নাটোরের ৪৬ রাজাকারের নাম প্রকাশ



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, নাটোর
সিংড়া স্মৃতিসৌধ, ছবি: বার্তা২৪.কম

সিংড়া স্মৃতিসৌধ, ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

বাংলাদেশের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো মহান মুক্তিযুদ্ধে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর সহায়তাকরী এদেশীয় দোসর রাজাকারদের আংশিক নাম প্রকাশ করেছে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়।

প্রথম দফায় প্রকাশিত ১০ হাজার ৭৮৯ রাজাকারের নামের তালিকায় তৎকালীন রাজশাহী বিভাগের নাটোর মহকুমার ৪৬ জন রাজাকারের কথা উল্লেখ করা হয়েছে। তারা স্বাধীনতার বিরোধিতা করে পাক বাহিনীকে প্রত্যক্ষভাবে সহায়তা করেছিলেন। এর মধ্যে নাটোর সদরের তিনজন, গুরুদাসপুর উপজেলার তিনজন, নলডাঙ্গা উপজেলার ছয়জন এবং সিংড়ার ৩৪ জন রাজাকার রয়েছেন। প্রকাশিত তালিকানুসারে তৎকালীন নাটোর মহকুমার সিংড়া এলাকায় রাজাকারের সংখ্যা সবচেয়ে বেশি।

রোববার (১৫ ডিসেম্বর) প্রথম দফায় প্রকাশিত তালিকায় সিংড়ার রাজাকারদের নাম বেশি আসার যৌক্তিকতা তুলে ধরেছেন মুক্তিযোদ্ধারা।

তৎকালীন নাটোর মহকুমার দুর্গম সিংড়া এলাকায় রাজাকারদের তৎপরতা সবচেয়ে বেশি ছিল। অন্যদিকে বিল ও ঘন বন-জঙ্গল পরিবেষ্টিত সিংড়া ছিল মুক্তিবাহিনীর সদস্যদের ডেরা। মূলত সিংড়া থেকেই নাটোরসহ পার্শ্ববর্তী এলাকাগুলোতে অপারেশন পরিচালনা করতেন মুক্তিযোদ্ধারা।

সিংড়া উপজেলার ৩৪ জন রাজাকর হলেন-হাতিয়ান্দহ ইউনিয়নের বড়সাঐলের কফিল উদ্দিনের ছেলে আবদুল খালেক, নুরপুরের ইয়াকুব আলীর ছেলে জসীম সরকার, হাটকদমতুলি এলাকার সাবিল উদ্দিনের ছেলে ইসমাইল হোসেন সরদার, কদমতুলি এলাকার ইমান শাহের ছেলে মহসীন আলী, দবীর উদ্দীন সরকারের ছেলে আবদুল কাদের সরকার, মতিউর রহমানের ছেলে মুহাত আলী মাস্টার, সিংড়া উপজেলার দমদমা এলাকার মুন্সী রহিম উদ্দিন ছেলে রেজা মুন্সি, খয়রুদ্দীনের ছেলে এরশাদ, রহমান আলী মোল্লার ছেলে জাবের আলী মোল্লা, খয়ের সরকারের ছেলে নিজাম সরদার, গোপালের ছেলে চন্দন আলী, রমজান আলী সরদারের ছেলে রওশন আলী সরদার, চৌগ্রামের তোসীর উদ্দিনের ছেলে মোজাফর হোসেন, রহমত উল্লাহর ছেলে মুজিবর রহমান, পরান উদ্দিনের ছেলে মফিজ উদ্দিন, বড়সাঐলের নজরুল ইসলাম, বোয়ালিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শাহাদত হোসাইন, কলমের সাবেক চেয়ারম্যান আইয়ুব আলী, কলমপুন্ডরি গ্রামের সায়েমের ছেলে নাসির উদ্দীন, ইয়াসিন প্রামাণিকের ছেলে সোলেমান আলী, কানপুর গ্রামের নবীর উদ্দিন, বাজনপাড়া এলাকার লাল মিয়ার ছেলে হাজের আলী, পাকুরিয়া গ্রামের নাসির আলী, রমজান আলীর ছেলে ওসমান আলী ফকির, বাসিরুদ্দিনের ছেলে ময়েজ উদ্দিন, বেগু ফকিরের ছেলে মেছের ফকির, হাঁসপুকুরিয়া গ্রামের হারান আলীর ছেলে জালাল উদ্দিন, হাট সিংড়ার জলিলের ছেলে আবু বকর ছিদ্দিক, ওমর আলীর ছেলে আব্দুর রাজ্জাক, রমজান খানের ছেলে আব্দুর রাজ্জাক খান, চৌগ্রামের ফজলুর রহমানের ছেলে মাহমুদুল আলম, বানশার গ্রামের আয়েজ প্রামাণিকের ছেলে আজিজ প্রামাণিক, মধু খানের ছেলে আয়েজ উদ্দিন খান, সাবেক চেয়ারম্যান মাওলা বক্সের ছেলে আজিজুল হক, ভুলবাড়িয়া গ্রামের আজীম উদ্দিন।

নাটোরের গণকবর, ছবি: বার্তা২৪.কম

এছাড়া নাটোর সদরের তিন রাজাকার হলেন- জংলি এলাকার সোলেমান মুন্সী, আবুল কাসেম খান চৌধুরীর ছেলে আব্দুস সাত্তার খান চৌধুরী মধু মিয়া এবং দিঘাপতিয়া এলাকার পোস্ট মাস্টার হাফিজুর রহমান।

এছাড়া নলডাঙ্গা উপজেলার ছয় রাজাকার হলেন বহ্মপুরের হামেদ আলী মোল্লা, সবুর মোল্লা, মোজাহার আলী, আবেদ আলী মোল্লা এবং সামছুল মোল্লা।

গুরুদাসপুর উপজেলার নাজিরপুরের ডা. আব্দুল মজিদ, হাফেজ পেশোয়ারীর ছেলে শের-ই-মুহাম্মাদ ও পোসশান সরকারের ছেলে কাসেম আলী সরকার।

প্রসঙ্গত, নাটোর ছিল পাক হানাদারদের দুই নম্বর সামরিক হেডকোয়ার্টার। নাটোর থেকেই দেশের উত্তর ও দক্ষিণাঞ্চলের যুদ্ধ পরিচালনা করত পাকিস্তান বাহিনী। মুক্তিযুদ্ধে নাটোরে বড় ধরনের কোনো লড়াই না হলেও একাধিক স্থানে চালানো হয় গণহত্যা। তবে ১৯৭১ সালের ৩০ মার্চ লালপুর উপজেলার দুর্গম ময়না গ্রামে পাকিস্তান বাহিনীর সঙ্গে মুক্তিকামী জনতার সম্মুখযুদ্ধ হয়, যা ছিল তৎকালীন সময়ে দেশের প্রথম প্রতিরোধ যুদ্ধ। মুক্তিযুদ্ধের নয় মাস হানাদার ও তাদের দোসর রাজাকারদের প্রত্যক্ষ সহায়তায় নাটোর সদর উপজেলার ফুলবাগান, ছাতনী, দত্তপাড়া, মোহনপুর, লালবাজার, কাপুড়িয়াপট্টি, শুকলপট্ট, মল্লিকহাটি, বড়াইগ্রামের বনপাড়া ক্যাথলিক মিশন, গুরুদাসপুরের নাড়িবাড়ি, সিংড়ার হাতিয়ান্দহ, কলম এবং লালপুর উপজেলার গোপালপুরের নর্থ বেঙ্গল সুগার মিল চত্বরে গণহত্যা চালায়।

১৯৭১ সালের ১৬ই ডিসেম্বর দেশ স্বাধীন হলেও নাটোর শহর শত্রুমুক্ত হয় ২১ ডিসেম্বর ১৯৭১।

   

গড়াই নদীতে ডুবে যুবকের মৃত্যু



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুষ্টিয়া
ছবি প্রতীকী

ছবি প্রতীকী

  • Font increase
  • Font Decrease

কুষ্টিয়ার খোকসায় গড়াই নদীতে ডুবে সুমন (২০) নামে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে।

রোববার (৫ এপ্রিল) বিকেলে খোকসা উপজেলার গনেশপুর অংশে গড়াই নদী থেকে মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

মৃত সুমন কুমারখালী উপজেলার রাজাপুর গ্রামের নিজাম উদ্দিনের ছেলে।

খোকসা ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের ফায়ারম্যান হাবিবুর রহমান জানান, সকালের দিকে গড়াই নদীতে মাছ ধরতে যান সুমন। মাছ ধরার এক পর্যায়ে নদীতে ডুবে যান তিনি। বিকেলের দিকে স্থানীয়দের সহায়তায় তার মরদেহ উদ্ধার করে ফায়ার সার্ভিস।

;

কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে বজ্রপাতে কিশোরের মৃত্যু



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুমিল্লা
প্রতীকী ছবি

প্রতীকী ছবি

  • Font increase
  • Font Decrease

কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে ফুটবল খেলার সময় বজ্রপাতে সাফায়েত হোসেন (১৯) নামে একজনের মৃত্যু হয়েছে। এ সময় সালাউদ্দিন (২২) নামের আরেক যুবক গুরুতর আহত হন।

রোববার (৫ এপ্রিল) এই বিকেলে এই ঘটনা ঘটে। তাদের উদ্ধার করে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে লাকসামের একটি ক্লিনিকে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ওই কিশোরকে মৃত ঘোষণা করেন।

স্থানীয় সূত্র জানায়, উপজেলার আদ্রা দক্ষিণ ইউনিয়নের আটিয়াবাড়ি দক্ষিণপাড়া স্কুল বাড়ির আবদুল আউয়ালের ছেলে সাফায়াত হোসেন এদিন বিকেলে সহপাঠীদের সাথে পার্শ্ববর্তী ঘোড়াময়দান গ্রামের একটি মাঠে ফুটবল খেলতে যায়। বিকাল ৫টার দিকে খেলা চলা অবস্থায় আকস্মিক বজ্রপাতে সাফায়েতের পুরো শরীর ঝলসে যায়। তাৎক্ষনিকভাবে তাকে উদ্ধার করে লাকসামের একটি ক্লিনিকে নেয়া হলে সন্ধ্যায় কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

এছাড়া বজ্রপাতে ওই ঘোড়াময়দান গ্রামের নুরুল হকের ছেলে সালাউদ্দিন (২২) গুরুতর আহত হয়ে স্থানীয় একটি ক্লিনিকে চিকিৎসাধীন রয়েছে।

স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আবদুল ওহাব ঘটনার এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

;

লক্ষ্মী ভাইয়েরা বাসায় যান, নিজেসহ দেশকে বাঁচান



নাহিদ রেজা, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঠাকুরগাঁও
ওসি তানভিরুল ইসলাম।

ওসি তানভিরুল ইসলাম।

  • Font increase
  • Font Decrease

আমার লক্ষ্মী ভাইয়েরা দয়া করে বাইরে ঘোরাঘুরি না করে বাসায় যান। নিজে বাঁচেন, পরিবারকে বাঁচান, দেশকে বাঁচান। সচেতন হোন।

ঠিক এসব কথা বলে করোনাভাইরাস প্রতিরোধে জনগণকে সচেতন করছেন ঠাকুরগাঁও সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তানভিরুল ইসলাম। মাঠ পর্যায়ে গিয়ে এভাবে সচেতন করায় সাধুবাদ জানিয়েছে সাধারণ মানুষ।

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার রহিমানপুর ইউনিয়নের রেজাউল ইসলাম বলেন, ‘আমি ওষুধ কেনার জন্য স্থানীয় বাজারে এসেছিলাম। কিছুক্ষণ পর থানার একটি গাড়ি বাজারের সামনে এসে দাঁড়ায় এবং ওসি তানভিরুল সবাইকে বাসায় থাকার জন্য অনুরোধ করেন। এর আগে কখনো জনগণের সঙ্গে পুলিশের এমন ভালো আচরণ দেখি নাই।’

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার চৌড়াস্তা মোড়ে কথা হয় জয়নাল নামে এক পথচারীর সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘আমাদের জেলার পুলিশ সাধারণ জনগণের সঙ্গে ভালো ব্যবহার করছে। তাদের ভাই বলে বাসায় ফিরে যাওয়ার জন্য অনুরোধ করছে। ওসিসহ পুলিশের সদস্যরা নিজেদের কথা চিন্তা না করে আমাদের জন্য এ কাজটি করে যাচ্ছেন। তাদের ধন্যবাদ জানাই।’

স্থানীয় সাহাদত হোসেন নামে একজন বলেন,‘তানভিরুল ভাই একজন মানবিক পুলিশ অফিসার। তার জন্য শুভকামনা ও দোয়া রইল।’

ঠাকুরগাঁও সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তানভিরুল ইসলাম বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘করোনাভাইরাস নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। এ ভাইরাস প্রতিরোধে আমাদের সবাইকে সচেতন হতে হবে। সরকার যেসব দিক নির্দেশনা দিয়েছে সেগুলো মেনে চলতে হবে। জনগণের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার না করে তাদের সচেতন করা হচ্ছে। এতে কাজও হচ্ছে।’

;

ডিবি পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই, যুবক গ্রেফতার



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, নীলফামারী
গ্রেফতার আবেদ আলী।

গ্রেফতার আবেদ আলী।

  • Font increase
  • Font Decrease

নীলফামারীতে গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) উপপরিদর্শক পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই করার অপরাধে আবেদ আলী (২৮) নামে এক যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

রোববার (৫ এপ্রিল) বিকেলে নীলফামারী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমিনুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

আবেদ আলী সৈয়দপুর উপজেলার কাশিরাম বেলপুকুর ইউনিয়নের চওড়া গ্রামের খয়রাত হোসেনের ছেলে।

জানা গেছে, শনিবার (৪ এপ্রিল) দুপুরে জেলা সদরের কুন্দপুকুর ইউনিয়নের আঙ্গারপাড়া গ্রামে মোকছেদুল ইসলামসহ কয়েক যুবক মোবাইলে ভিডিও গেম খেলছিলেন। এ সময় আবেদ আলী নিজেকে সৈয়দপুর থানার ডিবি পুলিশের উপপরিদর্শক পরিচয় দিয়ে ওই যুবকদের কাছ থেকে মোবাইলটি নিয়ে যান। পরে এ বিষয়ে মোবাইলের মালিক মোকছেদুল ইসলাম সদর থানায় অভিযোগ করেন।

এরপর রোববার ভোরে আবেদ আলীর বাড়িতে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করা হয়। ওই সময় তার কাছ থেকে ছিনতাই কাজে ব্যবহৃত একটি খেলনা পিস্তল ও ওয়্যারলেস সেট, একাধিক মোবাইল সিম এবং দুটি পরিচয়পত্র জব্দ করে পুলিশ।

নীলফামারী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমিনুল ইসলাম জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ডিবি পুলিশের ভুয়া পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই করার সত্যতা স্বীকার করেছেন আবেদ আলী। এ ঘটনায় মামলা দায়ের করার পর আদালতের মাধ্যমে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

;