নির্যাতন-চাঁদাবাজির প্রতিবাদে নাটোরে অ্যাম্বুলেন্স সেবা বন্ধ

  • ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, নাটোর
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

হয়রানির প্রতিবাদে  নাটোর থেকে রাজশাহী মেডিকেলে রোগী পরিবহন সেবা বন্ধ করা হয়েছে/ছবি: বার্তা২৪.কম

হয়রানির প্রতিবাদে নাটোর থেকে রাজশাহী মেডিকেলে রোগী পরিবহন সেবা বন্ধ করা হয়েছে/ছবি: বার্তা২৪.কম

হয়রানি, নির্যাতন ও চাঁদাবাজির প্রতিবাদে নাটোর থেকে রাজশাহী মেডিকেলে রোগী পরিবহন সেবা বন্ধ করে দিয়েছে নাটোরের বেসরকারি অ্যাম্বুলেন্স চালকরা।

হয়রানি বন্ধে নাটোরের সকল বেসরকারি অ্যাম্বুলেন্স সার্ভিসের চালকরা রাজশাহী মেডিকেলে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ দাবি করে রাজশাহী মেডিকেলে রোগী পরিবহণ বন্ধ করে দেয়। একইসঙ্গে তারা সদর হাসপাতাল চত্বরে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করে প্রশাসনের কাছে প্রতিকার দাবি করেন।

বিজ্ঞাপন

মঙ্গলবার (২৮ জানুয়ারি) দুপুর থেকে এ কর্মসূচি পালন শুরু করে চালকরা।

জানা যায়, নাটোর আধুনিক সদর হাসপাতালে সরকারি অ্যাম্বুলেন্স সংখ্যা দুইটি। এছাড়া দুটি বেসরকারি হাসপাতালে দুইটি এবং অন্যান্য ব্যক্তির মালিকানাধীন ১৬টিসহ মোট ১৮টি অ্যাম্বুলেন্স রোগী পরিবহন বন্ধ করে দিয়েছে।

বিজ্ঞাপন

কারণ হিসেবে চালকরা বলছেন, কোনো ব্যক্তির নিজের গাড়ি থাকা সত্ত্বেও কোন আত্মীয় মারা গেলে নিজের গাড়িতে রোগী পরিবহন করতে দেন না রামেকের কিছু দালাল ও স্থানীয় অ্যাম্বুলেন্স মালিক। অ্যাম্বুলেন্স মেডিকেলের ভেতর রাখলে গাড়ির কাগজ পত্র ও বিভিন্ন জিনিস লুকিয়ে ফেলে তারা টাকা দাবিসহ রোগীর স্বজন ও অ্যাম্বুলেন্স চালকদের নানা ভাবে হয়রানি করে।

নাটোর জেলা বেসরকারি অ্যাম্বুলেন্স চালক সমিতির সভাপতি শাহিনুর রহমান অভিযোগ করে বলেন, নাটোর থেকে অধিকাংশ রোগী রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। কিন্ত রাজশাহী মেডিকেল হাসপাতাল এলাকায় গড়ে ওঠা সিন্ডিকেট রোগী এমনকি মরদেহ আটকে রেখে অ্যাম্বুলেন্স চালকদের কাছ থেকে চাঁদা আদায় করে। তাদের দাবি করা টাকা না দিলে মারপিট ও কাগজপত্র কেড়ে নেন। এ ব্যাপারে মেডিকেল হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে অবহিত করেও কোনো প্রতিকার পাওয়া যায় না।

নাটোর সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার রাসেল হোসেন বলেন, এ বিষয়ে নাটোর হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ অবগত নন। নাটোর সদর হাসপাতাল থেকে সরকারি হাসপাতালের অ্যাম্বুলেন্সে করে রোগী পরিবহন করা হয়। হাসপাতাল চত্বরের বাইরে থেকে কোনো বেসরকারি অ্যাম্বুলেন্সে করে রোগী পরিবহন করা হলেও বিষয়টি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের অগোচরে করা হয়। তবুও রামেক হাসপাতাল চত্বরে হয়রানি, নির্যাতন ও চাঁদাবাজির বিষয়টি সম্পর্কে রোগীর লোকজন বা বেসরকারি অ্যাম্বুলেন্স চালকরা কেউ কিছু বলেননি। গণমাধ্যম কর্মীর মাধ্যমে বিষয়টি জানতে পেরেছি। সুযোগ থাকলে এ ব্যাপারে আমরা চালকদের পাশে থাকবো।