প্রকল্পের মেয়াদ শেষ হলেও নির্মাণ হয়নি সড়ক

  • রাকিবুল ইসলাম রাকিব, উপজেলা করেসপন্ডেন্ট, গৌরীপুর (ময়মনসিংহ)
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

মেয়াদ শেষ হলেও শেষ হয়নি রাস্তার কাজ,  ছবি: বার্তা২৪.কম

মেয়াদ শেষ হলেও শেষ হয়নি রাস্তার কাজ, ছবি: বার্তা২৪.কম

নির্মাণ কাজের মেয়াদ শেষ হওয়ার ছয় মাস পরেও ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জে ২ কিলোমিটার গ্রামীণ সড়কের নির্মাণ কাজ সম্পন্ন হয়নি। কাজ উদ্বোধনের পর ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান শুধু সড়কের মাটি খুঁড়ে কিছু বালি ফেলে নির্মাণ কাজ বন্ধ রেখেছে। এরপর থেকে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানটির আর কোনো খোঁজ নেই। এতে করে সড়কটিতে চলাচল করতে গিয়ে দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন সাধারণ জনগণ।

জানা গেছে, উপজেলার বড়হিত ইউনিয়ন পরিষদ থেকে (পস্তারি বাজার) সূর্যাবাজার পর্যন্ত প্রায় ৪ কিলোমিটার সড়ক। পৃথক দুটি প্রকল্পের মাধ্যমে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি) গ্রামীণ সড়কটি পাকা করণের উদ্যোগ নেয়। ইতোমধ্যে পস্তারি বাজার থেকে নওশুতি গ্রামের একাংশ পর্যন্ত একটি প্রকল্পের রাস্তার কাজ শেষ হয়ে গেছে। সড়কটির অন্য অংশ ২,৩৫৩ মিটার কাজ হচ্ছে ময়মনসিংহ অঞ্চল পল্লী অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্পের (এমআরআরআডিপি) প্রকল্পের মাধ্যমে।

বিজ্ঞাপন
বালি ফেলে কাজ বন্ধ করে দেওয়ায় দুর্ভোগে সাধারণ জনগণ, ছবি: বার্তা২৪.কম

১ কোটি ৭৪ লাখ টাকা ব্যয়ে সড়কটির নির্মাণ কাজ পায় মেসার্স সালমান এন্টারপ্রাইজ নামের একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। নির্মাণ কাজের তদারকিতে রয়েছে উপজেলা প্রকৌশল বিভাগ। ২০১৮ সালের ১ আগস্ট থেকে কাজ শুরু হয়ে ২০১৯ সালের ৩০ জুলাই পর্যন্ত সড়কটির নির্মাণ কাজের সময়সীমা বেঁধে দেয় কর্তৃপক্ষ। কাগজপত্রের প্রকল্পটি শেষ হওয়ার মেয়াদ ৬ মাস উত্তীর্ণ হয়ে গেছে। কিন্তু বাস্তবে সড়কের কাজ সম্পন্ন হয়নি।

সরেজমিনে খোঁজ নিয়ে দেখা গেছে, কাঁচা সড়কটির কিছু অংশে মাটি কেটে গর্ত করে (বক্স কেটে) রাখা হয়েছে। যার ফলে স্থানে স্থানে মাটি সরে গেছে। সূর্যবাজার এলাকায় সড়কের ওপর কিছু খোয়াও ফেলা হয়। কিছু কিছু অংশে ফেলা হয়েছে বালি। কিন্তু প্রকল্পটির বাস্তবায়ন এখানেই শেষ। পরবর্তীতে কাজের আর কোনো অগ্রগতি হয়নি। যার ফলে গত বর্ষা মৌসুমে চরম দুর্ভোগের শিকার হন পস্তারী, জুগিয়াখালী, পুরাহাতা ও বড়হিত গ্রামের বাসিন্দারা।

বিজ্ঞাপন
মাটি খোঁড়ায় সরু হয়ে গেছে রাস্তা, ছবি: বার্তা২৪.কম

পস্তারী গ্রামের দেলোয়ার হোসেন বার্তা২৪.কমকে বলেন, 'রাস্তার মাটি কেটে তাদের বিপদের মধ্যে ফেলা হয়েছে। বর্ষা মৌসুমের তাদের চরম কষ্ট হয়েছে। দ্রুত সড়কটির নির্মাণ কাজ শেষে করে দুর্ভোগ থেকে এলাকাবাসীকে মুক্তি দেওয়া হোক।'

এ বিষয়ে জানতে চাইলে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মেসার্স সালমান এন্টারপ্রাইজের মালিক মো. উজ্জল সাংবাদিকদের বলেন, 'অন্য দিকে কাজ থাকায় এবং ফান্ড না থাকায় রাস্তার কাজ শেষ করতে পারেনি। কাজের সময়সীমা বাড়ানো হয়েছে। দ্রুত কাজ শুরু হবে।'

তিনি বার্তা২৪.কমের সাংবাদিককে উদ্দেশ্যে করে বলেন, 'দুনিয়ার অন্য কাজ রেখে রাস্তা নিয়ে কেন পড়লেন?'

প্রকল্পটির অগ্রগতির বিষয়ে উপজেলা প্রকৌশলী (এলজিইডি) তৌহিদ আহমেদকে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি বলেন, 'ঠিকাদার বলেছে বৃষ্টি ও ভালো মালামাল না পাওয়ার কারণে সড়কের নির্মাণ কাজ বিলম্ব হয়েছে। বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। কাজের সময়সীমা শেষ হয়ে গেলেও তা বাড়ানো হয়ে থাকতে পারে।'