স্কোয়াশ চাষে সফল স্কুলশিক্ষক জুঁই
স্কোয়াশ চাষ করে তাক লাগিয়ে দিয়েছেন টাঙ্গাইলের নাগরপুর উপজেলার বেকড়া ইউনিয়নের সাতগাছা গ্রামের মাহবুবুর রহমানের স্ত্রী নাহিদা নাসরিন জুঁই। পেশায় তিনি একজন স্কুল শিক্ষক।
শীতকালীন এই সবজি চাষ করে মাত্র তিন মাসেই লাভের মুখ দেখেছেন তিনি। তার সফলতা দেখে অন্যরা এখন এটি চাষ আগ্রহী হয়ে উঠছেন।
সাতগাছা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষিকা জুঁই বলেন, স্কোয়াশ মূলত একটি শীতকালীন সবজি। দেখতে বাঙ্গির মতো লম্বা ও সবুজ। মিষ্টি কুমড়ার মতো এক ধরণের সুস্বাদু ও পুষ্টিকর সবজি। এটি সবুজ ও হলুদ দুই ধরনের রঙের হয়ে থাকে। স্কোয়াশে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন-এ আছে। এছাড়াও ই, কেসহ কার্বোহাইড্রেট ও প্রোটিন রয়েছে। এর পাতা ও কাণ্ড সবজি হিসেবে খাওয়া হয়।
তিনি বলেন, ঔষধি গুণ সম্পন্ন পুষ্টিগুণে ভরা আঁশ জাতীয় এই সবজি আমাদের দেশে বিশেষ করে গ্রীষ্মকালে এবং শীতকালে উত্পন্ন হয়। বীজ বপনের ঠিক ৫৫ দিন পর ফলন আসে। ৭৫ থেকে ৮০ দিন পর্যন্ত ফলন উত্পন্ন হয়। প্রতিটি গাছে ৮ কেজি পর্যন্ত স্কোয়াশ উত্পন্ন হয়। ফুল আসার ১০ দিন পর স্কোয়াশ খাওয়ার উপযোগী হয়। প্রতি বিঘা জমিতে খরচ পড়ে প্রায় ৩০ হাজার টাকা।
তিনি আরও বলেন, আমি ৭৫ শতাংশ জমিতে স্কোয়াশ চাষ করেছি। শতাংশ প্রতি খরচ হয়েছে এক হাজার টাকা। বাজার যদি ঠিক থাকে তাহলে খরচ বাদে দেড় লাখ টাকা আয় সম্ভব হবে।
নাগরপুর উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা ইমরান হোসাইন বলেন, জুঁই পেশায় শিক্ষক হলেও কৃষিতে সফল হয়েছেন। ইতোমধ্যে শীতকালীন সবজি স্কোয়াশ চাষে সফলতা পেয়েছেন। অনেককে বেকার যুবক তার দেখাদেখি এলাকায় এই সবজটি চাষ শুরু করেছেন।
তিনি বলেন, জুঁই স্বামীর ৬০ শতাংশ জমি ছাড়াও অন্যের আরো ২৮০ শতাংশ জমি লিজ (ইজারা) নিয়ে স্কোয়াশ, ক্যাপসিকাম, লাউ, টমেটো চাষ করেছেন। এরমধ্যে ৭৫ শতাংশতে স্কোয়াশ, ৪০ শতাংশতে ক্যাপসিকাম, ৮৫ শতাংশতে টমেটো ও ১৪০ শতাংশ জমিতে লাউ আবাদ করেছেন। উপজেলা কৃষি কার্যালয় থেকে তাকে সব ধরনের সহায়তা ও পরামর্শ দেয়া হচ্ছে।