সরকারি নির্দেশ অমান্য করে নিষিদ্ধ গাইড বিক্রি



অনিক চক্রবর্ত্তী, ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চুয়াডাঙ্গা
চুয়াডাঙ্গা কালেক্টরেট স্কুল অ্যান্ড কলেজ/ ছবি: বার্তা ২৪.কম

চুয়াডাঙ্গা কালেক্টরেট স্কুল অ্যান্ড কলেজ/ ছবি: বার্তা ২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

সরকারের দেয়া নির্দেশনায় শিক্ষার্থীদের কাছে অতিরিক্ত বই অথবা সহায়ক বই (গাইড) বিক্রি করা নিষিদ্ধ হলেও সেই আদেশ মানছে না চুয়াডাঙ্গা কালেক্টরেট স্কুল অ্যান্ড কলেজ কর্তৃপক্ষ। অভিযোগ উঠেছে, শিক্ষার্থীদের কাছে অতিরিক্ত সহায়ক বই বিক্রি করছেন অধ্যক্ষ।

শিক্ষকদের চাপিয়ে দেয়া এসব অতিরিক্ত বই নিজেদের সন্তানদের পড়াতে নারাজ অভিভাবকরা। এদিকে শিক্ষার্থীরা বলছে, স্কুলের দেয়া অতিরিক্ত বই (গাইড) না কিনলে পরীক্ষায় নাম্বার দেবেন না বলে হুশিয়ারি দিচ্ছেন শিক্ষকরা। তাই বাধ্য হয়েই অতিরিক্ত দামে সরকারের করা নিষিদ্ধ এসব গাইড কিনতে হচ্ছে শিক্ষার্থীদের।

স্কুলের অফিস কক্ষে নিষিদ্ধ গাইড বই/ ছবি: বার্তা২৪.কম

চুয়াডাঙ্গা শহরে ২০১৭ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় কালেক্টরেট স্কুল অ্যান্ড কলেজ। নার্সারি থেকে নবম শ্রেণি পর্যন্ত প্রায় ৮০০ জন শিক্ষার্থী পড়াশোনা করে এখানে। ২০ জন শিক্ষক শিক্ষার্থীদের নিয়মিত পাঠদান করে থাকেন স্কুলটিতে। জেলা প্রশাসক সভাপতি হওয়ায় অল্পদিনেই কালেক্টরেট স্কুল অ্যান্ড কলেজটি সকলের মাঝে পরিচিতি লাভ করে।

চলতি বছরের জানুয়ারির ১৫ তারিখে হঠাৎ করেই স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ মাসুদুজ্জামান প্রতিটি শ্রেণিকক্ষে শিক্ষার্থীদের জন্য একটি নোটিশ জারি করেন। নোটিশে তিনি বলেন, সকল শিক্ষার্থীকে স্কুলের অফিস কক্ষ থেকে নিজ নিজ শ্রেণি অনুযায়ী অতিরিক্ত সহায়ক বই নিতে হবে। শিক্ষার্থীদের বই ভিত্তিক দামও নির্ধারণ করে দেন স্কুলের অধ্যক্ষ মাসুদুজ্জামান। নার্সারি থেকে নবম শ্রেণি পর্যন্ত বাংলা ও ইংরেজি গ্রামারসহ নানা ধরনের অতিরিক্ত বই তালিকায় রয়েছে। এসব বই স্থানীয় পুঁথিঘর নামক একটি বইয়ের দোকান থেকে ২০ শতাংশ কমিশনে অধ্যক্ষ নিজেই কিনে শিক্ষার্থীদের কাছে অতিরিক্ত দামে বিক্রি করছেন।

স্কুলের অফিস কক্ষে নিষিদ্ধ গাইড বই/ ছবি: বার্তা২৪.কম

অভিভাবকেরা বলছেন, সরকার শিশুদের জন্য যে বই দিয়েছে, তা পরীক্ষায় ভাল ফলাফল করার জন্য যথেষ্ট। তারপরও স্কুল কর্তৃপক্ষ অতিরিক্ত বই চাপিয়ে দিচ্ছে শিক্ষার্থীদের ওপর। অতিরিক্ত বই দোকান থেকেও বেশি দামে বিক্রি করছেন শিক্ষকরা। অতিরিক্ত বই স্কুল থেকে না নিলে সন্তানকে অন্য স্কুলে ভর্তি করার পরামর্শও দিয়েছেন স্কুলের প্রধান শিক্ষক। সুতরাং কষ্ট হলেও চড়া দামে বই সন্তানের জন্য কিনতে হচ্ছে অভিভাবকদের।

এ বিষয়ে কালেক্টরেট স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ জনাব মাসুদুজ্জামান বার্তা২৪.কম-কে বলেন, ভাল রেজাল্ট করার জন্য স্কুল থেকে সহায়ক বই বিক্রি করা হচ্ছে। অতিরিক্ত বই সরকারিভাবে শিক্ষার্থীদের জন্য নিষিদ্ধ হলেও এক্ষেত্রে অবিভাবকদের সম্মতিক্রমে শিক্ষার্থীদের বাড়তি বই দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে স্কুল কর্তৃপক্ষ।

স্কুলের শিক্ষার্থীরা/ ছবি: বার্তা২৪.কম

স্কুলের শিক্ষার্থীরা বলছে, নার্সারি থেকে নবম শ্রেণি পর্যন্ত বাংলা ও ইংরেজি গ্রামারসহ বিভিন্ন বই আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে স্কুলের অফিস কক্ষ থেকে তাদের নির্ধারিত মূল্য দিয়ে নিতে বলেছেন স্কুলের প্রধান শিক্ষক। এই বই না নিলে প্রথম সাময়িক পরীক্ষায় কেউ অংশগ্রহণ করতে পারবে না বলেও জানিয়ে দিয়েছেন স্যারেরা।

চুয়াডাঙ্গা জেলা শিক্ষা অফিসার নিখিল চক্রবর্ত্তী বার্তা২৪.কম-কে বলেন, কালেক্টরেট স্কুল অ্যান্ড কলেজের সভাপতি জেলা প্রশাসক। সরকারী নীতিমালা অমান্য করে অতিরিক্ত বই কোনভাবেই স্কুল কর্তৃপক্ষ বিক্রি করতে পারে না। অভিযোগ সত্য হলে জেলা প্রশাসকের সঙ্গে কথা বলে স্কুলটির বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেয়া হবে।

   

গড়াই নদীতে ডুবে যুবকের মৃত্যু



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুষ্টিয়া
ছবি প্রতীকী

ছবি প্রতীকী

  • Font increase
  • Font Decrease

কুষ্টিয়ার খোকসায় গড়াই নদীতে ডুবে সুমন (২০) নামে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে।

রোববার (৫ এপ্রিল) বিকেলে খোকসা উপজেলার গনেশপুর অংশে গড়াই নদী থেকে মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

মৃত সুমন কুমারখালী উপজেলার রাজাপুর গ্রামের নিজাম উদ্দিনের ছেলে।

খোকসা ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের ফায়ারম্যান হাবিবুর রহমান জানান, সকালের দিকে গড়াই নদীতে মাছ ধরতে যান সুমন। মাছ ধরার এক পর্যায়ে নদীতে ডুবে যান তিনি। বিকেলের দিকে স্থানীয়দের সহায়তায় তার মরদেহ উদ্ধার করে ফায়ার সার্ভিস।

;

কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে বজ্রপাতে কিশোরের মৃত্যু



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুমিল্লা
প্রতীকী ছবি

প্রতীকী ছবি

  • Font increase
  • Font Decrease

কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে ফুটবল খেলার সময় বজ্রপাতে সাফায়েত হোসেন (১৯) নামে একজনের মৃত্যু হয়েছে। এ সময় সালাউদ্দিন (২২) নামের আরেক যুবক গুরুতর আহত হন।

রোববার (৫ এপ্রিল) এই বিকেলে এই ঘটনা ঘটে। তাদের উদ্ধার করে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে লাকসামের একটি ক্লিনিকে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ওই কিশোরকে মৃত ঘোষণা করেন।

স্থানীয় সূত্র জানায়, উপজেলার আদ্রা দক্ষিণ ইউনিয়নের আটিয়াবাড়ি দক্ষিণপাড়া স্কুল বাড়ির আবদুল আউয়ালের ছেলে সাফায়াত হোসেন এদিন বিকেলে সহপাঠীদের সাথে পার্শ্ববর্তী ঘোড়াময়দান গ্রামের একটি মাঠে ফুটবল খেলতে যায়। বিকাল ৫টার দিকে খেলা চলা অবস্থায় আকস্মিক বজ্রপাতে সাফায়েতের পুরো শরীর ঝলসে যায়। তাৎক্ষনিকভাবে তাকে উদ্ধার করে লাকসামের একটি ক্লিনিকে নেয়া হলে সন্ধ্যায় কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

এছাড়া বজ্রপাতে ওই ঘোড়াময়দান গ্রামের নুরুল হকের ছেলে সালাউদ্দিন (২২) গুরুতর আহত হয়ে স্থানীয় একটি ক্লিনিকে চিকিৎসাধীন রয়েছে।

স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আবদুল ওহাব ঘটনার এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

;

লক্ষ্মী ভাইয়েরা বাসায় যান, নিজেসহ দেশকে বাঁচান



নাহিদ রেজা, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঠাকুরগাঁও
ওসি তানভিরুল ইসলাম।

ওসি তানভিরুল ইসলাম।

  • Font increase
  • Font Decrease

আমার লক্ষ্মী ভাইয়েরা দয়া করে বাইরে ঘোরাঘুরি না করে বাসায় যান। নিজে বাঁচেন, পরিবারকে বাঁচান, দেশকে বাঁচান। সচেতন হোন।

ঠিক এসব কথা বলে করোনাভাইরাস প্রতিরোধে জনগণকে সচেতন করছেন ঠাকুরগাঁও সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তানভিরুল ইসলাম। মাঠ পর্যায়ে গিয়ে এভাবে সচেতন করায় সাধুবাদ জানিয়েছে সাধারণ মানুষ।

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার রহিমানপুর ইউনিয়নের রেজাউল ইসলাম বলেন, ‘আমি ওষুধ কেনার জন্য স্থানীয় বাজারে এসেছিলাম। কিছুক্ষণ পর থানার একটি গাড়ি বাজারের সামনে এসে দাঁড়ায় এবং ওসি তানভিরুল সবাইকে বাসায় থাকার জন্য অনুরোধ করেন। এর আগে কখনো জনগণের সঙ্গে পুলিশের এমন ভালো আচরণ দেখি নাই।’

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার চৌড়াস্তা মোড়ে কথা হয় জয়নাল নামে এক পথচারীর সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘আমাদের জেলার পুলিশ সাধারণ জনগণের সঙ্গে ভালো ব্যবহার করছে। তাদের ভাই বলে বাসায় ফিরে যাওয়ার জন্য অনুরোধ করছে। ওসিসহ পুলিশের সদস্যরা নিজেদের কথা চিন্তা না করে আমাদের জন্য এ কাজটি করে যাচ্ছেন। তাদের ধন্যবাদ জানাই।’

স্থানীয় সাহাদত হোসেন নামে একজন বলেন,‘তানভিরুল ভাই একজন মানবিক পুলিশ অফিসার। তার জন্য শুভকামনা ও দোয়া রইল।’

ঠাকুরগাঁও সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তানভিরুল ইসলাম বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘করোনাভাইরাস নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। এ ভাইরাস প্রতিরোধে আমাদের সবাইকে সচেতন হতে হবে। সরকার যেসব দিক নির্দেশনা দিয়েছে সেগুলো মেনে চলতে হবে। জনগণের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার না করে তাদের সচেতন করা হচ্ছে। এতে কাজও হচ্ছে।’

;

ডিবি পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই, যুবক গ্রেফতার



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, নীলফামারী
গ্রেফতার আবেদ আলী।

গ্রেফতার আবেদ আলী।

  • Font increase
  • Font Decrease

নীলফামারীতে গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) উপপরিদর্শক পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই করার অপরাধে আবেদ আলী (২৮) নামে এক যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

রোববার (৫ এপ্রিল) বিকেলে নীলফামারী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমিনুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

আবেদ আলী সৈয়দপুর উপজেলার কাশিরাম বেলপুকুর ইউনিয়নের চওড়া গ্রামের খয়রাত হোসেনের ছেলে।

জানা গেছে, শনিবার (৪ এপ্রিল) দুপুরে জেলা সদরের কুন্দপুকুর ইউনিয়নের আঙ্গারপাড়া গ্রামে মোকছেদুল ইসলামসহ কয়েক যুবক মোবাইলে ভিডিও গেম খেলছিলেন। এ সময় আবেদ আলী নিজেকে সৈয়দপুর থানার ডিবি পুলিশের উপপরিদর্শক পরিচয় দিয়ে ওই যুবকদের কাছ থেকে মোবাইলটি নিয়ে যান। পরে এ বিষয়ে মোবাইলের মালিক মোকছেদুল ইসলাম সদর থানায় অভিযোগ করেন।

এরপর রোববার ভোরে আবেদ আলীর বাড়িতে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করা হয়। ওই সময় তার কাছ থেকে ছিনতাই কাজে ব্যবহৃত একটি খেলনা পিস্তল ও ওয়্যারলেস সেট, একাধিক মোবাইল সিম এবং দুটি পরিচয়পত্র জব্দ করে পুলিশ।

নীলফামারী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমিনুল ইসলাম জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ডিবি পুলিশের ভুয়া পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই করার সত্যতা স্বীকার করেছেন আবেদ আলী। এ ঘটনায় মামলা দায়ের করার পর আদালতের মাধ্যমে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

;