এবার জাপাকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা পূবাইল থানা আ.লীগের

  • ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, গাজীপুর
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

জাপাকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করে প্রতিবাদ, ছবি: সংগৃহীত

জাপাকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করে প্রতিবাদ, ছবি: সংগৃহীত

শ্রমিক লীগের জনপ্রিয় নেতা আহসান উল্লাহ মাস্টার হত্যা মামলায় মৃত্যুদণ্ডাদেশ পাওয়া নূরুল ইসলাম দিপুকে জাতীয় পার্টির যুগ্ম মহাসচিব করায় এবার পূবাইলে দলটিকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করেছে আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গ সংগঠনের নেতা-কর্মীরা।

সোমবার (২৭ জানুয়ারি) বিকেলে পূবাইল থানা আওয়ামী লীগের উদ্যোগে মিরের বাজার এলাকায় অনুষ্ঠিত বিক্ষোভ ও প্রতিবাদ সভা থেকে এ ঘোষণা দেওয়া হয়।

বিজ্ঞাপন

এর আগে কালীগঞ্জ-পূবাইল সড়ক অবরোধ করে নূরুল ইসলাম দিপুর কুশপুত্তলিকা দাহ করা হয়।

মহানগর আওয়ামী লীগের শ্রম বিষয়ক সম্পাদক জাহিদ আল মামুনের নেতৃত্বে কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন গাজীপুর মহানগর আওয়ামী লীগের মহিলা বিষয়ক সম্পাদক হোসনে আরা সিদ্দিকী জুলি, মুক্তিযোদ্ধা ও সাবেক পূবাইল ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি কাজী আলী হোসেন মাস্টার, মুক্তিযোদ্ধা মিজানুর রহমান মাস্টার, ৩৯ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর শাহিনুল আলম মৃধা, ৪১ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মোমেন মিয়া, মহিলা কাউন্সিলর জ্যোৎস্না বেগম, পূবাইল ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি মাসুদুল হাসান বিল্লাল, যুবলীগ নেতা ইকবাল মাস্টার প্রমুখ।

বিজ্ঞাপন

বক্তারা নূরুল ইসলাম দিপুকে গ্রেফতার ও জাতীয় পার্টির গুরুত্বপূর্ণ এই পদ থেকে অব্যাহতির দাবি জানান। দ্রুত সময়ের মধ্যে তাদের দাবি না মানলে পরবর্তীতে আরও কঠোর কর্মসূচির হুঁশিয়ারি দেন তারা।

এদিকে, গত ১৭ জানুয়ারি দিপুকে জাতীয় পার্টির যুগ্ম মহাসচিব করার পর থেকে গাজীপুরে ক্ষমতাসীন দলের নেতা-কর্মীরা প্রতিবাদ কর্মসূচি পালন করে আসছে। ইতোমধ্যে টঙ্গী ও গাজীপুর সদরে জাতীয় পার্টি ও এর নেতাদের অবাঞ্ছিত ঘোষণা করা হয়েছে। গত ২৪ জানুয়ারি সন্ধ্যায় দিপু ও তার কারাবন্দী ভাই শহিদুল ইসলাম শিপুর বাড়ি ভাঙচুর করে আগুন দেওয়া হয়। হামলাকারীরা এই ঘটনার প্রমাণ নষ্ট করতে বাড়িতে থাকা ক্লোজ সার্কিট (সিসি) ক্যামেরার হার্ডডিস্ক খুলে নিয়ে যায়।

উল্লেখ্য, আহসান উল্লাহ মাস্টারকে ২০০৪ সালের ৭ মে এক সমাবেশে প্রকাশ্যে গুলি করে হত্যা করা হয়। পরে তার ছোট ভাই আওয়ামী লীগ নেতা মতিউর রহমান বাদী হয়ে টঙ্গী থানার তৎকালীন জাতীয় ছাত্র সমাজের সাধারণ সম্পাদক নূরুল ইসলাম দীপুকে প্রধান আসামি করে ৩০ জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা করেন।

হত্যাকাণ্ডের পর থেকেই ফেরারি দীপু ইউরোপের নানা দেশে ঘুরে বেড়াচ্ছেন। তার ভাই শিপু ও টিপু একই মামলায় দণ্ড পেয়ে ১৪ বছর ধরে কারাগারে রয়েছেন। তারা টঙ্গীর গোপালপুর এলাকার রফিকুল ইসলাম ওরফে রফু কন্ট্রাক্টরের ছেলে।