সুমনা হত্যা: শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ অব্যাহত, স্মারকলিপি প্রদান
তৃতীয় শ্রেণীর শিশু শিক্ষার্থী সুমনা হকের হত্যার বিচারের দাবিতে তৃতীয় দিনের মতো সড়কে বিক্ষোভ মিছিল অব্যাহত রেখেছে ঠাকুরগাঁও জেলার বিভিন্ন স্কুলের শিক্ষার্থীরা।
রোববার (২২ ডিসেম্বর) দুপুরে জেলার বড় মাঠ প্রাঙ্গণ থেকে ঠাকুরগাঁও সরকারি বালিকা ও বালক উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করে। মিছিলটি শহরের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে ঠাকুরগাঁও জর্জ কোর্ট প্রাঙ্গণে গিয়ে শেষ হয়। সেখানে জেলা প্রশাসক ড. কামরুজ্জামান সেলিম বরাবর একটি স্মারকলিপি প্রদান করে শিক্ষার্থীরা।
এরপর জেলা পুলিশ সুপার কার্যালয়ে গিয়ে আবারও স্লোগান দিতে শুরু করে শিক্ষার্থীরা। পরে পুলিশ সুপার মনিরুজ্জামান বরাবর আরেকটি স্মারকলিপি প্রদান করে তারা। বিক্ষোভ মিছিলে বিভিন্ন স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থী, অভিভাবকসহ জেলা বিভিন্ন স্তরের জনতা অংশ নেয়।
স্মারকলিপিতে শিশু সুমনা হককে হত্যাকারী রিয়াজ আহম্মেদ কাননের কঠোর শাস্তির দাবিসহ এ ঘটনায় জড়িত অন্যান্যদের দ্রুত আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করা হয়।
আরও পড়ুন: সুমনা হত্যার বিচারের দাবিতে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ, মানববন্ধন
উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার (১৯ ডিসেম্বর) রাতে জেলা শহরের গোয়ালপাড়া এলাকায় স্কুলছাত্র রিয়াজ আহম্মেদ কাননের বসতঘরের মাটি খুঁড়ে সুমনা হকের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
সুমনা হক গোয়ালপাড়া এলাকার জুয়েলের মেয়ে। সে ঠাকুরগাঁও সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের ৩য় শ্রেণির ছাত্রী ছিল। রিয়াজ আহম্মেদ কানন একই এলাকার ইয়াসিন হাবীব কাননের ছেলে। সে ঠাকুরগাঁও সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয়ের ৯ম শ্রেণির ছাত্র।
ঠাকুরগাঁও সদর থানার ওসি আশিকুর রহমান জানান, সুমনা হক গত ১৫ ডিসেম্বর নিজ এলাকা থেকে নিখোঁজ হয়। এরপর মেয়ের বাবা ১৬ তারিখ মেয়েটির বাবা থানায় একটি জিডি করেন। মেয়ের পরিবারের সঙ্গে কথা বলে জানা যায় পাশের বাসায় খেলতে গিয়ে নিখোঁজ হয় সুমনা। এরপর থেকে প্রতিবেশী ইয়াসিন হাবীব কানন ও তার ছেলে রিয়াজের ওপর নজরদারি শুরু হয়।
পরে বৃহস্পতিবার রাতে রিয়াজকে আটক করে থানায় নিয়ে আসা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে হত্যার বিষয়টি সে স্বীকার করে। তার দেওয়া তথ্যমতে তার বসতঘরের মাটি খুঁড়ে সুমনার মরদেহ উদ্ধার করা হয়।