দখলে সরকারি রাস্তা, অব্যবহৃত অর্ধকোটি টাকার কালভার্ট

  • মো.তারেক রহমান, ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চাঁপাইনবাবগঞ্জ
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

অর্ধকোটি টাকার কালভার্ট অব্যবহৃত/ ছবি: বার্তা২৪.কম

অর্ধকোটি টাকার কালভার্ট অব্যবহৃত/ ছবি: বার্তা২৪.কম

প্রায় ৫০ হাজার মানুষের সহজ পারাপার ও কানসাট এলাকার পানি নিষ্কাশনের জন্য বাঘিতলা এলাকায় একটি কালভার্ট নির্মাণ করা হয়। ২০১৬-১৭ অর্থ বছরে ৫০ লাখ ৯৪ হাজার ৫শ টাকা ব্যয়ে কালভার্টটি নির্মাণ করে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদফতর। সেতুটি নির্মাণের পর হতেই অব্যবহৃতভাবে পড়ে রয়েছে। কালভার্টের ওপরে শুকানো হচ্ছে খড়কুটো। 

সরজমিনে শিবগঞ্জ উপজেলার কানসাট ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডের বাঘিতলায় গিয়ে দেখা যায়, কালভার্টটির পূর্ব দিকে রাস্তা ফাঁকা থাকলেও পশ্চিম দিকের সরকারি রাস্তা দখল করে ঘর তুলে বসবাস করছেন জালাল উদ্দীন, তৈয়ব আলী, রুপচান, বারিক শুকমার ও শফিকুলসহ প্রায় ৬টি পরিবার। তারা সরকারি রাস্তা না ছাড়ায় সড়ক নির্মাণ করতে পারেনি শিবগঞ্জ উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন দফতর। ফলে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে স্থানীয় বাসিন্দাদের।

বিজ্ঞাপন
কালভার্টের দু'পাশে সড়ক নেই/ছবি: বার্তা২৪.কম

জানা গেছে, কালভার্টটির পশ্চিম পার্শ্বে একটি নুরানি মাদ্রাসা ও বাঘিতলা বাজার রয়েছে। মাদ্রাসার শিক্ষার্থী-শিক্ষক ও বাজারের লোকজনের একমাত্র চলার সহজ রাস্তা ওই কালভার্টটিই। কিন্তু রাস্তা দখল করে বাড়ি তৈরি করায় তাদের যাতায়াতের পথটিও বন্ধ রয়েছে।

সরকারি রাস্তা দখল করে ঘর নির্মাণ/ ছবি: বার্তা২৪.কম

স্থানীয় বাসিন্দা জামাল, মিল্টন ও মতিউর জানান, জনগণের সহজ চলাচল ও দুর্ভোগ কমাতে কালভার্টটি নির্মাণ করা হয়। ৫০ লাখ টাকার কালর্ভাটটি অচল অবস্থায় পড়ে রয়েছে। ফলে আরও দুর্ভোগ বেড়েছে স্থানীয়দের। তারা দ্রুত অবৈধ দখলদারদের উচ্ছেদ করে সড়কটি উন্মুক্ত করতে স্থানীয় প্রশাসনের প্রতি দাবি জানান।

বিজ্ঞাপন
কালভার্টে শুকানো হচ্ছে খড়কুটো/ছবি: বার্তা২৪.কম

সরকারি সড়ক দখল করে রাখার কথা স্বীকার করে বাড়ির মালিক জাহান, রুপচান ও শফিকুল জানান, আমরা সরকারি রাস্তা ছেড়ে দিতে প্রস্তুত আছি। তবে সরকারিভাবে আমাদের পুনর্বাসন করতে হবে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে কানসাট ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান বেনাউল ইসলাম জানান, কালভার্টটি নির্মাণের পরই ইউপি নির্বাচনে ব্যস্ত হয়ে পড়েছিলাম। তারপর আর কেউ এ বিষয়ে কিছু জানায়নি। তবে দ্রুতই স্থানীয় প্রশাসনে সাথে কথা বলে সড়কটি ব্যবহারে ব্যবস্থা করা হবে।

প্রায় অর্ধকোটি টাকা ব্যয়ে কালভার্টটি নির্মাণ করা হয়/ ছবি: বার্তা২৪.কম

জানতে চাইলে শিবগঞ্জ উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা প্রকৌশলী আরিফুল ইসলাম জানান, কালভার্ট আছে রাস্তা নাই-এটি মূলত ইউপি চেয়ারম্যানের দেখার কথা। তার পরেও আমি সরজমিন পরিদর্শন করে দ্রুত ব্যবস্থা নেব।