পঞ্চগড়ে বইছে মাঝারি শৈত্য প্রবাহ

  • ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, পঞ্চগড়
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

শীত উপেক্ষা করে বের হয়েছেন কর্মজীবীরা, ছবি: বার্তা২৪.কম

শীত উপেক্ষা করে বের হয়েছেন কর্মজীবীরা, ছবি: বার্তা২৪.কম

গেল কয়েক দিন ধরে দেশের উত্তরের প্রান্তিক জেলা পঞ্চগড়ে বেড়েই চলছে শীতের তীব্রতা। কখনও গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি কখনও ঘন কুয়াশা ও হিমেল হাওয়ার দাপটে দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে শীতের তীব্রতা৷ গত ৩ দিন ধরে সূর্যের দেখা মিলেনি আকাশে। এমনকি গতকাল থেকে শীতের তীব্রতাও অনেক বেশি। ফলে মাঘের শীতে বাঘ কাঁপার উপক্রম হয়েছে। গতকাল রাত থেকে পঞ্চগড়ে কনকনের শীতের সঙ্গে বইছে মাঝারি শৈত্য প্রবাহ ফলে জেলার সাধারণ মানুষেররা পড়েছে চরম ভোগান্তিতে।

মঙ্গলবার (২১ জানুয়ারি) সকাল নয়টায় পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৭.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস যা সারাদেশের মধ্যে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা। গত দিনও দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা পঞ্চগড়েই রেকর্ড করা হয়েছে।

বিজ্ঞাপন

সরেজমিনে দেখা গেছে, গতকাল রাত থেকে পঞ্চগড়ের উপর দিয়ে পাহাড়ি হিমেল হাওয়া ও ঘন কুয়াশার সাথে মাঝারি শৈত্য প্রবাহ বইছে ফলে অন্যান্য দিনের তুলনায় গত দুদিন ধরে শীতের তীব্রতা মাত্রাতিরিক্ত। গরম কাপড়ও যেন শীতের কাছে হার মেনেছে। অন্যদিকে হাড় কাঁপানো কনকনে শীতের কামড়ে নাজেহাল অবস্থা জেলার সকল শ্রেণীর মানুষদের। তবে সবচেয়ে ভোগান্তির কবলে পড়েছে ছিন্নমূল ও নিম্ন আয়ের মানুষেরা। সময় মতো কাজে যেতে পারছেন না অনেকেই। তাছাড়া দিনের বেলায় হেডলাইট জ্বালিয়ে চলাচল করলেও রাতের বেলায় ঘনকুয়াশায় আধারে নিমজ্জিত হয়ে পড়ে। ফলে থেমে থেমে যানবাহনগুলো সড়কে চলতে দেখা গেছে।

শৈত্য প্রবাহের কারণে ভোগান্তিতে পড়েছে নিম্ন আয়ের মানুষেরা

পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ার বাসিন্দা রবিউল ইসলাম জানান, 'আজ প্রচুর ঠান্ডা করে, এমন ঠান্ডা জীবনে দেখিনি। গরম কাপড় পরিধানের পরেও ঠান্ডায় থাকা যায় না।

বিজ্ঞাপন

একই দুর্ভোগের কথা জানান মহানন্দা নদীতে পাথর উত্তোলন শ্রমিক নকিবুল ইসলাম। তিনি জানান, 'শীতের তীব্রতা কাল থেকেই অনেক বেশি। সকাল থেকে নদীর ধারে বসে আছি। পানি ঠান্ডা হওয়ার কারণে পানিতে নামতে না পারায়, বসে বেকার সময় পার করছি।'

এদিকে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে জেলার শীতার্ত মানুষদের মাঝে প্রায় ৪৫ হাজার শীতবস্ত্র বিতরণ করা হলেও প্রয়োজনের তুলনায় অনেক কম। ফলে ছিন্নমূল ও নিম্ন আয়ের মানুষেরা শীতের শীতবস্ত্র না পেয়ে খড়কুটো জ্বালিয়ে শীতের উষ্ণতা নেওয়ার চেষ্টা করছে। শীতের কারণে দিন দিন হাসপাতালগুলোতেও শীতজনিত রোগীর সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে।