বগুড়ায় আলু ও বীজতলা নিয়ে দুশ্চিন্তায় কৃষক
বগুড়ায় সূর্যের দেখা নাই গত চার দিন ধরে। এ কারণে আলু এবং বীজতলা নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়েছেন কৃষক। আবহাওয়া অফিস বলছে অবস্থার উন্নতি হতে আরো কয়দিন সময় লাগবে। এদিকে কৃষি বিভাগ বলছে এমন অবস্থা চলতে থাকলে আলুর লেট ব্লাইড এবং বীজতলা কোল্ড ইনজুরিতে আক্রান্ত হবে।
রোববার (২২ ডিসেম্বর) সকাল থেকে শীতের তীব্রতা কমলেও বেড়েছে কুয়াশা। আবার বেলা বাড়ার সাথে সাথে কুয়াশা কিছুটা কমলেও দেখা নাই সূর্যের। তাপ না পেয়ে ক্ষতির মুখে পড়ছে বীজতলা এবং আলু গাছ। ইতিমধ্যেই অনেক স্থানে বীজতলা হলুদ হতে শুরু করেছে। আলুর জমিতে গাছ কুঁকড়ে যাচ্ছে। কৃষকরা বলছে এখন পুরো আলুর মৌসুম চলছে। যারা দেরিতে আলু চাষ করেছেন ঘন কুয়াশার কারণে তারাই ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে বেশি।
বগুড়া সদরের চকঝপু গ্রামের কৃষক আমজাদ হোসেন বলেন, দেড় বিঘা জমিতে লাগানো আলু আর দুই সপ্তাহ পর পরিপূর্ণ হবে। কিন্তু গত চারদিনের ঘন কুয়াশায় আলু গাছের পাতা কুঁকড়ে যাচ্ছে। এ অবস্থা আরো কয়েকদিন থাকলে গাছের গোঁড়ায় পচন ধরবে। ফলে মাটির নীচে থাকা আলুতে দাগ দেখা দিবে।
গাবতলির মড়িয়া গ্রামের কৃষক হোসেন আলী বলেন, গ্রামের অধিকাংশ বীজতলায় চারা গাছ হলুদ হতে শুরু করেছে।
এদিকে কৃষি বিভাগের উপ-সহকারি কৃষি কর্মকর্তা আব্দুল আজিজ বার্তা২৪.কমকে বলেন, এখনো তেমন ক্ষতি হয়নি। সূর্যের তাপ পেলে আলুর গাছ ও বীজতলা ঠিক হয়ে যাবে। তবে আর কয়েকদিন এ অবস্থা থাকলে আলু এবং বীজতলার ব্যাপক ক্ষতি হবে।
বগুড়া আবহাওয়া অফিসের কর্মকর্তা সজীব হোসাইন বার্তা২৪.কমকে বলেন, শীতের তীব্রতা কমলেও অবস্থার উন্নতি হতে আরো কদিন সময় লাগবে। আগামী ২৫ ডিসেম্বর থেকে আবহাওয়ার আরো অবনতি হবে। এ সময় মাঝারি শৈতপ্রবাহের সাথে হালকা বৃষ্টি ও বৃষ্টির মত কুয়াশাও ঝড়বে বলে জানান তিনি।