'দেশকে মেধাশূন্য করতে বুদ্ধিজীবীদের হত্যা করা হয়'

  • ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, নরসিংদী
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

আলোচনা সভায় কথা বক্তব্য দিচ্ছেন শিল্পমন্ত্রী, ছবি: বার্তা২৪.কম

আলোচনা সভায় কথা বক্তব্য দিচ্ছেন শিল্পমন্ত্রী, ছবি: বার্তা২৪.কম

দেশকে মেধাশূন্য করতে বুদ্ধিজীবীদের হত্যা করা হয় বলে জানিয়েছেন শিল্পমন্ত্রী অ্যাডভোকেট নুরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ুন। শনিবার (১৪ ডিসেম্বর) শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে নরসিংদী জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।

তিনি বলেন, 'জাতিকে মেধাশূন্য করতে স্বাধীনতা বিরোধীরা ২৫ মার্চ থেকে বিজয়ের পূর্ব মুহূর্ত পর্যন্ত বাংলাদেশের প্রতিটি জেলায় শিক্ষক, সাংবাদিক, উকিল, ডাক্তার থেকে শুরু করে সকলকে হত্যা করে। হানাদার বাহিনীর নিশ্চিত পরাজয় জেনে যখন আমরা বিজয়ের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছিলাম তখন আজকের এই দিনেই তারা দেশকে মেধাশূন্য করতে হত্যাযজ্ঞ করে। ১৯৭১ সালের ১৪ ডিসেম্বর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, যাদের লেখা ও চেতনা আমাদের মুক্তিযোদ্ধাদের উজ্জীবিত করেছিল, সেই প্রথিতযশা শিক্ষকদের মিরপুর ও রায়ের বাজার বধ্যভূমিতে নিয়ে হত্যা করা হয়।'

বিজ্ঞাপন

বিজয়ের পরেও যুদ্ধ অব্যাহত রয়েছে বলে মন্ত্রী বলেন, '১৬ই ডিসেম্বরে বিজয়ের পরেও যুদ্ধ শেষ হয়ে যায়নি। কিছু কিছু আন্ত:যুদ্ধ চলছিলো। যার ফলে জহির রায়হানের মতো লোককেও আমরা খুঁজে পাইনি। স্বাধীনতা পাওয়ার পর কিছুদিন অতিবাহিত হওয়ার পর তারা আবার ৭৫এ ঘুরে দাঁড়িয়েছিল।'

নরসিংদী জেলা প্রশাসক সৈয়দা ফারহানা কাউনাইন এর সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় আরো বক্তব্যে রাখেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জাকির হাসান, সদর সিভিল সার্জন ডা. মো. হেলাল উদ্দিন, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান সফর আলী ভূইয়া, জেলা দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির সভাপতি প্রফেসর সূর্যকান্ত দাস, নরসিংদী চেম্বারের প্রেসিডেন্ট আলী হোসেন শিশির ও মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার আব্দুল মোতালিব পাঠান।

বিজ্ঞাপন

মোতাহার হোসেন অনিকের উপস্থাপনায় এসময় উপস্থিত ছিলেন, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) ইমরুল কায়েস, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) কমল কুমার ঘোষ, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট চৌধুরী আশরাফুল ইসলাম, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এ এইচ এম জামেরী হাসান, সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. শাহ আলমসহ বিভিন্ন সরকারি বেসরকারী কর্মকর্তা-কর্মচারী, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীবৃন্দ।