চুয়াডাঙ্গায় বাণিজ্যিকভাবে ক্যাপসিকাম চাষ হচ্ছে

  • অনিক চক্রবর্ত্তী, ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চুয়াডাঙ্গা
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ক্যাপসিকাম গাছ, ছবি: বার্তা২৪.কম

ক্যাপসিকাম গাছ, ছবি: বার্তা২৪.কম

চুয়াডাঙ্গায় বাণিজ্যিকভাবে ক্যাপসিকাম চাষ করা হচ্ছে। আর এতে করে গ্রামের বেকার যুবকদের আত্মকর্মসংস্থানের সৃষ্টি হচ্ছে। পাশাপাশি পুষ্টির চাহিদা মেটাচ্ছে ক্যাপসিকাম নামক এই সবজিটি।

চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার গাড়াবাড়িয়া নুরনগর গ্রামে ক্যাপসিকাম চাষ করছেন কৃষকরা। এই গ্রামে সাধারণত মাটি উর্বর হওয়ায় ক্যাপসিকাম চাষ ভালো হয়।

বিজ্ঞাপন
ক্যাপসিকাম গাছে ফল ধরেছে, ছবি: বার্তা২৪.কম

নুরনগর গ্রামের কৃষক গোলাম আলী জানান, ক্যাপসিকাম সবজির বীজ তাইওয়ান থেকে বাংলাদেশে আনেন তারা। সেপ্টেম্বর মাসের পরপরই বীজ বপন করতে হয়। ১ মাসের মধ্যে চারা গজায়। এরপর চারা মাটিতে রোপণ করতে হয়। অক্টোবর-নভেম্বর মাসে চারা মাটিতে রোপণের উপযোগী সময়। চারা লাগানোর এক মাসের ভেতরে গাছে ফল ধরে। ১৫ দিন পরে ফল বিক্রি করা যায়। ১ বিঘা জমিতে ক্যাপসিকাম চাষে খরচ হয় ৬০ হাজার টাকা। এক বিঘা জমিতে ৫ হাজার ক্যাপসিকামের চারা রোপণ করা যায়।

একই গ্রামের খাইরুল ইসলাম বার্তা২৪.কমকে জানান, গত বছর ১ বিঘা জমিতে ক্যাপসিকাম চাষ করে ভালো লাভ হয়। এ কারণে চলতি মৌসুমে ২০ বিঘা জমিতে ক্যাপসিকাম চাষ করেছেন। জমিতে লাগানো প্রতিটি গাছে ফল ধরেছে। প্রতি কেজি ক্যাপসিকাম ১০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করছেন। চলতি মৌসুমে ৪ লাখ টাকার ক্যাপসিকাম বিক্রি করেছেন। জমিতে এখনো ৬ লাখ টাকার ক্যাপসিকাম রয়েছে।

বিজ্ঞাপন
ক্যাপসিকাম চারা লাগানোর এক মাসের ভেতরে গাছে ফল ধরে, ছবি: বার্তা২৪.কম

চুয়াডাঙ্গা জেলার কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক আলী হাসান বার্তা২৪.কমকে জানান, জেলার আবহাওয়া ভালো হওয়ায় এখানে ক্যাপসিকাম চাষ ভালো হয়। জেলার সাধারণ কৃষকদের মাঝে ক্যাপসিকাম চাষে উৎসাহ বাড়াতে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর কাজ করছে।