না.গঞ্জে ২০ চোরাই সুতা কারবারির বিরুদ্ধে মামলা, গ্রেফতার ১

  • ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, নারায়ণগঞ্জ
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

বিদেশ থেকে অবৈধভাবে এসব সুতা আমদানি করা হয়, ছবি: বার্তা২৪.কম

বিদেশ থেকে অবৈধভাবে এসব সুতা আমদানি করা হয়, ছবি: বার্তা২৪.কম

বিদেশ থেকে বন্ড সুবিধায় আমদানি করা সুতা অবৈধভাবে খোলাবাজারে বিক্রির অভিযোগে নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানায় ২০ জন চোরাকারবারির বিরুদ্ধে পৃথক দুটি মামলা দায়ের করেছে ঢাকার বন্ড কমিশনারেট কর্তৃপক্ষ।

বুধবার (২৫ ডিসেম্বর) এ ঘটনায় ১ আসামিকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

বিজ্ঞাপন

এর আগে মঙ্গলবার দুপুরে কাস্টমস কর্মকর্তা মো. আতিকুর রহমান বাদী হয়ে অবৈধভাবে সুতা মজুদ ও বিক্রির অভিযোগে এনে মামলা দুটি দায়ের করেন। এর একটি মামলায় গোলাম কিবরিয়া মামুন (৪৫) নামে এক আসামিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

এর আগে গত ৮ ও ১৪ ডিসেম্বর নারায়ণগঞ্জ শহরের টানবাজার ও নিতাইগঞ্জ এলাকায় দুটি অভিযানে বিপুল পরিমাণ বন্ডেড সুতা উদ্ধার করে কাস্টমস বন্ড কমিশন। দুটি অভিযানে প্রায় আড়াই কোটি টাকা মূল্যের ৩৫ টন অবৈধ বন্ডেড সুতা উদ্ধার করা হয়। স্থানীয় ভ্যাট অফিস ও পুলিশ প্রশাসনের সহযোগিতায় এসব অভিযান পরিচালনা করে এনবিআর গঠিত টাস্কফোর্স।

বিজ্ঞাপন

এনবিআর সূত্রে জানা যায়, এ ধরনের ঘটনায় অতীতে শুল্ক আইনে বিভাগীয় মামলা দায়ের করা হলেও এবারই প্রথম ফৌজদারি মামলা দায়ের করা হলো। এর ফলে চোরাকারবারিদের মধ্যে ভীতি কাজ করবে বলে ধারণা তাদের।

টাস্কফোর্স সভাপতি এসএম হুমায়ুন কবীর জানিয়েছেন, বন্ড সুবিধার অপব্যবহারের মাধ্যমে অবৈধ সুতা ও কাপড় খোলাবাজারে বিক্রির সঙ্গে জড়িতদের আইনের আওতায় আনা হবে। অবৈধ বন্ড ব্যবসার উৎস এবং গন্তব্য চিহ্নিত করে এর সঙ্গে জড়িত সকল অপরাধীকে আইনের আওতায় নিয়ে আসার লক্ষ্যে অভিযান এবং তাৎক্ষনিক আইনি প্রক্রিয়া অব্যাহত থাকবে।

নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আসাদুজ্জামান মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করে বার্তা২৪.কম কে বলেন, গত মঙ্গলবার দুপুরে অবৈধ সুতা ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে পৃথক দুটি মামলা দায়ের করেছে বন্ড কমিশনারেট কর্মকর্তা মোঃ আতিকুর রহমান। এ ঘটনায় ১ আসামিকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

সদর মডেল থানার পরিদর্শক (অপারেশন) আবদুল হাই বার্তা২৪.কম কে বলেন, দুটি মামলার ভেতর ৮ ডিসেম্বর টানবাজারে চালানো অভিযানের মামলায় গোলাম কিবরিয়া মামুন নামে এক আসামিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। উভয় মামলাতেই ১০ জন করে আসামি উল্লেখ করেছে বাদী। মামলার অন্যান্য আসামিদের গ্রেফতারের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।

উল্লেখ্য, গত ৮ ডিসেম্বর নারায়ণগঞ্জ শহরের টানবাজার এলাকার বিসমি ইয়ার্ন ট্রেডিং এবং নিকটস্থ মাঠে অভিযান পরিচালনা করে ৯ হাজার ৪৫০ কেজি অবৈধ বন্ডেড সুতা জব্দ করে বন্ড কমিশনারেট। এছাড়া ১৪ ডিসেম্বর নারায়ণগঞ্জ শহরের সুতারপাড়া, বংশাল রোড এলাকার সাদ ট্রেডার্স এবং আজাদ ট্রেডার্সের গুদামে অভিযানেও ২৫ হাজার ৮৩৬ কেজি অবৈধ বন্ডেড সুতা জব্দ করা হয়।