বগুড়ায় ধানের বাজার নিম্নমুখী

  • স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, বগুড়া
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ধান। ছবি: বার্তা২৪.কম।

ধান। ছবি: বার্তা২৪.কম।

বগুড়ায় সরকারিভাবে আমন সংগ্রহ অভিযান শুরু হলেও বাজারে ধানের দাম কমতে শুরু করেছে। সাধারণত সরকারি খাদ্য গুদামে ধান কেনা শুরু হলে বাজারে এর দাম বৃদ্ধি পায়। কিন্তু এবারের চিত্র ভিন্ন। ধানের দাম নিম্নমুখী হওয়ার কারণ হিসেবে মজুদদারদের দুষছেন কৃষকরা।

আর খাদ্য বিভাগের কর্মকর্তারা বলছেন, মিলাররা ধান কেনা শুরু করলে দাম বাড়বে।

বিজ্ঞাপন

মঙ্গলবার (১০ ডিসেম্বর) বগুড়ার বিভিন্ন ধানের হাট ঘুরে দেখা গেছে, ৬৮০ টাকা থেকে ৭০০ টাকা মণ দরে ধান বিক্রি হচ্ছে।

কৃষকরা জানান, দুই সপ্তাহ আগেও ধানের বাজার ছিল ৭৫০ টাকা থেকে ৭৮০ টাকা। প্রতি হাটেই ধানের দাম ৫-১০ টাকা মণ প্রতি কমে যাচ্ছে।

বিজ্ঞাপন

শাজাহানপুর উপজেলার নাদুরপুকুর গ্রামের কৃষক এসএম গোলাম রব্বানী জানান, ধানের দাম কমে যাওয়ায় বর্গাচাষিরা সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন।

এদিকে বগুড়া জেলায় আমন সংগ্রহ অভিযান গত ২৪ নভেম্বর থেকে শুরু হয়েছে। ২৬ টাকা কেজি দরে ২১ হাজার ২৪৮ মেট্রিক টন ধান কিনবে খাদ্য বিভাগ। সরাসরি কৃষকের কাছ থেকে ধান কেনার জন্য জেলার ১২টি উপজেলার তিন লাখ কৃষকের মধ্যে লটারির মাধ্যমে ২১ হাজার ২৪৮ জন কৃষককে নির্বাচন করা হয়েছে। এদের প্রত্যেকের কাছ থেকে এক টন করে ধান কেনা শুরু হয়েছে। আমন সংগ্রহ অভিযান চলবে আগামী ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। কিন্তু তারপরেও বাজারে দিন দিন ধানের দাম কমতে শুরু করেছে।

এর কারণ অনুসন্ধানে জানা গেছে, মজুদদাররা অনেক আগেই কৃষকের জমি থেকে ধান কিনে নিয়েছে। এ কারণে ধান কাটার পরপরই কৃষকদের অনেকেই তাদের ধান ঘরে না তুলে মজুদদারের গোডাউনে পৌঁছে দিয়েছে। এই মজুদদাররাই তাদের গোডাউনে ধান মজুদ করে রেখেছে।

বিভিন্ন ধানের হাট ঘুরে দেখা গেছে, কৃষক ধান নিয়ে বসে থাকলেও ক্রেতার সংখ্যা একেবারেই কম। কৃষক বলছেন, ধান চাষ করে তাদেরকে লোকসান গুনতে হচ্ছে।

বগুড়া সদর উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক মনিরুল হক জানান, চাল সংগ্রহ অভিযান শুরু হলে বাজারে ধানের দাম বাড়তে শুরু করবে। মিলারদেরকে চালের লক্ষ্যমাত্রা দেয়া হলে তারা ধান কিনতে মাঠে নামবে। তখন প্রতি সপ্তাহেই ধানের দাম বাড়তে থাকবে।