ঠাকুরগাঁওয়ে শীতবস্ত্র বিক্রেতাদের মুখে হাসি
দুই দিন আগেও গোমড়া মুখে বসেছিলেন দোকানদাররা। শীতের যেমন দেখা নেই, ক্রেতারও আনাগোনা নেই। রোববার (৫ জানুয়ারি) সেই দোকানদারদের মুখেই দেখা গেল হাসি।
হঠাৎ আবারো শীত জেঁকে বসায় ফুটপাত থেকে শুরু করে অভিজাত মার্কেটগুলোতে গরম কাপড়ের চাহিদা বেড়েছে। তবে ফুটপাতের দোকানগুলোতেই ভিড়টা বেশি। স্বল্প আয়ের মানুষেরা শীতের হাত থেকে বাঁচতে এসব দোকানগুলোতে ভিড় করছেন।
সোমবার (৬ জানুয়ারি) শহরের পৌর হকার্স মার্কেট, পুরাতন বাসস্ট্যান্ড, ঠাকুরগাঁও সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয় সংলগ্ন বড়মাঠের আশেপাশের সড়ক সরেজমিন ঘুরে দেখা যায়, ক্রেতাদের চাহিদা অনুযায়ী নানা ধরনের শীতের পোশাক এনেছেন এখানকার ব্যবসায়ীরা। ক্রেতারাও ভিড় করছেন তাদের পছন্দের পোশাক কিনতে। তাই বেচাকেনাও ভালো হচ্ছে।
ক্রেতাদের অভিযোগ শীতের শুরুতে যে দাম ছিল এখন কোনো কোনো গরম কাপড়ের দাম প্রায় দ্বিগুণ বেড়েছে। শীত বেশি থাকায় পোশাকের চাহিদাও বেশি। আর এ চাহিদাকে পুঁজি করে ব্যবসায়ীরা বেশি দাম রাখছেন।
শহরের বড় মাঠ এলাকার ফুটপাতের ব্যবসায়ী মেছের আলী বলেন, যারা শহরের বড় মার্কেটে কিনতে পারে না তারাই আমদের দোকানে আসেন। গত কিছুদিন ধরে ব্যবসা খুব খারাপ ছিলো তবে হঠাৎ করে ঠান্ডা বাড়ায় এখন বিক্রি বেশি।
আরেক ব্যবসায়ী জয়নাল বলেন, সোয়েটার, উলের পোশাক, ব্লেজার, ট্রাউজার, জ্যাকেট, চাদর, মাপলার, কানটুপিসহ নানা ধরনের শীতবস্ত্র এখানে পাওয়া যায়। মার্কেটের তুলনায় দাম কম হওয়ায় নিম্ন আর মধ্যবিত্ত পরিবারের লোকজনের ভিড় এখানে অনেক বেশি।
তিনি জানান, মানভেদে সোয়েটার ১০০ থেকে ৩০০, জ্যাকেট ১৫০ থেকে ৪০০, হাত মোজা ৩০ থেকে ১৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
আমেনা বেগম নামে এক ক্রেতা বলেন, দামে স্বস্তা হলেও ফুটপাতের এসব দোকানের কাপড়ের মান বেশ ভালো। তাই কিনতে আসা। নিজের জন্য সোয়েটার আর মেয়ের জন্য জ্যাকেট কিনলাম।
জয়নাল নামে আরেক ক্রেতা বলেন, ৩০০ থেকে ৪০০ টাকার মধ্যে ভালো ভালো কাপড় পাওয়া যায়। তাই সবাই এসব দোকানগুলোতে ভিড় করে। ছেলেটার জন্য একটা জ্যাকেট কিনবো তাই বিভিন্ন দোকান ঘুরে দেখছি।