শীতলক্ষ্যা তীরের অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ
নারায়ণগঞ্জের সদর উপজেলার সিদ্ধিরগঞ্জে সুমিলপাড়া, গোদনাইল এবং বন্দর উপজেলার সোনাকান্দা ও লক্ষণখোলা এলাকায় অবৈধ বালু ব্যবসায়ীদের উচ্ছেদ করেছে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ)।
সোমবার (৩০ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে ১১টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত অভিযান চালায় বিআইডব্লিউটিএ’র ভ্রাম্যমাণ আদালত।
এ সময় ৪টি ড্রেজার, ৫ শতাধিক বর্গফুট ড্রেজারের পাইপ, বাশের পাইলিং গুড়িয়ে দেওয়া হয়। অবমুক্ত করা হয় দুই একর জমি।
অভিযান পরিচালনাকালে অবৈধ ব্যবসায়ী ও দখলদাররা পালিয়ে যান। তারা দীর্ঘদিন ধরে শীতলক্ষ্যা নদীর তীরের কয়েক হাজার বর্গফুট জায়গা ভরাট করে বালুর ব্যবসা চালিয়ে আসছিলেন।
অভিযানে নৌ-পরিবহন মন্ত্রনালয়ের উপ-সচিব ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট হাবিবুর রহমান হাকিম বলেন, স্থানীয় প্রভাবশালী লোকজন নদীর তীর দখল ও ভরাট করে বালু ব্যবসার পাশাপাশি নদীর তীরে ড্রেজার লাগিয়ে অবৈধভাবে বালু ব্যবসা চালাচ্ছিল। আমরা অভিযান চালিয়ে বেশ কয়েকজন বালু ব্যবসায়ীর ড্রেজার, পাইপ, বাঁশের পাইলিং ভেঙে গুঁড়িয়ে দিয়েছি।
এছাড়া জব্দকৃত ৪টি ড্রেজার, ২ টি বালুবোঝাই বাল্কহেড, স্তূপীকৃত বালু-মাটি মোট ৪ লাখ ৩৮ হাজার টাকা নিলামে বিক্রি করা হয়। নদী দখলকারীর যত প্রভাবশালী হোক না কেন তাদের কোন ছাড় নেই। নদী দখলকারীদের বিরুদ্ধে অভিযান চলবে, যোগ করেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট।
অভিযানে আরও উপস্থিত ছিলেন, বিআইডব্লিউটিএ’র নারায়ণগঞ্জ নদী বন্দরের যুগ্ম পরিচালক মাসুদ কামাল, উপ-পরিচালক মোবারক হোসেন, সহকারী পরিচালক এহতেশামুল পারভেজ প্রমুখ।