বিত্তবানরা একটু সহায়তা করলে সুস্থ হবেন আনিসুর

  • ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, নেত্রকোনা
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

আনিসুরের চিকিৎসার জন্য অর্থ সংগ্রহ করা হচ্ছে। ছবি: বার্তা২৪.কম।

আনিসুরের চিকিৎসার জন্য অর্থ সংগ্রহ করা হচ্ছে। ছবি: বার্তা২৪.কম।

নেত্রকোনার কলমাকান্দা সরকারি কলেজের দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্র হলেন আনিসুর রহমান। তিনি প্রায় চার বছর ধরে জটিল রোগে ভুগছেন। তার মেরুদণ্ড বাঁকা হয়ে গেছে। কিন্তু অর্থের অভাবে আনিসুরের চিকিৎসা করাতে পারছে না তার হতদরিদ্র পরিবার।

আনিসুরকে ভালো করতে হলে অপারেশন করাতে হবে বলে পরামর্শ দিয়েছেন চিকিৎসকরা। আর এজন্য প্রয়োজন ৫-৬ লাখ টাকা। কিন্তু এতো টাকা কীভাবে সংগ্রহ করবেন আনিসুরের দিনমজুর বাবা?

বিজ্ঞাপন

এ অবস্থায় আনিসুরকে বাঁচাতে পাশে দাঁড়িয়েছে তার কলেজের সহপাঠীরা। সহপাঠী মেহেদী হাসানের নেতৃত্বে তারা 'আলোর ছায়া' সংগঠনের ব্যানারে দলবেঁধে উপজেলা সদরের বিভিন্ন ব্যক্তি ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান থেকে চিকিৎসার জন্য অর্থ সহায়তা সংগ্রহ করে তহবিল গড়ছে। এ পর্যন্ত তারা মাত্র ৭০ হাজার টাকা সংগ্রহ করেছে।

অসুস্থ কলেজছাত্র আনিসুর রহমান জেলার কলমাকান্দা সদর ইউনিয়নের বাহাদুরকান্দা গ্রামের আব্দুল ওয়াহাবের ছেলে।

বিজ্ঞাপন

আনিসুরের সহপাঠী মেহেদী হাসান জানান, আনিসুর কলেজের ব্যবসায় শিক্ষা বিভাগের দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থী। বাবা দিনমজুর ও গৃহিণী মা সহ পাঁচ সদস্যের পরিবার তাদের। পরিবারটি অসচ্ছল হওয়ায় লাখ লাখ টাকা ব্যয় করে সন্তানের চিকিৎসা করানোটা যেন কিছুতেই সম্ভব হচ্ছে না। তাই আনিসুরের চিকিৎসা ব্যয় নির্বাহ করতে সমাজের বিত্তবান ও দানশীল ব্যক্তিদের কাছে সাহায্য কামনা করেছে পরিবারটি। এ অবস্থায় কলেজছাত্র আনিসুরের চিকিৎসার জন্য ০১৯৯৯৪৬২৮৮০ বিকাশ নম্বরে অর্থ সহায়তা পাঠাতে অনুরোধ জানিয়েছে তার পরিবার।

আনিসুরের বাবা আবদুল ওয়াহাব বলেন, চিকিৎসার জন্য আনিসুরকে প্রথমে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে সেখান থেকে তাকে ঢাকা পঙ্গু হাসপাতালে পাঠায় চিকিৎসকরা। এরপর গত আগস্ট মাসে আনিসুরকে ভারতের চেন্নাইয়ে একটি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসকরা আনিসুরকে অপারেশনের পরামর্শ দেন।

তিনি আরও জানান, ওই অপারেশন করতে খরচ হবে ৫ থেকে ৬ লাখ টাকা। আর টাকার অভাবে চিকিৎসা না করেই আনিসুরকে নিয়ে দেশে ফিরে আসেন তিনি।

এ বিষয়ে কলমাকান্দা সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ সুকুমার চন্দ্র বণিক বলেন, ‘সমাজের বিত্তবানরা একটু সহায়তা করলে আমাদের শিক্ষার্থী আনিসুর সুস্থ হয়ে উঠবে।’