সামাজিক অপরাধ নিয়ে নাটোরে পুলিশের উদ্বেগ

  • ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, নাটোর
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য দিচ্ছেন নাটোরের পুলিশ সুপার লিটন কুমার সাহা, ছবি: বার্তা২৪.কম

সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য দিচ্ছেন নাটোরের পুলিশ সুপার লিটন কুমার সাহা, ছবি: বার্তা২৪.কম

নাটোরের পুলিশ সুপার লিটন কুমার সাহা বলেছেন, ‘পরিকল্পিত অপরাধ প্রবণতার জন্য সামাজিক অবস্থা দায়ী। যা এক পর্যায়ে হত্যাকাণ্ডের মতো সামাজিক অপরাধে রূপ নিচ্ছে। বর্তমানে অপরাধ সংঘটনের কারণ বদলাচ্ছে, সেই সঙ্গে বদলাচ্ছে অপরাধের ধরনও। পারস্পরিক বন্ধুসুলভ আচরণের পরিবর্তে ঈর্ষায় পুড়ছে তরুণ সমাজ। ক্ষোভ তাদের মনে দানা বাঁধছে এবং সেগুলোর প্রকাশ হচ্ছে নৃশংসভাবে। এসব অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনার জন্য বর্তমান সামাজিক ব্যবস্থা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন অনেকে। তাই সামাজিক অপরাধ নিয়ে আমরা উদ্বিগ্ন।’

শনিবার (১১ জানুয়ারি) দুপুরে রাজশাহী সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি বিশ্ববিদ্যালয়ের (আরএসটিইউ) শিক্ষার্থী কামরুল ইসলাম হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদঘাটনের পর সাংবাদিকদের ব্রিফিং শেষে এসব কথা বলেন তিনি।

বিজ্ঞাপন

শিক্ষার্থী কামরুল হত্যাকাণ্ড প্রসঙ্গে পুলিশ সুপার জানান, হত্যার যে ঘটনাটি ঘটেছে, তা কল্পনাও করা যায় না। সামান্য একটি ঘটনা থেকেই এ হত্যাকাণ্ডের সূত্রপাত। ভিকটিমকে হত্যার সময় হত্যাকারীর চরম প্রতিশোধস্পৃহা কাজ করেছে।

তিনি বলেন, গত ১৭ অক্টোবর হালসা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে অংশ নিতে নবীনকৃষ্ণপুর থেকে সভাস্থলে যাওয়ার সময় নিহত কামরুল বন্ধু মিনহাজকে চড় মারেন। এতে প্রতিবাদ করলে মিনহাজের চোখ উপড়ে নেয়ার হুমকি দেন কামরুল। এরপর থেকেই মিনহাজের মনের ভেতর ক্ষোভ বাড়তে থাকে। তখন থেকেই কামরুলকে হত্যার পরিকল্পনা করেন তিনি। ৫ জানুয়ারি রাতে হালসা গ্রামের একটি বাঁশ ঝাড় থেকে কামরুলের চোখ উপড়ানো মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।

বিজ্ঞাপন

আরও পড়ুন: নাটোরে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রের চোখ উপড়ানো মরদেহ উদ্ধার