দিপুকে জাপা থেকে সরাতে যুবলীগের আল্টিমেটাম

  • ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, গাজীপুর
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

যুবলীগের বিক্ষোভ মিছিল, ছবি: সংগৃহীত

যুবলীগের বিক্ষোভ মিছিল, ছবি: সংগৃহীত

শ্রমিক লীগের জনপ্রিয় নেতা আহসান উল্লাহ মাস্টার হত্যা মামলায় মৃত্যুদণ্ডাদেশ পাওয়া নূরুল ইসলাম দিপুকে জাতীয় পার্টির যুগ্ম মহাসচিব পদ থেকে সরাতে তিন দিনের সময় বেঁধে দিয়েছে যুবলীগ।

শনিবার (২৫ জানুয়ারি) বিকেলে গাজীপুর মহানগর যুবলীগের উদ্যোগে শহরের দলীয় কার্যালয়ের সামনে অনুষ্ঠিত বিক্ষোভ ও প্রতিবাদ সভা থেকে এ ঘোষণা দেওয়া হয়। পরে দলীয় কার্যালয়ের সামনে থেকে একটি মিছিল বের হয়ে তা শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে সমাবেশে মিলিত হয়।

বিজ্ঞাপন

মহানগর যুব লীগের যুগ্ম আহ্বায়ক সাইফুল ইসলামের সঞ্চালনায় ও যুবলীগের আহ্বায়ক কামরুল আহসান সরকার রাসেলের সভাপতিত্বে প্রতিবাদ সমাবেশে বক্তব্য দেন মহানগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা আব্দুর রউফ নয়ন, যুবলীগ নেতা আলমগীর হোসেন, জামাল উদ্দিন সরকার, মীর ওসমান গণি কাজল, ইকবাল মাস্টার প্রমুখ।

কামরুল আহসান বলেন, আগামী ৩ দিনের মধ্যে এই দাবি না মানলে জাতীয় পার্টির কোনও নেতাকর্মী রাস্তায় বের হতে পারবে না। যেখানেই জাতীয় পার্টির নেতা-কর্মীদের দেখা যাবে, সেখানেই তাদের ‘গণধোলাই’ দেওয়া হবে।

বিজ্ঞাপন

আওয়ামী লীগের সব ধরনের অনুষ্ঠানে জাতীয় পার্টির নেতাকর্মীদের অংশ না নিতেও হুঁশিয়ারি দেন বক্তারা।

গত ১৭ জানুয়ারি দিপুকে জাতীয় পার্টির যুগ্ম মহাসচিব করার পর থেকে গাজীপুরে ক্ষমতাসীন দলের নেতা-কর্মীরা প্রতিবাদ কর্মসূচি পালন করে আসছে। ইতোমধ্যে জাতীয় পার্টি ও এর নেতাদের অবাঞ্ছিত ঘোষণা করা হয়েছে।

এদিকে, শুক্রবার (২৪ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় দিপু ও তার কারাবন্দী ভাই শহিদুল ইসলাম শিপুর বাড়িতে ভাঙচুর করে আগুন দেয় কিছু দুর্বৃত্ত। হামলাকারীরা এ সময় ঘটনার প্রমাণ নষ্ট করতে বাড়িতে থাকা ক্লোজ সার্কিট (সিসি) ক্যামেরার হার্ডডিস্ক খুলে নিয়ে যায়।

উল্লেখ্য, আহসান উল্লাহ মাস্টারকে ২০০৪ সালের ৭ মে এক সমাবেশে প্রকাশ্যে গুলি করে হত্যা করা হয়। পরে তার ছোট ভাই আওয়ামী লীগ নেতা মতিউর রহমান বাদী হয়ে টঙ্গী থানার তৎকালীন জাতীয় ছাত্র সমাজের সাধারণ সম্পাদক নূরুল ইসলাম দীপুকে প্রধান আসামি করে ৩০ জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা করেন।

হত্যাকাণ্ডের পর থেকেই ফেরারি দীপু ইউরোপের নানা দেশ ঘুরে বেড়াচ্ছেন। তার ভাই শিপু ও টিপু একই মামলায় দণ্ড পেয়ে ১৪ বছর ধরে কারাগারে রয়েছেন। তারা টঙ্গীর গোপালপুর এলাকার রফিকুল ইসলাম ওরফে রফু কনট্রাক্টরের ছেলে।