‘মারমেইড নিয়ে মিথ্যা-বানোয়াট অপপ্রচার’

  • স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কক্সবাজার
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

মারমেইড বিচ রিসোর্ট

মারমেইড বিচ রিসোর্ট

কক্সবাজারের রামুতে এক বিদেশি নারীকে ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগে একটি রিসোর্টের মালিকের ভাইসহ দুজনকে আটক করেছে পুলিশ। ঘটনাটি কক্সবাজার-টেকনাফ মেরিন ড্রাইভ সড়কের পেঁচারদ্বীপ সৈকতের ‘গুডভাইভ’ কটেজে ঘটেছে।

তবে বিভিন্ন জাতীয় দৈনিক ও কয়েকটি অনলাইন সংবাদমাধ্যম ঘটনাটি রামু উপজেলার পেঁচারদ্বীপ এলাকার মারমেইড বিচ রিসোর্টে ঘটেছে বলে সংবাদ প্রকাশ করেছে।

বিজ্ঞাপন

এমন খবরকে মিথ্যা ও বানোয়াট এবং দুঃখজনক বলে দাবি করেছে মারমেইড বিচ রিসোর্ট কর্তৃপক্ষ।

মঙ্গলবার (১৭ ডিসেম্বর) খবরটিকে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ও অপপ্রচার দাবি করে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তি পাঠিয়েছে রিসোর্ট কর্তৃপক্ষ।

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, “কক্সবাজার-টেকনাফ মেরিন ড্রাইভ সড়কের পেঁচারদ্বীপ সৈকতের ‘গুডভাইভ’ কটেজে অস্ট্রেলিয়া থেকে ভ্রমণে আসা এক তরুণীকে ধর্ষণের চেষ্টা হয়েছে। এ ঘটনায় পুলিশ ওই কটেজের মালিকসহ তিনজনকে আটক করেছে। পুলিশ বাদী হয়ে রামু থানায় মামলাও দায়ের করেছে।

অথচ গত ১৭ ডিসেম্বর সকাল থেকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক, টেলিভিশন চ্যানেল ও বিভিন্ন অনলাইন পোর্টালে প্রচার হয়েছে মারমেইড বিচ রিসোর্টে অস্ট্রেলিয়া থেকে আগত তরুণীকে ধর্ষণের চেষ্টা চালানো হয়েছে। এ ঘটনায় মারমেইডের মালিকসহ কয়েকজনকে নাকি আটক করা হয়েছে। এটা মারমেইডের বিরুদ্ধে মহল বিশেষের পরিকল্পিত অপপ্রচার বলে সন্দেহ করা হচ্ছে।”

বিজ্ঞপ্তিতে আর বলা হয়, “প্রকৃত ঘটনা হচ্ছে, ঘটনার সাথে মারমেইড রিসোর্ট কোনভাবে জড়িত না। গুডভাইভ কটেজটি মারমেইড থেকে প্রায় দেড় কিলোমিটার দূরে। বিদেশি তরুণীর নিরাপত্তাজনিত অবহেলার দায়ে কটেজ মালিককেও আটক করেছে পুলিশ। অথচ সঠিক তথ্য যাচাই-বাছাই না করে বিভিন্ন গণমাধ্যমে মারমেইডের মতো একটি প্রতিষ্ঠিত ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে মিথ্যা তথ্য দিয়ে অপপ্রচার চালানো হয়েছে। যা দুঃখজনক।

বিশেষত মারমেইড রিসোর্টের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আনিসুল হক চৌধুরী সোহাগ চিকিৎসাজনিত কারণে বিগত চার মাস ধরে বিদেশে অবস্থান করছেন। তা সত্ত্বেও বিভিন্ন প্রচার মাধ্যমে বিদেশি তরুণীকে ধর্ষণচেষ্টার ঘটনায় আনিসুল হক চৌধুরী সোহাগকেও গ্রেফতার করা হয়েছে বলে অপপ্রচার চালানো হয়। এতে কাউকে বিভ্রান্ত না হওয়ার অনুরোধ জানানো হচ্ছে।

প্রকৃতপক্ষে মারমেইড কর্তৃপক্ষ দেশি-বিদেশি পর্যটকদের নিরাপদ সেবা দিয়ে আসছে। পুরো রিসোর্টে পর্যটকদের জন্য রয়েছে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা। এ কারণে অধিকাংশ বিদেশি পর্যটকের প্রিয় ঠিকানা এখন মারমেইড। খাবারের বৈচিত্র্য, গুণগতমান ধরে রেখে মারমেইড কর্তৃপক্ষ কক্সবাজারের পর্যটন সেক্টরকে বিশ্ববাসীর কাছে তুলে ধরছে। পাশাপাশি স্থানীয় জনগোষ্ঠীর বিপুল তরুণ-যুবককে প্রশিক্ষণের মাধ্যমে কর্মসংস্থানের সুযোগ করে দিচ্ছে। এ কারণে মারমেইড অনেকের কাছে ঈর্ষার কারণও হতে পারে।”

মারমেইড কর্তৃপক্ষ বিজ্ঞপ্তি বলেছে, “আমরা কক্সবাজারের সাংবাদিক ও গণমাধ্যমকে সম্মানের দৃষ্টিতে দেখি। আমাদের খারাপ কিছু দেখলে সমালোচনা অবশ্যই হবে। কিন্তু মিথ্যা ঘটনায় মারমেইডকে জড়িয়ে অপপ্রচার করা হলে সাংবাদিকতার মান নিয়ে যেমন প্রশ্ন ওঠে, তেমনি প্রতিষ্ঠিত একটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের ভাবমূর্তিও ক্ষুণ্ণ হয়। যা কখনোই কাম্য নয়। এ ব্যাপারে আমরা সংশ্লিষ্ট সকলের সহযোগিতা আশা করছি।”