শীতে মন্দা শ্রমিকের হাট
কুয়াশাচ্ছন্ন ভোর। খুব বেশি প্রয়োজন ছাড়া মানুষের দেখা পাওয়া দায়। যেমন কুয়াশা তেমন শীত। এমন শীতে চাহিদা কমছে কৃষি শ্রমিকের। বাজারদরও মন্দা। একদিন কাজ পেলে তিন দিন দেখা নেই কাজের। ফলে কুয়াশা আর শীতে মন্দা যাচ্ছে শ্রমিকের হাট।
রোববার (২৯ ডিসেম্বর) ভোর থেকে সকাল ৮টা পর্যন্ত এমন অভিমত ব্যক্ত করেন মানিকগঞ্জ বাসস্ট্যান্ডে শ্রম বিক্রি করতে আসা শ্রমিকেরা।
কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলার লাল নগর এলাকার আব্দুল আলীম জানান, গত ১০ বছর ধরে নিয়মিতভাবে মানিকগঞ্জ বাসস্ট্যান্ডের শ্রমিকের হাটে আসেন তিনি। শীতের সময় কৃষি জমিসহ অন্যান্য জমিতে কাজের জন্য শ্রমিকের বেশ চাহিদা থাকে এখানে।
তবে গেলো সপ্তাহ থেকে শ্রমিকের চাহিদা একেবারে নেই বললেই চলে। একদিন কাজ পেলে তিন দিন অলস সময় পার করতে হচ্ছে। অতিরিক্ত শীতের কারণে শ্রমিকের বাজার মন্দা যাচ্ছে বলে মন্তব্য করেন তিনি।
বগুড়ার শেরপুর উপজেলার ফরিদ হোসেন জানান, প্রচণ্ড শীতের কারণে শ্রমিকের চাহিদা কম। শ্রমিকের দৈনিক পারিশ্রমিক ৫০০ টাকা থেকে এখন ৩০০ টাকায় চলছে। তবুও কাজ পাচ্ছেন না অধিকাংশ শ্রমিকেরা। কাজ না পেলে অনাহারে অর্ধাহারে সময় কাটাতে হয় তাদের। তাই বাধ্য হয়েই আড়াইশো টাকাতেও কাজে যাচ্ছেন অনেকে।
মোন্তাজ নামে পাবনা জেলার মধ্য বয়সী এক শ্রমিক জানান, কাজ না পেলে মানিকগঞ্জ বাস টার্মিনালে রাত্রি যাপন করতে হয়। নিজেদের টাকায় খাবার কিনে খেতে হয় সারাদিন। এতে করে পোহাতে হয় বেজায় দূর্ভোগ। শীতের রাতে কষ্টও হয় সীমাহীন।
মানিকগঞ্জ বাসস্ট্যান্ড, সিংগাইর, সাটুরিয়া ও শিবালয়ের আরিচায় পার্শ্ববর্তী বিভিন্ন জেলা থেকে কাজের সন্ধানে আসে প্রায় পাঁচ শতাধিক শ্রমিক। প্রতিদিন ভোর থেকে সকাল ৮টা পর্যন্ত জমজমাট থাকে শ্রমিকের হাট। প্রয়োজন অনুযায়ী চলমান বাজারদরে এসব এলাকা থেকে সহজেই দৈনিক মজুরির ভিত্তিতে পাওয়া যায় কৃষি শ্রমিক।