হত্যা মামলার অভিযুক্তকে অব্যাহতি কেন, আদালতে ব্যাখ্যা পুলিশ-ম্যাজিস্ট্রেটের



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, নাটোর
জেলা ও দায়রা জজ আদালত, ছবি: সংগৃহীত

জেলা ও দায়রা জজ আদালত, ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

নাটোরে বেসরকারি হাসপাতালের সেবিকা হত্যার ঘটনায় প্রধান আসামিকে অব্যাহতির সুপারিশ করায় পুলিশ কর্মকর্তাদের এবং তা মঞ্জুর করায় অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে এর ব্যাখ্যা চেয়েছিলেন আদালত। সেই মোতাবেক তদন্তকারী পুলিশ কর্মকর্তা ও ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে তাদের নিজ বক্তব্য পেশ করেছেন।

ব্যাখ্যায় ১৬৪ ধারায় দেওয়া আসামির জবানবন্দী তদন্তে অভিযুক্ত হত্যাকারীকে কেন অব্যাহতি দেওয়ার সুপারিশ করা হয় তা জানানো হয়েছে তদন্তকারী কর্তৃপক্ষ জেলা গোয়েন্দা পুলিশের পক্ষ থেকে।

সোমবার (২৭ জানুয়ারি) দুপুরে এ সংক্রান্ত ব্যাখ্যা জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক বরাবর জমা দেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা গোয়েন্দা পুলিশের উপ-পরিদর্শক মাসুদ রানা। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁসুলি(পিপি) অ্যাডভোকেট সিরাজুল ইসলাম ও জেলা গোয়েন্দা পুলিশের অফিসার ইনচার্জ সৈকত হাসান।

গত বছরের ২১ ডিসেম্বর হত্যা মামলার প্রধান আসামিকে অব্যাহতির সুপারিশ করায় তদন্তকারী কর্মকর্তা এবং তা মঞ্জুর করায় অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে এর ব্যাখ্যা চান জেলা ও দায়রা জজ আবদুর রহমান সরদার। সোমবার নির্ধারিত দিনে ব্যাখ্যাটি আদালতে দাখিল করা হয়।

জানা যায়, ২০১৮ সালের ১৪ ডিসেম্বর সকালে শহরের চকরামপুরের জেনারেল হাসপাতালের পঞ্চম তলায় ছুরিকাঘাতে খুন হন হাসপাতালের সেবিকা ও নলডাঙ্গা উপজেলার নশরতপুর গ্রামের লাল মোহম্মদের মেয়ে মিতা খাতুন। তিনি সেবিকার পাশাপাশি ওই হাসপাতালের অর্থ ব্যবস্থাপক হিসেবেও কর্মরত ছিলেন।

হত্যাকাণ্ডের পর নিহত মিতার ভাই শোয়েব হোসেন একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। এই ঘটনায় জড়িত সন্দেহে পুলিশ ওই হাসপাতালের সুইপার সাগর জমাদারকে আটক করে।

আটক সাগর হত্যাকাণ্ডের কথা স্বীকার করে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেয়। জবানবন্দিতে সাগর জানান, মিতাকে হত্যা করেছেন হাসপাতালের মালিক আজিজ মোল্লা। তার সঙ্গে মিতার অবৈধ সম্পর্ক ছিল।

হত্যার বর্ণনায় সাগর বলেন, ঘটনার দিন হাসপাতালের ৫ম তলায় মিতার সঙ্গে আজিজ মোল্লার কথা কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে সার্জিকাল ছুরি দিয়ে আজিজ মিতার গলায় আঘাত করে। এরপর আজিজের নির্দেশে মিতার গলায় দ্বিতীয়বার আঘাত করে সাগর। মৃত্যু নিশ্চিত হলে তারা দুইজনেই পালিয়ে যান।

এই জবানবন্দির ভিত্তিতেই স্বত্বাধিকারী আজিজকে গ্রেফতার করে গোয়েন্দা পুলিশ।

কিন্তু ২০১৯ সালের ২৮ জুলাই সাগরকে মূল আসামি করে আজিজকে মামলা থেকে অব্যাহতির সুপারিশ চেয়ে তদন্তকারী কর্মকর্তা অভিযোগপত্র দাখিল করেন। বিচারক মামুনুর রশীদ আজিজকে অব্যাহতি দিয়ে মামলা চালিয়ে যাওয়ার নির্দেশ দেন।

মামলাটি বিচারের জন্য জেলা ও দায়রা জজ আদালতে এলে সাগরের আইনজীবী ১৬৪ ধারায় জবানবন্দির মূল অভিযুক্তকে অব্যাহতি দেয়ার প্রসঙ্গ তুলে জামিন আবেদন করলে সম্পূর্ণ বেআইনিভাবে আজিজ মোল্লাকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে বলে মন্তব্য করেন। এ সময় তদন্তকারী কর্মকর্তা ও অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের নিকট সুপারিশ ও অব্যাহতির ব্যাখ্যা চান বিচারক আবদুর রহমান সরদার।

কী কারণে অভিযুক্ত আসামিকে অব্যাহতির সুপারিশ করা হলো জানতে চাইলে জেলা গোয়েন্দা পুলিশের অফিসার ইনচার্জ সৈকত হাসান বলেন, হাসপাতাল মালিক আজিজ মোল্লাকে ফাঁসানোর জন্য জবানবন্দিতে তাকে মূল হত্যাকারী বলেন সাগর জমাদার। তদন্তে বিষয়টি স্পষ্ট হয়। জবানবন্দিতে সাগর মিতার গলায় দুজনের আঘাত দেওয়ার কথা জানালেও মরদেহের ময়না তদন্তের পর দেখে গেছে গলায় একটি আঘাত রয়েছে। এছাড়া সিসিটিভি ফুটেজে দেখা যায় হত্যাকাণ্ডের সময় পাঁচ তলায় শুধু সাগর উপস্থিত ছিল। আজিজ মোল্লা ঘটনাস্থলে পরে যান। জবানবন্দির সঙ্গে সিসিটিভির ফুটেজে মিল না পাওয়ায় আজিজের জন্য অব্যাহতি চাওয়া হয়।

১৬৪ ধারার জবানবন্দির আলোকে তদন্ত প্রতিবেদন না হওয়ার পরও অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটে কর্তৃক অভিযোগপত্র গ্রহণ ও অব্যাহতির সুপারিশ কেন জেলা ও দায়রা জজ আদালত কর্তৃক প্রশ্নবিদ্ধ হলো সে সম্পর্কে রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁসুলি অ্যাডভোকেট সিরাজুল ইসলাম বলেন, অভিযোগপত্র বা অভিযুক্ত আজিজ মোল্লার সম্পৃক্ততার ব্যাপারে মামলার বাদীর কোন আপত্তি ছিল না। আপত্তি থাকলে অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারকের পুনঃতদন্তের নির্দেশ দিতেন। নিয়মানুযায়ী পুনঃতদন্তের সুযোগ না থাকায় বিচারক আজিজ মোল্লাকে অব্যাহতির সুপারিশ করেন।

সিরাজুল ইসলাম আরও জানান, পুলিশের দেখা ব্যাখ্যা তিনি পেয়েছেন যা আদালতে প্রেরণের প্রক্রিয়া চলছে। তবে অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট নিজেই তার ব্যাখ্যা আদালতে পাঠাবেন।

   

গড়াই নদীতে ডুবে যুবকের মৃত্যু



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুষ্টিয়া
ছবি প্রতীকী

ছবি প্রতীকী

  • Font increase
  • Font Decrease

কুষ্টিয়ার খোকসায় গড়াই নদীতে ডুবে সুমন (২০) নামে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে।

রোববার (৫ এপ্রিল) বিকেলে খোকসা উপজেলার গনেশপুর অংশে গড়াই নদী থেকে মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

মৃত সুমন কুমারখালী উপজেলার রাজাপুর গ্রামের নিজাম উদ্দিনের ছেলে।

খোকসা ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের ফায়ারম্যান হাবিবুর রহমান জানান, সকালের দিকে গড়াই নদীতে মাছ ধরতে যান সুমন। মাছ ধরার এক পর্যায়ে নদীতে ডুবে যান তিনি। বিকেলের দিকে স্থানীয়দের সহায়তায় তার মরদেহ উদ্ধার করে ফায়ার সার্ভিস।

;

কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে বজ্রপাতে কিশোরের মৃত্যু



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুমিল্লা
প্রতীকী ছবি

প্রতীকী ছবি

  • Font increase
  • Font Decrease

কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে ফুটবল খেলার সময় বজ্রপাতে সাফায়েত হোসেন (১৯) নামে একজনের মৃত্যু হয়েছে। এ সময় সালাউদ্দিন (২২) নামের আরেক যুবক গুরুতর আহত হন।

রোববার (৫ এপ্রিল) এই বিকেলে এই ঘটনা ঘটে। তাদের উদ্ধার করে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে লাকসামের একটি ক্লিনিকে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ওই কিশোরকে মৃত ঘোষণা করেন।

স্থানীয় সূত্র জানায়, উপজেলার আদ্রা দক্ষিণ ইউনিয়নের আটিয়াবাড়ি দক্ষিণপাড়া স্কুল বাড়ির আবদুল আউয়ালের ছেলে সাফায়াত হোসেন এদিন বিকেলে সহপাঠীদের সাথে পার্শ্ববর্তী ঘোড়াময়দান গ্রামের একটি মাঠে ফুটবল খেলতে যায়। বিকাল ৫টার দিকে খেলা চলা অবস্থায় আকস্মিক বজ্রপাতে সাফায়েতের পুরো শরীর ঝলসে যায়। তাৎক্ষনিকভাবে তাকে উদ্ধার করে লাকসামের একটি ক্লিনিকে নেয়া হলে সন্ধ্যায় কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

এছাড়া বজ্রপাতে ওই ঘোড়াময়দান গ্রামের নুরুল হকের ছেলে সালাউদ্দিন (২২) গুরুতর আহত হয়ে স্থানীয় একটি ক্লিনিকে চিকিৎসাধীন রয়েছে।

স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আবদুল ওহাব ঘটনার এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

;

লক্ষ্মী ভাইয়েরা বাসায় যান, নিজেসহ দেশকে বাঁচান



নাহিদ রেজা, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঠাকুরগাঁও
ওসি তানভিরুল ইসলাম।

ওসি তানভিরুল ইসলাম।

  • Font increase
  • Font Decrease

আমার লক্ষ্মী ভাইয়েরা দয়া করে বাইরে ঘোরাঘুরি না করে বাসায় যান। নিজে বাঁচেন, পরিবারকে বাঁচান, দেশকে বাঁচান। সচেতন হোন।

ঠিক এসব কথা বলে করোনাভাইরাস প্রতিরোধে জনগণকে সচেতন করছেন ঠাকুরগাঁও সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তানভিরুল ইসলাম। মাঠ পর্যায়ে গিয়ে এভাবে সচেতন করায় সাধুবাদ জানিয়েছে সাধারণ মানুষ।

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার রহিমানপুর ইউনিয়নের রেজাউল ইসলাম বলেন, ‘আমি ওষুধ কেনার জন্য স্থানীয় বাজারে এসেছিলাম। কিছুক্ষণ পর থানার একটি গাড়ি বাজারের সামনে এসে দাঁড়ায় এবং ওসি তানভিরুল সবাইকে বাসায় থাকার জন্য অনুরোধ করেন। এর আগে কখনো জনগণের সঙ্গে পুলিশের এমন ভালো আচরণ দেখি নাই।’

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার চৌড়াস্তা মোড়ে কথা হয় জয়নাল নামে এক পথচারীর সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘আমাদের জেলার পুলিশ সাধারণ জনগণের সঙ্গে ভালো ব্যবহার করছে। তাদের ভাই বলে বাসায় ফিরে যাওয়ার জন্য অনুরোধ করছে। ওসিসহ পুলিশের সদস্যরা নিজেদের কথা চিন্তা না করে আমাদের জন্য এ কাজটি করে যাচ্ছেন। তাদের ধন্যবাদ জানাই।’

স্থানীয় সাহাদত হোসেন নামে একজন বলেন,‘তানভিরুল ভাই একজন মানবিক পুলিশ অফিসার। তার জন্য শুভকামনা ও দোয়া রইল।’

ঠাকুরগাঁও সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তানভিরুল ইসলাম বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘করোনাভাইরাস নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। এ ভাইরাস প্রতিরোধে আমাদের সবাইকে সচেতন হতে হবে। সরকার যেসব দিক নির্দেশনা দিয়েছে সেগুলো মেনে চলতে হবে। জনগণের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার না করে তাদের সচেতন করা হচ্ছে। এতে কাজও হচ্ছে।’

;

ডিবি পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই, যুবক গ্রেফতার



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, নীলফামারী
গ্রেফতার আবেদ আলী।

গ্রেফতার আবেদ আলী।

  • Font increase
  • Font Decrease

নীলফামারীতে গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) উপপরিদর্শক পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই করার অপরাধে আবেদ আলী (২৮) নামে এক যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

রোববার (৫ এপ্রিল) বিকেলে নীলফামারী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমিনুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

আবেদ আলী সৈয়দপুর উপজেলার কাশিরাম বেলপুকুর ইউনিয়নের চওড়া গ্রামের খয়রাত হোসেনের ছেলে।

জানা গেছে, শনিবার (৪ এপ্রিল) দুপুরে জেলা সদরের কুন্দপুকুর ইউনিয়নের আঙ্গারপাড়া গ্রামে মোকছেদুল ইসলামসহ কয়েক যুবক মোবাইলে ভিডিও গেম খেলছিলেন। এ সময় আবেদ আলী নিজেকে সৈয়দপুর থানার ডিবি পুলিশের উপপরিদর্শক পরিচয় দিয়ে ওই যুবকদের কাছ থেকে মোবাইলটি নিয়ে যান। পরে এ বিষয়ে মোবাইলের মালিক মোকছেদুল ইসলাম সদর থানায় অভিযোগ করেন।

এরপর রোববার ভোরে আবেদ আলীর বাড়িতে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করা হয়। ওই সময় তার কাছ থেকে ছিনতাই কাজে ব্যবহৃত একটি খেলনা পিস্তল ও ওয়্যারলেস সেট, একাধিক মোবাইল সিম এবং দুটি পরিচয়পত্র জব্দ করে পুলিশ।

নীলফামারী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমিনুল ইসলাম জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ডিবি পুলিশের ভুয়া পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই করার সত্যতা স্বীকার করেছেন আবেদ আলী। এ ঘটনায় মামলা দায়ের করার পর আদালতের মাধ্যমে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

;