এসআই হত্যা: খালাস পাওয়াদের বিরুদ্ধে আপিল করবে স্বজনরা

  • স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, রাজবাড়ী
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

আদালতে নেওয়ার পথে আসামিরা

আদালতে নেওয়ার পথে আসামিরা

রাজবাড়ীর পাংশায় নারায়ণগঞ্জের অপরাধ তদন্ত বিভাগে (সিআইডি) কর্মরত উপ-পরিদর্শক আব্দুর রাজ্জাক হত্যা মামলায় খালাস পাওয়া নয় আসামির বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে আপিল করবেন নিহতের স্বজনরা।

বৃহস্পতিবার (৩০ জানুয়ারি) দুপুরে উচ্চ আদালতে আপিল করার বিষয়টি বার্তা২৩.কম-কে নিশ্চিত করেছেন নিহত আব্দুর রাজ্জাকের ভাতিজা শহিদুল ইসলাম।

বিজ্ঞাপন

খালাস পাওয়া আসামিরা হলো- কালুখালি উপজেলার পাতুরিয়া গ্রামের আকমল হোসেন খান, দিদার খান ও বিদার খান এবং মৃগী গ্রামের হাসেম, সুমন, রাকিব, সিদ্দিক, নালিম ও নালু।

শহিদুল ইসলাম জানান, এ রায়ে তারা সন্তুষ্ট নন। যাদেরকে খালাস দেওয়া হয়েছে তাদের বিরুদ্ধে খুব দ্রুতই আইনি প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ করা হবে। এ বিষয়ে আইনজীবীদের সঙ্গে কথা হচ্ছে।

বিজ্ঞাপন

তবে সাত আসামির যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের ব্যাপারে কোনো মন্তব্য প্রকাশ না করে তিনি বলেন, যাবজ্জীবন কারাদণ্ড পাওয়া সাতজনের বিরুদ্ধে আপাতত আমাদের পরিবারের কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি।

অপরদিকে এই রায়কে স্বাগত জানিয়ে সন্তুষ্ট প্রকাশ করে মামলার রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী রাজবাড়ী জজ কোর্টের পিপি উজির আলী শেখ বার্তা২৪.কম-কে বলেন, আমরা এ রায়ে সন্তুষ্ট। ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।

আরও পড়ুন: পাংশায় এসআই হত্যা: সাত আসামির যাবজ্জীবন

রাজবাড়ীর পাংশায় চাঞ্চল্যকর এসআই আব্দুর রাজ্জাক হত্যা মামলার দীর্ঘ স্বাক্ষ্য প্রমাণ শেষে সাত আসামিকে বুধবার (২৯ জানুয়ারি) রাজবাড়ীর অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ মাসুদ করিম যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন এবং একই সঙ্গে সবাইকে একলাখ টাকা জরিমানা, অনাদায়ে এক বছরের সশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করেন। এ সময় অপর আরও নয় আসামিকে খালাস দেওয়া হয়।

বর্তমান যাবজ্জীবনপ্রাপ্ত সাত আসামিই আটক রয়েছে। দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- রবিউল ইসলাম জিরুল, আকমল শেখ, কুদ্দুস, বুলু, জালালউদ্দিন, ডালিম ও তপন। এরা সবাই কালুখালী উপজেলার মৃগী এলাকার বাসিন্দা।

২০১১ সা‌লের ১১ ন‌ভেম্বর জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধের জেরে আব্দুর রাজ্জাককে তার প্রতিবেশীরা পিটিয়ে হত্যা করে। তখনই ১৬ জন‌কে আসামি ক‌রে এক‌টি হত্যা মামলা দায়ের ক‌রেন নিহত আব্দুর রাজ্জা‌কের স্ত্রী রো‌কেয়া রাজ্জাক। তারই প্রেক্ষিতে বিজ্ঞ আদালত দীর্ঘ শুনানি শেষে এই রায় ঘোষণা করেন।

নিহত এসআই নারায়ণগঞ্জ জেলায় অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) উপ-পরিদর্শক হিসাবে কর্মরত ছিলেন। তখন তিনি ছুটিতে বাড়ি এসেছিলেন।