বরমচালে ১০ জানুয়ারি থেকে আন্তনগর ট্রেনের যাত্রাবিরতি

  • ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, মৌলভীবাজার
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

বরমচাল স্টেশন, ছবি: সংগৃহীত

বরমচাল স্টেশন, ছবি: সংগৃহীত

১০ জানুয়ারি থেকে ঢাকা ও সিলেটগামী উপবন এক্সপ্রেস, চট্টগ্রামগামী উদয়ন ও সিলেটগামী পাহাড়িকা আন্তনগর এক্সপ্রেস ট্রেন কুলাউড়ার বরমচাল স্টেশনে যাত্রাবিরতি করবে।

যাত্রাবিরতির তথ্য নিশ্চিত করে কুলাউড়া রেলওয়ে জংশনের টিআইটি নুরুল ইসলাম বলেন, ‘আগামী ১০ জানুয়ারি থেকে এই যাত্রাবিরতি কার্যকর হবে।’

বিজ্ঞাপন

দীর্ঘদিনের দাবি পূরণ হওয়ায় মৌলভীবাজারের কুলাউড়ার বরমচাল ইউনিয়নের মানুষ ভীষণ খুশি। স্থানীয়রা কেউ কেউ এ উপলক্ষে মিষ্টি বিতরণ করেছেন।

স্থানীয়রা বলেন, দীর্ঘদিন পর বরমচালে প্রাণ ফিরে এসেছে। সবুজ অরণ্যে ঘেরা বরমচালে এই একটা জিনিসেরই অভাব ছিলো, সেটা পূরণ হতে চলেছে।

বিজ্ঞাপন

বরমচাল রেলস্টেশন হয়ে বরমচাল, ভাটেরা, ভুকশিমইল, ব্রাহহ্মণবাজার ইউনিয়ন ও রাজনগরের মুন্সিবাজার এলাকার লোকজন যাতায়াত করেন। এই এলাকায় গ্যাসফিল্ড, স্কুল, কলেজ, মাদরাসা, চা বাগান ও রাবার বাগানসহ বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠান অবস্থিত। কিন্তু যাতায়াতের জন্য তাদের একমাত্র ভরসা সড়কপথ। তাই এখানকার মানুষের দাবি ছিলো, আন্তনগর ট্রেনের যাত্রাবিরতি। যাতে করে মানুষ নিশ্চিন্তে, নিরাপদে দূরবর্তী এলাকায় যাতায়াত করতে পারে সহজে।

বরমচাল ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল আহবাব চৌধুরী শাহজাহান বলেন, ‘বরমচালবাসীর দাবি পূরণ করায় রেলমন্ত্রী মো নূরুল ইসলাম সুজন এবং বন ও পরিবেশ মন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দিনসহ সংশ্লিষ্টদের প্রতি বরমচালের পক্ষ থেকে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি।’

প্রসঙ্গত, গত ২৩ জুন কুলাউড়ার বরমচাল এলাকায় দুর্ঘটনার শিকার হয় ঢাকাগামী আন্তনগর ট্রেন উপবন। এতে ঘটনাস্থলে মারা যান ৪ জন, আহত হন দুই শতাধিক যাত্রী। ২৬ জুন দুর্ঘটনাস্থল পরিদর্শন শেষে বরমচালের এক জনসভায় রেলমন্ত্রী মো. নূরুল ইসলাম সুজনের কাছে আন্তনগর ট্রেনের যাত্রাবিরতি চেয়ে স্মারকলিপি দেন স্থানীয়রা।