জিডিপির অর্জন খেয়ে ফেলছে দুর্নীতি: দুদক কমিশনার
দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) কমিশনার (তদন্ত) এ এফ এম আমিনুল ইসলাম বলেছেন, দক্ষিণ এশিয়ার মানুষ বেশি ধর্মভীরু। অথচ এ অঞ্চলের মানুষ বেশি দুর্নীতি করে। এ দুর্নীতিই বাংলাদেশের জিডিপি অর্জনের আড়াই থেকে তিন ভাগ খেয়ে ফেলছে।
বুধবার (২২ জানুয়ারি) সকালে সিরাজগঞ্জ শহরের শহীদ এম, মনসুর আলী অডিটোরিয়ামে ‘জনতার শক্তি, রুখবে দুর্নীতি’- এই স্লোগানে আয়োজিত গণশুনানি অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
দুদক কমিশনার বলেন, দুর্নীতি একটি সামাজিক ব্যাধি। এটা থেকে মানুষকে বেরিয়ে আসতে হবে। এজন্য দুর্নীতিবাজকে আগে জনগণের কাছে ক্ষমা চাইতে হবে, তারপর আল্লাহর কাছে ক্ষমা চাইতে হবে। তবেই তিনি ক্ষমা পেতে পারেন।
তিনি আরও বলেন, দেশের বিভিন্ন স্থানে এ পর্যন্ত ১৪১টি গণশুনানি অনুষ্ঠিত হয়েছে। গত দেড় বছরে দুদকে ৩৭ লাখের অধিক অভিযোগ জমা পড়েছে। এর মধ্যে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগই বেশি। যেগুলো আমাদের তদন্ত করার ক্ষমতা নেই, সেগুলো সংশ্লিষ্ট দপ্তরে পাঠিয়ে দেয়া হয়েছে।
এ উপলক্ষে দুদক সমন্বিত (সিরাজগঞ্জ-পাবনা) কার্যালয়ের আয়োজনে জেলা প্রশাসক ড. ফারুক আহাম্মদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় দুর্নীতি দমন কমিশন রাজশাহী বিভাগীয় পরিচালক মোর্শেদ আলম, সিরাজগঞ্জ-পাবনা অঞ্চলের উপ-পরিচালক মোয়াজ্জেম হোসেন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আবু ইউসুফ ও জেলা দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির সভাপতি হেলাল আহম্মেদ বক্তব্য রাখেন।
সভা শেষে গণশুনানি শুরু হয়। গণশুনানিতে বিভিন্ন দফতরের বিরুদ্ধে করা ৪৩টি অভিযোগ উত্থাপিত হয়। এর মধ্যে সিরাজগঞ্জ সিভিল সার্জন অফিসের স্বাস্থ্য - শিক্ষা অফিসার ইমান আলীর অনিয়ম ও দুর্নীতি, বদলিজনিত কারণে উৎকোচ দাবি করায় প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জাহাঙ্গীর আলম এবং ভিজিডি কার্ডের অর্থ আত্মসাতের দায়ে সদর উপজেলার কালিয়া হরিপুর পরিষদের বিরুদ্ধে উত্থাপিত অভিযোগ আমলে নিয়ে দুদকের তদন্তের জন্য নির্দেশ দেয়া হয়। বাকিগুলো বিভাগীয় তদন্তের মাধ্যমে ৭ থেকে ১০ কর্মদিবসের মধ্যে নিষ্পত্তি করার জন্য নির্দেশ দেন দুদক কমিশনার।