মোবাইলের জন্য ইসমাইলকে খুন করে প্রতিবেশি স্কুলছাত্র সাইমন



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, হবিগঞ্জ
প্রেস ব্রিফিংয়ে কথা বলছেন পুলিশ সুপার মোহাম্মদ উল্ল্যা, ছবি: সংগৃহীত

প্রেস ব্রিফিংয়ে কথা বলছেন পুলিশ সুপার মোহাম্মদ উল্ল্যা, ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

বিশ হাজার টাকা দামের মোবাইলের জন্য স্কুলছাত্র ইসমাইল হোসেন বিদয়কে (১২) হত্যা করে প্রতিবেশি ১০ম শ্রেণির ছাত্র শাহরিয়ার হোসেন সাইমন।

বুধবার (১৫ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় প্রেস ব্রিফিংয়ের মাধ্যমে বিষয়টি সাংবাদিকদের জানান পুলিশ সুপার মোহাম্মদ উল্ল্যা।

এর আগে বুধবার বিকেলে সাইমন হবিগঞ্জের সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট নুরুল হুদার আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দিতে এই হত্যার কথা স্বীকার করে। মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১১টায় সাইমনকে তার বাড়ি থেকে গ্রেফতার করে পুলিশ। সে পুলিশের কাছেও হত্যার কথা স্বীকার করে।

প্রেস ব্রিফিংয়ে জানানো হয়, সাইমন আদালতে হত্যার দায় স্বীকার করেছে। সে আদালতকে জানিয়েছে, হবিগঞ্জ সদর উপজেলার তেঘরিয়ায় স্কুলছাত্র ইসমাইল হোসেন (১২) এর বাবা সৌদি আরব প্রবাসী ফারুক মিয়া ২ মাস পূর্বে ছেলের জন্য ২০/২২ হাজার টাকা মূল্যের একটি লেনোভা কোম্পানীর স্মার্টফোন প্রেরণ করেন। ইসমাইল সেটি দিয়ে ছবি ও ভিডিও তুলে সবাইকে দেখাত। মোবাইলটির প্রতি লোভ হয় ইসমাইলের পাশের বাড়ী কদর আলীর ছেলে ও হবিগঞ্জ শহরের জে কে এন্ড এইচ কে হাই স্কুলের ১০ম শ্রেণির ছাত্র সাইমনের (১৫)। ইসামাইল এর ছবি তোলার নেশাকে কাজে লাগিয়ে গত ১০ জানুয়ারি বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে সাইমন ইসমাইলকে বলে তাকে দিয়ে সে একটি নাটক বানাবে। এই নাটক ফেসবুকে দিলে যদি ১০০ লাইক পায় তাহলে ইসমাইল ৫০ হাজার টাকা পাবে। শিশু ইসমাইল সরল বিশ্বাসে তাতে রাজি হয়। ১০ জানুয়ারি সাড়ে ৩টায় সাইমন ইসমাইলকে নিয়ে বের হয়ে হবিগঞ্জ শহরের ২নং পুল এলাকায় এসে একটি সিএনজি-অটোরিক্সাতে করে সদর উপজেলার বৈদ্যার বাজার এলাকায় যায়। সেখান থেকে পায়ে হেঁটে খোয়াই নদীর পার দিয়ে ছবি তুলতে তুলতে এবং ভিডিও করে চরহামুয়া এলাকায় যায়। এর মাঝে সন্ধ্যা হয়ে আসলে খোয়াই নদীর চরে গিয়ে সাইমন নাটকের কথা বলে ইসমাইলের হাত-পা বেঁধে ফেলে। নাটক মনে করে ইসমাইল কোনো বাঁধা দেয়নি। হাত পা বেঁধে মুগুর দিয়ে সাইমন ইসমাইলের মাথায় উপর্যুপরি আঘাত করলে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়। পরে লাশ নদীতে ফেলে সাইমন মোবাইল নিয়ে বাড়িতে চলে আসে।

পুলিশ সুপার মোহাম্মদ উল্ল্যা জানান, হবিগঞ্জ সদর থানার ওসি মাসুক আলীসহ কর্মকর্তাদের আন্তরিক প্রচেষ্টায় দ্রুততম সময়ে আমরা চাঞ্চল্যকর এই ঘটনার রহস্য উদঘাটন করতে পেরেছি। আপাতত মনে হচ্ছে সাইমন ছাড়া আর কেউ হত্যাকাণ্ডে জড়িত নেই। তবে তদন্তে আরও কেউ আছে কি না তা জানা যাবে।

প্রসঙ্গত, মঙ্গলবার রাতে নিহত স্কুলছাত্রের চাচা টেনু মিয়া বাদি হয়ে অজ্ঞাত ৭/৮জনকে আসামী করে হবিগঞ্জ সদর থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। সোমবার দুপুর ১২টায় স্থানীয় লোকজন তার লাশ দেখে সদর থানায় খবর দিলে ওসি মো. মাসুক আলীর নেতৃত্বে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে লাশের সুরতহাল তৈরি করে সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠায়। ইসমাইলের পিতা ফারুক মিয়া সৌদি আরব থেকে দেশে আসার পর মঙ্গলবার বিকেলে তার লাশ দাফন করা হয়।

   

গড়াই নদীতে ডুবে যুবকের মৃত্যু



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুষ্টিয়া
ছবি প্রতীকী

ছবি প্রতীকী

  • Font increase
  • Font Decrease

কুষ্টিয়ার খোকসায় গড়াই নদীতে ডুবে সুমন (২০) নামে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে।

রোববার (৫ এপ্রিল) বিকেলে খোকসা উপজেলার গনেশপুর অংশে গড়াই নদী থেকে মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

মৃত সুমন কুমারখালী উপজেলার রাজাপুর গ্রামের নিজাম উদ্দিনের ছেলে।

খোকসা ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের ফায়ারম্যান হাবিবুর রহমান জানান, সকালের দিকে গড়াই নদীতে মাছ ধরতে যান সুমন। মাছ ধরার এক পর্যায়ে নদীতে ডুবে যান তিনি। বিকেলের দিকে স্থানীয়দের সহায়তায় তার মরদেহ উদ্ধার করে ফায়ার সার্ভিস।

;

কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে বজ্রপাতে কিশোরের মৃত্যু



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুমিল্লা
প্রতীকী ছবি

প্রতীকী ছবি

  • Font increase
  • Font Decrease

কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে ফুটবল খেলার সময় বজ্রপাতে সাফায়েত হোসেন (১৯) নামে একজনের মৃত্যু হয়েছে। এ সময় সালাউদ্দিন (২২) নামের আরেক যুবক গুরুতর আহত হন।

রোববার (৫ এপ্রিল) এই বিকেলে এই ঘটনা ঘটে। তাদের উদ্ধার করে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে লাকসামের একটি ক্লিনিকে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ওই কিশোরকে মৃত ঘোষণা করেন।

স্থানীয় সূত্র জানায়, উপজেলার আদ্রা দক্ষিণ ইউনিয়নের আটিয়াবাড়ি দক্ষিণপাড়া স্কুল বাড়ির আবদুল আউয়ালের ছেলে সাফায়াত হোসেন এদিন বিকেলে সহপাঠীদের সাথে পার্শ্ববর্তী ঘোড়াময়দান গ্রামের একটি মাঠে ফুটবল খেলতে যায়। বিকাল ৫টার দিকে খেলা চলা অবস্থায় আকস্মিক বজ্রপাতে সাফায়েতের পুরো শরীর ঝলসে যায়। তাৎক্ষনিকভাবে তাকে উদ্ধার করে লাকসামের একটি ক্লিনিকে নেয়া হলে সন্ধ্যায় কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

এছাড়া বজ্রপাতে ওই ঘোড়াময়দান গ্রামের নুরুল হকের ছেলে সালাউদ্দিন (২২) গুরুতর আহত হয়ে স্থানীয় একটি ক্লিনিকে চিকিৎসাধীন রয়েছে।

স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আবদুল ওহাব ঘটনার এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

;

লক্ষ্মী ভাইয়েরা বাসায় যান, নিজেসহ দেশকে বাঁচান



নাহিদ রেজা, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঠাকুরগাঁও
ওসি তানভিরুল ইসলাম।

ওসি তানভিরুল ইসলাম।

  • Font increase
  • Font Decrease

আমার লক্ষ্মী ভাইয়েরা দয়া করে বাইরে ঘোরাঘুরি না করে বাসায় যান। নিজে বাঁচেন, পরিবারকে বাঁচান, দেশকে বাঁচান। সচেতন হোন।

ঠিক এসব কথা বলে করোনাভাইরাস প্রতিরোধে জনগণকে সচেতন করছেন ঠাকুরগাঁও সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তানভিরুল ইসলাম। মাঠ পর্যায়ে গিয়ে এভাবে সচেতন করায় সাধুবাদ জানিয়েছে সাধারণ মানুষ।

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার রহিমানপুর ইউনিয়নের রেজাউল ইসলাম বলেন, ‘আমি ওষুধ কেনার জন্য স্থানীয় বাজারে এসেছিলাম। কিছুক্ষণ পর থানার একটি গাড়ি বাজারের সামনে এসে দাঁড়ায় এবং ওসি তানভিরুল সবাইকে বাসায় থাকার জন্য অনুরোধ করেন। এর আগে কখনো জনগণের সঙ্গে পুলিশের এমন ভালো আচরণ দেখি নাই।’

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার চৌড়াস্তা মোড়ে কথা হয় জয়নাল নামে এক পথচারীর সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘আমাদের জেলার পুলিশ সাধারণ জনগণের সঙ্গে ভালো ব্যবহার করছে। তাদের ভাই বলে বাসায় ফিরে যাওয়ার জন্য অনুরোধ করছে। ওসিসহ পুলিশের সদস্যরা নিজেদের কথা চিন্তা না করে আমাদের জন্য এ কাজটি করে যাচ্ছেন। তাদের ধন্যবাদ জানাই।’

স্থানীয় সাহাদত হোসেন নামে একজন বলেন,‘তানভিরুল ভাই একজন মানবিক পুলিশ অফিসার। তার জন্য শুভকামনা ও দোয়া রইল।’

ঠাকুরগাঁও সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তানভিরুল ইসলাম বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘করোনাভাইরাস নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। এ ভাইরাস প্রতিরোধে আমাদের সবাইকে সচেতন হতে হবে। সরকার যেসব দিক নির্দেশনা দিয়েছে সেগুলো মেনে চলতে হবে। জনগণের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার না করে তাদের সচেতন করা হচ্ছে। এতে কাজও হচ্ছে।’

;

ডিবি পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই, যুবক গ্রেফতার



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, নীলফামারী
গ্রেফতার আবেদ আলী।

গ্রেফতার আবেদ আলী।

  • Font increase
  • Font Decrease

নীলফামারীতে গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) উপপরিদর্শক পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই করার অপরাধে আবেদ আলী (২৮) নামে এক যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

রোববার (৫ এপ্রিল) বিকেলে নীলফামারী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমিনুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

আবেদ আলী সৈয়দপুর উপজেলার কাশিরাম বেলপুকুর ইউনিয়নের চওড়া গ্রামের খয়রাত হোসেনের ছেলে।

জানা গেছে, শনিবার (৪ এপ্রিল) দুপুরে জেলা সদরের কুন্দপুকুর ইউনিয়নের আঙ্গারপাড়া গ্রামে মোকছেদুল ইসলামসহ কয়েক যুবক মোবাইলে ভিডিও গেম খেলছিলেন। এ সময় আবেদ আলী নিজেকে সৈয়দপুর থানার ডিবি পুলিশের উপপরিদর্শক পরিচয় দিয়ে ওই যুবকদের কাছ থেকে মোবাইলটি নিয়ে যান। পরে এ বিষয়ে মোবাইলের মালিক মোকছেদুল ইসলাম সদর থানায় অভিযোগ করেন।

এরপর রোববার ভোরে আবেদ আলীর বাড়িতে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করা হয়। ওই সময় তার কাছ থেকে ছিনতাই কাজে ব্যবহৃত একটি খেলনা পিস্তল ও ওয়্যারলেস সেট, একাধিক মোবাইল সিম এবং দুটি পরিচয়পত্র জব্দ করে পুলিশ।

নীলফামারী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমিনুল ইসলাম জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ডিবি পুলিশের ভুয়া পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই করার সত্যতা স্বীকার করেছেন আবেদ আলী। এ ঘটনায় মামলা দায়ের করার পর আদালতের মাধ্যমে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

;