টেকনাফে অতিরিক্ত যাত্রী বহনে ৮ জাহাজে ২ লাখ টাকা জরিমানা
কক্সবাজারের টেকনাফ-সেন্টমার্টিন নৌরুটে চলাচলকারী পর্যটকবাহী আটটি জাহাজকে ২ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। দুর্ঘটনা এড়াতে ধারণ ক্ষমতার চেয়ে অতিরিক্ত যাত্রী বহনের দায়ে এই জরিমানা আদায় করা হয়।
সোমবার (২৩ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে ৯টার দিকে টেকনাফের দমদমিয়া এলাকায় বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ) নৌবন্দর ঘাটে ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম এ জরিমানা করেন।
অভিযানে আরও উপস্থিত ছিলেন- উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মুহাম্মদ আবুল মনসুর, নৌ-পুলিশের সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) মোহাম্মদ মিরাজ উদ্দিন, নৌ-বন্দরের ট্রাফিক কর্মকর্তা জহির উদ্দিন ভূইয়া, অপারেটর মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম প্রমুখ।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, টেকনাফ-সেন্টমার্টিন নৌরুটে পর্যটকবাহী আটটি জাহাজ চলাচল করছে। সোমবার সকালে এসব জাহাজে অতিরিক্ত যাত্রী বহনের খবরে টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম নেতৃত্বে একটি টিম সেখানে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন। এ সময় ধারণক্ষমতার চেয়ে অতিরিক্ত যাত্রী বহনের দায়ে আটটি জাহাজকে ২ লাখ ১ হাজার ৯০০ টাকা জরিমানা আদায় করা হয়। এর মধ্যে, কেয়ারি সিন্দাবাদকে ২৪ হাজার, কেয়ারি ক্রুজ অ্যান্ড ড্রাইংকে সাড়ে ৭ হাজার, গ্রিন লাইনকে ৯০০, বে-ক্রুজকে ১২ হাজার, আটলান্টিককে ৭৫ হাজার, এমভি ফারহানকে সাড়ে ৩৭ হাজার, এমভি পারিজাতকে সাড়ে ৩৭ হাজার, এমভি দোয়েলকে সাড়ে ৩৭ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। পরবর্তীতে এ ধরনের কাজ না করতে সর্তক করা হয়েছে।
এ প্রসঙ্গে মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘টেকনাফ-সেন্টমার্টিন নৌরুটে চলাচলকারী আটটি পর্যটকবাহী জাহাজ থেকে ২ লাখ টাকা জরিমানা আদায় করা হয়েছে। তবে ধারণ ক্ষমতার চেয়ে অতিরিক্ত যাত্রী বহন করায় এ জরিমানা আদায় করা হয়।’
বিআইডব্লিউটিএ’র টেকনাফ অঞ্চলের সমন্বয় আমজাদ হোসেন বলেন, ‘এ নৌরুটে আটটি জাহাজ চলাচল করছে। এসব জাহাজ যাতে ধারণক্ষমতার বাইরে কোনো যাত্রী বহন করতে না পারে, সেজন্য নিয়মিত তদারকি করছি। যদি কোনো জাহাজ পর্যটক হয়রানি ও অতিরিক্ত যাত্রী বহন করে তাদের বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট আইনে মামলা করা হবে।’