মুক্তিপণ আদায়ের আগে খুন করা হয় কাঠ মিস্ত্রিকে

  • স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, বগুড়া
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

গ্রেফতার হওয়া দুই আসামি, ছবি: সংগৃহীত

গ্রেফতার হওয়া দুই আসামি, ছবি: সংগৃহীত

বগুড়ার কাহালুতে কাঠ মিস্ত্রি আলম মণ্ডল (২৫) হত্যার রহস্য উদ্ঘাটন হয়েছে। হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত দুই আসামিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

গ্রেফতারকৃতরা আলম মণ্ডল ও বিপ্লব সরদার নামের দুইজনকে অপহরণ করে মুক্তিপণ দাবি করে। অপহরণ করে প্রত্যেকের পরিবারের কাছে থেকে ১৩ হাজার করে ২৬ হাজার টাকা মুক্তিপণ দাবি করে তারা। তবে মুক্তিপণ আদায়ের আগেই কাঠ মিস্ত্রি আলম মণ্ডলকে হত্যা করে আসামিরা। এছাড়া বিপ্লব সরদারকে ছুরিকাঘাত করে তারা।

বিজ্ঞাপন

গ্রেফতারকৃতরা হচ্ছে কাহালুর জাঙ্গালপাড়া গ্রামের সৈয়দ আফলাকুর রহমান পিন্টুর ছেলে সৈয়দ সিহাব আহম্মেদ সম্রাট (২৫) ও মাগুড়া মধ্যপাড়া গ্রামের মৃত রমজান আলীর ছেলে আল-আমিন ওরফে আকাশ (২৬)।

শুক্রবার (১০ জানুয়ারি) দুপুরে কাহালু থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জিয়া লতিফুল ইসলাম এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানান। এর আগে বৃহস্পতিবার (৯ জানুয়ারি) রাতে পুলিশ তাদেরকে গ্রেফতার করে হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত ছুরি উদ্ধার করা হয় বলে জানানো হয়।

বিজ্ঞাপন

গ্রেফতারকৃতরা পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে জানায়, গত ০২ জানুয়ারি রাতে তারা কাহালুর বার মাইল- নামুজা সড়কে কালাই ঘোনপাড়া কাঁচা রাস্তা সংলগ্ন একটি শ্যালো মেশিন ঘরে অবস্থান নেয়। এসময় ওই রাস্তা দিয়ে আলম মণ্ডল ও বিপ্লব সরদার হেঁটে বাড়ি ফিরছিলেন। গ্রেফতারকৃত আসামিরা আলম ও বিপ্লবকে ছুরি দেখিয়ে তুলে নিয়ে সন্তুগ্রাম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের আলুক্ষেত সংলগ্ন বাগানে নিয়ে যায়। সেখানে তাদেরকে আটকে রেখে আলমের মোবাইল ফোন দিয়ে দুজনের বাড়িতেই ফোন করে মুক্তিপণ দাবি করে। তাদের পরিবার থেকে টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানালে আলমের বুকে ও পিঠে ছুরিকাঘাত করা হয়। এরপর বিপ্লবের হাতে ছুরিকাঘাত করা হয়। ঘণ্টাখানেক পড়ে উভয়ের পরিবার থেকে টাকা দিতে রাজি হলে দুপচাঁচিয়া এলাকায় অমিত বসাকের দোকান থেকে বিকাশ নম্বরের মাধ্যমে ১৩ হাজার টাকা গ্রহণ করে তারা।

এদিকে, টাকা পাওয়ার পর দেখতে পায় আলম মণ্ডল মারা গেছেন। তখন তার মরদেহ আলু ক্ষেতে ফেলে দেওয়া হয় এবং বিপ্লবকে ছেড়ে দেয়। পরে তারা নাগর নদের পাড়ে এসে টাকা ভাগ বাটোয়ারা করে নেয় এবং হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত ছুরিটি তাদের আরেক সহযোগী গোলজারের বাড়িতে রেখে পালিয়ে যায়।

কাহালু থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জিয়া লতিফুল ইসলাম বার্তা২৪.কমকে বলেন, গত ৩ জানুয়ারি আলম মণ্ডলের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। ওই দিনই নিহতের বাবা শিবগঞ্জ থানার নলডুবি গ্রামের লালচাঁন মণ্ডল বাদী হয়ে অজ্ঞাত আসামিদের নামে মামলা দায়ের করেন। এরপর প্রযুক্তিগত সাহায্যে বিকাশ এজেন্ট অমিত বসাককে গ্রেফতার করা হয়।