শিমের ভালো ফলনে লাভের স্বপ্ন দেখছেন চাষিরা
ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জে শিমের ভালো ফলন হওয়ায় কৃষকদের মুখে হাসি ফুটে উঠেছে। অনুকূল আবহাওয়া ও পোকার আক্রমণ না থাকার পাশাপাশি কাঙ্ক্ষিত বাজার মূল্য পাওয়ায় খোশমেজাজে আছেন চাষিরা। গেল বছর শিম চাষের ক্ষতি পুষিয়ে লাভের স্বপ্ন দেখছেন তারা।
উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, এ বছর উপজেলা ও পৌর শহরে ৫৫০ হেক্টর জমিতে শিম চাষ করা হয়েছে। গেলো বছর পোকার আক্রমণে ফলন বিপর্যয় ও কাঙ্ক্ষিত বাজার মূল্য না পাওয়ায় শিম চাষিরা আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিলেন। কিন্তু এবার শিমের ফলন ভালো হওয়ায় চাষিরা গেলো বছরের ক্ষতি পুষিয়ে লাভের আশা করছেন।
সরজমিনে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ব্রহ্মপুত্র নদ ঘেঁষা উপজেলার রাজিবপুর ও উচাখিলা ইউনিয়নে এবার শিম চাষ হয়েছে সবচেয়ে বেশি। রাজিবপুরের উজানচর ও ভাটিরচর গ্রামে দুই পাশে বিস্তীর্ণ মাঠজুড়ে চোখে পড়ে শিম চাষের দৃশ্য। ডগাভর্তি শিম আর ফুলে ঢেকে আছে মাঠ। সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত জমি পরিচর্যা, শিম সংগ্রহ আর বিক্রিতে ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন চাষিরা।
শিম চাষিদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, গেল বছর নানা প্রতিকূলতার কারণে প্রতি মণ শিমের দাম ৮০ থেকে ১১০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। এতে চাষিরা উৎপাদন খরচ তুলতে পারেনি। অনেকে আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হয়ে শিম চাষে আগ্রহ হারিয়ে ফেলেন। কিন্ত এবছর ফলন ভালো হওয়ায় পাইকাররা মাঠ থেকে ১১০০ টাকা মণ দরে শিম ক্রয় করছেন। এর ফলে কৃষকরা গেল বছরের ক্ষতি পুষিয়ে লাভের স্বপ্ন দেখছেন।
শিম চাষি রেজু উদ্দিন জানান, গত বছর লাভের মুখ দেখেননি তিনি। এ বছর লাভের আশা করছেন। কিন্তু স্থানীয়ভাবে সবজির পৃথক বাজার না গড়ে উঠায় ও যোগাযোগ ব্যবস্থা মন্দা থাকায় কৃষক তার ফসলের সঠিক মূল্য থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।
ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলা কৃষি অফিসার সাধণ কুমার গুহ মজুমদার বলেন, ‘কৃষকদের উৎপাদিত পণ্য বাণিজ্যিকীকরণের সুবিধার্থে নিবন্ধিত কৃষক ক্লাবকে একটি পিকআপ ভ্যান দেওয়ার জন্য প্রস্তাবনা পাঠানো হয়েছে। বাজারে দাম ভালো থাকায় এবং পোকার আক্রমণ না থাকায় আশা করা হচ্ছে কৃষক ক্ষতির সম্মুখীন হবে না।’