাপ্পী টেডার্সের স্বত্বাধিকারী আবদুল ওয়ারেছ রামগতি পৌরসভার তালিকাভুক্ত ঠিকাদার নন। তিনি ২০১৬-১৭ (ক্রমিক নং-০৮১) অর্থ বছরে ট্রেড লাইসেন্স করেন। এরপর নবায়ন না করে পূর্বের ওই ট্রেড লাইসেন্স ঘষামাজা করে (২০১৮-১৯ অর্থ বছর, ক্রমিক নং-০৮১) টেন্ডারে অংশ নেন।

বিজ্ঞাপন

কাগজপত্রে এমন জালিয়াতি প্রমাণিত হওয়ায় টেন্ডার ইভোল্যুশন কমিটি ই-টেন্ডার নোটিশ নং-০১/২০১৮-১৯ বাতিল করে পুনরায় দরপত্র আহ্বান করে। তারিখ পাল্টালেও লাইসেন্স প্যাডের ক্রমিক নম্বর পাল্টাতে ভুলে গেছেন ঠিকাদার। তার জালিয়াতি ধরা পড়ায় পৌরসভার সাধারণ সভায় কাউন্সিলরদের সম্মতিতে মেসার্স বাপ্পী ট্রেডার্সের ট্রেড লাইসেন্স ও ঠিকাদারি লাইসেন্স কালো তালিকাভুক্ত করা হয়। একই সঙ্গে লাইসেন্সের অনুকূলে সবধরনের কার্যক্রম দুই বছরের জন্য বাতিল করা হয়েছে।

বিষয়টি চিঠির মাধ্যমে আবদুল ওয়ারেছকে জানানো হয়। কিন্তু আবারো একই ক্রমিক নম্বরের প্যাডে লাইসেন্স জালিয়াতি করে তিনি পরবর্তী টেন্ডারে অংশ নেন।

জানতে চাইলে ঠিকাদার আবদুল ওয়ারেছ বলেন, আমি লাইসেন্স নবায়নের জন্য পৌরসভা কর্তৃপক্ষের কাছে সরাসরি টাকা জমা দিয়েছি। কিন্তু তারা অস্বীকার করছে। পরবর্তীতে পে-অর্ডার করে নবায়নের টাকা ডাকযোগে পাঠিয়েছি। কিন্তু সেটিও গ্রহণ করেনি। নবায়ন ছাড়া টেন্ডারে অংশ নেওয়ার বিষয়ে কোনো সদুত্তোর দিতে পারেননি তিনি।

রামগতি পৌরসভার মেয়র এম মেজবাহ উদ্দিন বলেন, নিয়ম অনুযায়ী ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মেসার্স বাপ্পী ট্রেডার্সের লাইসেন্স নবায়নের জন্য পৌরসভা কার্যালয়ে কোন পত্র দাখিল করেন। তবে সতর্ক করা হলেও একাধিকবার জালিয়াতি করে টেন্ডারে অংশ নেওয়ায় প্রতিষ্ঠানটির লাইসেন্স কালো তালিকাভুক্ত করা হয়। ওই লাইসেন্সের অধীনে সব কার্যক্রম দুই বছরের জন্য বাতিল করা হয়েছে। এজন্য ক্ষিপ্ত হয়ে পৌরসভার বিভিন্ন কার্যক্রমের বিষয়ে আবদুল ওয়ারেছ অপ-প্রচার চালিয়ে আসছেন।