স্কুল ফাঁকি দিয়ে কেরানি মতিয়ার দলিলও লিখেন

  • ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম,চুয়াডাঙ্গা
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

মতিয়ার রহমান/ ছবি: বার্তা২৪.কম

মতিয়ার রহমান/ ছবি: বার্তা২৪.কম

স্কুলের হাজিরা খাতায় নিয়মিত উপস্থিতির স্বাক্ষর থাকলেও অফিসে অনুপস্থিত থাকেন তিনি। চুয়াডাঙ্গায় একটি এমপিওভুক্ত মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের অফিস সহকারী (কেরানি) স্কুলের কাজ বাদ দিয়ে সপ্তাহে ৪ দিন দুটি সাব রেজিস্ট্রি অফিসে দলিল লেখার কাজে ব্যস্ত থাকেন বলে অভিযোগ উঠেছে।

চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার কুকিুয়াচাঁদপুর গ্রামের এমপিওভুক্ত আদর্শ মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের ওই কেরানির নাম মতিয়ার রহমান। স্কুল খোলার পর পরই উপস্থিত হাজিরা খাতায় নিজের স্বাক্ষর করেই চলে যান সাব রেজিস্ট্রি অফিসে। সপ্তাহে চারদিন স্কুল ফাঁকি দিয়ে দলিল লেখেন মতিয়ার। অল্প সময়ের মধ্যেই ভালো দলিল লেখক হিসেবেও নিজেকে পরিচিত করেছেন তিনি। সপ্তাহে রবি, সোম চুয়াডাঙ্গা সদর মঙ্গল ও বুধবার দামুড়হুদা উপজেলায় সাব রেজিস্ট্রি অফিসে দলিল লিখতে নিজেকে ব্যস্ত রাখেন মতিয়ার রহমান। তার লাইসেন্স নম্বর-১৭৩।

বিজ্ঞাপন
দলিল লেখায় ব্যস্ত মতিয়ার রহমান/ছবি: বার্তা২৪.কম

অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে মতিয়ার বলেন, বছর কয়েক ধরে সাব রেজিস্ট্রি অফিসে দলিল লেখক হিসেবে কাজ করে আসছেন তিনি। বাড়তি কিছু টাকা রোজগার করার আশায় স্কুলের পরেই এই কাজ করতে হয় তাকে। তবে স্কুল ফাঁকির বিষয়টি সরাসরি অস্বীকার করেন তিনি।

কেরানি মতিয়ারের স্কুল ফাঁকির বিষয়ে প্রধান শিক্ষক হানিফ উদ্দীনকে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি কিছুই জানেন না বলে এড়িয়ে যেতে চাইলেও অবশেষে তিনি স্বীকার করে বলেন, স্কুলের কেরানি মতিয়ারকে এ বিষয়ে একাধিকবার সাবধান করা হলেও তিনি বিভিন্নভাবে দলিল লেখার কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন।

বিজ্ঞাপন

চুয়াডাঙ্গা শিক্ষা অফিসার নিখিল রঞ্জন চক্রবর্তী বলেন, একজন স্কুলের শিক্ষক বা কর্মচারী সে যেই হোক স্কুল ছেড়ে অন্য কোথাও কাজ করার সুযোগ নেই তার। স্কুলের দাপ্তরিক কাজ বাদ দিয়ে দলিল লেখার বিষয়ে এর আগেও কেরানি মতিয়ার রহমানের বিরুদ্ধে অভিযোগ পাওয়া গেছে। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্তপূবর্ক তার বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।