সেতু নেই, দুর্ভোগে ৭ গ্রামের বাসিন্দারা

  • রাকিবুল ইসলাম রাকিব, উপজেলা করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, গৌরীপুর (ময়মনসিংহ)
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

সাঁকোর প্রশস্ততা কম হওয়ায় শিক্ষার্থীরা তাদের সাইকেল কাঁধে নিয়ে নদী পার হয়ে বিদ্যালয়ে যাচ্ছে। ছবি: বার্তা২৪.কম

সাঁকোর প্রশস্ততা কম হওয়ায় শিক্ষার্থীরা তাদের সাইকেল কাঁধে নিয়ে নদী পার হয়ে বিদ্যালয়ে যাচ্ছে। ছবি: বার্তা২৪.কম

ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জের কাঁচামাটিয়া নদীর ওপর পাকা সেতু না থাকায় দুর্ভোগ পোহাচ্ছে সাত গ্রামের বাসিন্দারা। সেতুর অভাবে প্রতিদিন গ্রামের বাসিন্দা ও শিক্ষার্থীরা ঝুঁকি নিয়ে বাঁশের সাঁকো দিয়ে নদী পার হচ্ছে। কিন্তু সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ সেতু নির্মাণে কোনো উদ্যোগ গ্রহণ করছে না বলে অভিযোগ গ্রামবাসীর।

উপজেলার সবজি ভান্ডার খ্যাত রাজিবপুর ও উচাখিলা এই দুই ইউনিয়নের কোল ঘেঁষে বয়ে গেছে কাঁচামাটিয়া নদী। কিন্তু নদীর উপর সেতু না থাকায় খুলিয়ারচর, মাছুয়াডাঙা, যাদুয়ারচর, বিষ্ণুপুর, ভাটিরচর, কুডেরচর ও উজানচর এই সাত গ্রামের বাসিন্দা ও শিক্ষার্থীদের বাঁশের সাঁকো দিয়ে ঝুঁকি নিয়ে নদী পার হতে হয়।

বিজ্ঞাপন

এই অবস্থায় নদীর উপর পাকা সেতু না থাকায় গ্রামবাসীর দীর্ঘদিনের দুর্ভোগের বিষয়টি নিয়ে ২০১৬ সালে গণমাধ্যমে খবর প্রকাশের পর বিষয়টি প্রশাসনের নজরে আসে। এরপর তৎকালীন উপজেলা নির্বাহী অফিসার রাজীব কুমার সরকার নদীর পাড় পরিদর্শন করে সেতু নির্মাণের আশ্বাস দেন। পরে সেতু নির্মাণের জন্য জায়গা পরিমাপ ও মাটি পরীক্ষা করে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে প্রস্তাব পাঠায় স্থানীয় প্রকৌশল বিভাগ। কিন্তু দীর্ঘদিন পার হয়ে গেলেও বাঁশের সাঁকোর স্থলে সেতু নির্মাণের কাজের কোনো অগ্রগতি নেই। সেতুটি আদৌ হবে কিনা এমন শঙ্কায় রয়েছে গ্রামবাসীরা।

সরেজমিনে খোঁজ নিয়ে দেখা গেছে, উচাখিলা মধুপুর সড়ক থেকে গ্রামবাসী ও শিক্ষার্থীরা ঝুঁকি নিয়ে বাঁশের সাঁকো দিয়ে নদী পার হচ্ছে। সাঁকোর প্রশস্ততা কম হওয়ায় শিক্ষার্থীরা তাদের সাইকেল কাঁধে নিয়ে নদী পার হয়ে বিদ্যালয়ে যাচ্ছে। কৃষকরা বাজারজাত করার জন্য সবজির বোঝা মাথায় নিয়ে বাঁশের সাঁকো দিয়ে নদী পার হচ্ছে। অসতর্কতাবশত পা ফসকে গেলেই ঘটতে পারে বড় কোনো দুর্ঘটনা।

বিজ্ঞাপন

রাজিবপুর ইউনিয়নের বাসিন্দা আবু সাঈদ জানান, কিছুদিন পরপর লোকজন এসে সেতু নির্মাণের জন্য জায়গা মেপে যায়। কিন্তু সেতু আর নির্মাণ হয় না। সেতু না থাকায় গ্রামের বাসিন্দারা খুব কষ্টে আছে। ক্ষেত থেকে উৎপাদিত সবজির বোঝা মাথায় নিয়ে নদী পার হতে অনেক কষ্ট হয়।

ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলার উপ-সহকারী প্রকৌশলী (এলজিইডি) মো. গোলাম মোস্তফা জানান, বাঁশের সাঁকোর স্থলে পাকা সেতু নির্মাণের জন্য কয়েক দফা মেপে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে প্রস্তাব পাঠানো হয়েছিল। সয়েল টেস্টও করা হয়েছিল। কিন্তু অনুমোদন না হওয়ায় সেতুটি হচ্ছে না।