অল্পের জন্য রেল দুর্ঘটনা থেকে রক্ষা!

  • ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, নাটোর
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

রেল দুর্ঘটনা থেকে রক্ষা পাওয়া ব্যক্তিগত গাড়িটি

রেল দুর্ঘটনা থেকে রক্ষা পাওয়া ব্যক্তিগত গাড়িটি

নাটোরে অল্পের জন্য দুর্ঘটনার কবল থেকে রক্ষা পেয়েছেন বিরতিহীন আন্তঃনগর ট্রেন কুড়িগ্রাম এক্সপ্রেস ও যাত্রীবাহী একটি ব্যক্তিগত গাড়ির যাত্রীরা।

ট্রেনটি রেলস্টেশন অতিক্রমকালে প্ল্যাটফর্ম সংলগ্ন শহরের চকবৈদ্যনাথ রেলগেটটি খোলা ছিল। এ সময় ব্যক্তিগত গাড়িটি লেভেল ক্রসিংয়ে ঢুকে পড়ে ভয়াবহ দুর্ঘটনায় কবলিত হতে যাচ্ছিল। দুর্ঘটনার কবলে পড়তে যাওয়া প্রাইভেটকারটিতে ছিলেন সাউথ বাংলা অ্যাগ্রিকালচার অ্যান্ড কমার্স ব্যাংকের রাজশাহী ব্রাঞ্চের ফার্স্ট ভাইস প্রেসিডেন্ট কামাল হোসেন ও তার পরিবারের সদস্যরা।

বিজ্ঞাপন

এ ঘটনায় বিক্ষুব্ধ জনতা নাটোর রেলস্টেশন মাস্টারকে অবরুদ্ধ করে বিক্ষোভ করেন। তাদের অভিযোগ, রেলস্টেশন কর্তৃপক্ষের উদাসীনতার কারণেই বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে যাচ্ছিল। এ ঘটনায় পুলিশ শিহাব নামে রেলস্টেশনের চুক্তিভিত্তিক নিয়োগপ্রাপ্ত এক কর্মচারীকে আটক করেছে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, শুক্রবার (১৩ডিসেম্বর) দুপুর পৌনে তিনটার দিকে ঢাকাগামী কুড়িগ্রাম একপ্রেক্স ট্রেনটি নাটোর রেলস্টেশন অতিক্রম করে। এ সময় স্টেশন সংলগ্ন চকবৈদ্যনাথ রেলগেটটি খোলা থাকায় সাউথ বাংলা অ্যাগ্রিকালচার অ্যান্ড কমার্স ব্যাংকের কর্মকর্তা কামাল হোসেনের পরিবারের ৬ সদস্যকে বহনকারী গাড়ি এবং কয়েকটি অটোরিকশা রেলগেটে ঢুকে পড়ে। তবে ভাগ্যক্রমে চালকদের দক্ষতায় ব্যক্তিগত গাড়িটি ও অন্যান্য যানবাহন কোনরকমে রক্ষা পায়। অল্পের জন্য ট্রেন ও ব্যক্তিগত গাড়ির সংঘর্ষ ঘটেনি বলে জানান প্রত্যক্ষদর্শীরা।

বিজ্ঞাপন

চকবৈদ্যনাথ লেভেল ক্রসিংয়ের গেটম্যান রুহুল আমিন জানান, ট্রেন আসার কোন সিগন্যাল পাননি তিনি। তাই রেলগেট বন্ধ করার কোন তৎপরতা তার ছিল না। হঠাৎ ট্রেনের শব্দ পেয়ে তিনি ঘর থেকে ছুটে বের হয়ে এসে গেট নামানোর চেষ্টা করেছেন।

ঘটনার খবর পেয়ে নাটোর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাজী জালাল উদ্দিনের নেতৃত্বে একদল পুলিশ সদস্য রেলস্টেশন এলাকায় ছুটে আসেন। এ সময় অসৌজন্যমূলক আচরণের জন্য পয়েন্টসম্যান শিহাবকে আটক করে নিয়ে যায় পুলিশ।

নাটোর রেলস্টেশনের কর্তব্যরত স্টেশন মাস্টার অশোক চক্রবর্তী দাপ্তরিক কাজে ঢাকায় অবস্থান করছেন জানিয়ে বার্তা২৪.কমকে জানান, বিষয়টি পশ্চিমাঞ্চল রেলের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবগত করা হয়েছে। ঘটনার সময় একজন চুক্তিভিত্তিক মাস্টার দায়িত্ব পালন করছিলেন। তার অসতর্কতার কারণে এ ঘটনা ঘটেছে কি না খতিয়ে দেখা হবে।