নোয়াখালীতে ধর্ষণের মামলায় অভিযুক্ত ইউপি চেয়ারম্যান কারাগারে

  • ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, নোয়াখালী
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

নোয়াখালী, ছবি: বার্তা২৪.কম

নোয়াখালী, ছবি: বার্তা২৪.কম

বিচারপ্রার্থী নারীকে ধর্ষণ ও মারধরের ঘটনায় অভিযুক্ত নোয়াখালীর সুবর্ণচর উপজেলার ২ নম্বর চরবাটা ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মোজাম্মেল হোসেনকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত।

বুধবার (১ জানুয়ারি) নোয়াখালীর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-২ এর বিচারক জেলা জজ মোহাম্মদ সামস্উদ্দীন খালেদ জামিন নামঞ্জুর করে তাকে জেল হাজতে পাঠানোর আদেশ দেন।

বিজ্ঞাপন

এর আগে তাকে একই ঘটনায় সাময়িক বরখাস্ত করে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়।

আদালত সূত্রে জানা যায়, বুধবার সকালে মোজাম্মেল হোসেন আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন প্রার্থনা করেন। আদালত তার আবেদনের শুনানি শেষে তাকে জেল হাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন। বিকেলে তাকে জেলা কারাগারে পাঠানো হবে।

বিজ্ঞাপন

উল্লেখ্য, ২০১৭ সালের ৪ অক্টোবর রাতে সুবর্ণচরের চরবাটা ইউপির চেয়ারম্যান মোজাম্মেল হোসেনের কাছে বিচার চাইতে তার কার্যালয়ে যান এক নারী। পরদিন ৫ অক্টোবর চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে রাতভর তাকে আটকে রেখে মারধর ও ধর্ষণ করার অভিযোগে চরজব্বর থানায় মামলা করেন ওই নারী।

মামলায় রবিউল নামের অপর এক ব্যক্তিকেও আসামি করা হয়। ওই মামলা প্রথমে তদন্ত করে আদালতে চূড়ান্ত প্রতিবেদন জমা দেয় জেলা গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।

পরবর্তীতে আদালত প্রতিবেদন গ্রহণ না করে মামলাটি সহকারী পুলিশ সুপার পদমর্যাদার একজন কর্মকর্তাকে দিয়ে পুনঃতদন্তের জন্য কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দেন। পুনঃতদন্তের পর মোজাম্মেল হোসেনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়। গত ২৪ সেপ্টেম্বর তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-২।

এরপর তিন মাসের বেশি সময় পেরিয়ে গেলেও পুলিশ তাকে গ্রেফতার করেনি। এরই মধ্যে গত ২২ ডিসেম্বর স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় থেকে নারী নির্যাতন মামলার আসামি হওয়ায় মোজাম্মেল হোসেনকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।