১ হাজার ৪০ টাকা মূল্যে লক্ষ্মীপুরে ধান ক্রয় শুরু
লক্ষ্মীপুরে সরকার নির্ধারিত ১ হাজার ৪০ টাকা মূল্যে (১ মণ) আমন ধান ক্রয় শুরু হয়েছে। এবার এই জেলা থেকে ৮ হাজার ২৬২ মেট্রিক টন ধান ক্রয় করবে সরকার। প্রত্যেক কৃষক ৩ মণ থেকে ১ মেট্রিক টন পর্যন্ত ধান বিক্রি করতে পারবেন।
শনিবার (১৪ ডিসেম্বর) দুপুরে সদর উপজেলা খাদ্য গুদাম কার্যালয় প্রাঙ্গণে জেলা প্রশাসক (ডিসি) অঞ্জন চন্দ্র পাল ধান ক্রয়ের উদ্বোধন করেন। সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএন) শফিকুর রিদোয়ান আরমান শাকিলের সভাপতিত্বে এতে বিশেষ অতিথি ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মোহাম্মদ সফিউজ্জামান ভূঁইয়া, সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান একেএম সালাহ উদ্দিন টিপু, জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক সাহেদ উদ্দিন আহমেদ, সদর উপজেলা খাদ্য গুদামের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. রামীম পাঠান প্রমুখ।
জেলা খাদ্য গুদাম সূত্র জানায়, এবার লক্ষ্মীপুরে মণ প্রতি ১ হাজার ৪০ টাকা মূল্যে কৃষকদের কাছ থেকে ৮ হাজার ২৬২ মেট্রিক টন ধান সংগ্রহ করা হবে। এর মধ্যে সদর থেকে ২ হাজার ২০৮ মেট্রিক টন, রায়পুর থেকে ১ হাজার ১৭৫ মেট্রিক টন, রামগঞ্জ থেকে ৩৫২ মেট্রিক টন, রামগতি থেকে ২ হাজার ৪৭৬ মেট্রিক টন, কমলনগর থেকে ২ হাজার ৫১ মেট্রিক টন ধান সংগ্রহ করা হবে। একজন কৃষক ৩ মণ থেকে ১ মেট্রিক টন পর্যন্ত ধান বিক্রি করতে পারবেন। ধান কেনার জন্য লটারির মাধ্যমে কৃষকদেরকে বাছাই করা হচ্ছে। লটারিতে যেসব কৃষকদের নাম উঠবে তারাই ধান বিক্রি করতে পারবেন। ব্যাংক হিসাবের মাধ্যমে প্রত্যেক কৃষককে টাকা পরিশোধ করা হবে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন কৃষক জানান, আউশ মৌসুমে ধান বিক্রি করতে গেলে গুদাম কর্তৃপক্ষ ভেজা বলে ফেরত পাঠায়। আবার শুকিয়ে নিয়ে যাওয়ার পরও তারা ধান কেনেনি। মূলত সিন্ডিকেটের দৌরাত্ম্যের কারণে কৃষকরা ধান বিক্রি করতে পারেনি।
লক্ষ্মীপুর জেলা প্রশাসক (ডিসি) অঞ্জন চন্দ্র পাল জানান, অনেক সময় কৃষকরা ক্ষেত থেকেই ব্যবসায়ীদের কাছে ধান বিক্রি করে দেয়। সরকার বেশি মূল্যে ধান কিনছে, সেটি তারা জানেন না। সরকারের কাছে ধান বিক্রি করতে কৃষক উদ্বুদ্ধ হলে মধ্যস্থতাকারীদের দৌরাত্ম্য আর থাকবে না। ধান কেনার বিষয়টি কৃষকদের জানাতে হবে।