না.গঞ্জে ইউপি মেম্বারসহ ব্যাংক জালিয়াতি চক্র গ্রেফতার

  • ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, নারায়ণগঞ্জ
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

প্রতারক চক্রের চার সদস্য/ছবি: বার্তা২৪.কম

প্রতারক চক্রের চার সদস্য/ছবি: বার্তা২৪.কম

দেশের বিভিন্ন জেলায় ব্যাংক জালিয়াতির মাধ্যমে বিপুল অঙ্কের অর্থ হাতিয়ে নেয়া সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্রের চার সদস্যকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব-১১ সদর দফতরের একটি দল। 

বুধবার (২৯ জানুয়ারি) রাতে কুমিল্লা জেলার দাউদকান্দি থানার গৌরিপুর বাজার এলাকা থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারকৃতদের মধ্যে একজন ইউপি সদস্যও রয়েছেন।

বিজ্ঞাপন

গ্রেফতারকৃতরা হচ্ছেন- ইউপি সদস্য মমিনুল ইসলাম, ইদ্রিস মিয়া, আবু বক্কর সালাফি ও রুবেল। তাদের প্রত্যেকের বাড়ি কুমিল্লা জেলায়।

এ সময় তাদের কাছ থেকে অস্ত্র, গুলিসহ বিভিন্ন ব্যাংকের বিপুল পরিমাণ ভুয়া সিল, লেনদেনের রশিদ এবং জালিয়াতির কাজে ব্যবহৃত সরঞ্জাম জব্দ করা হয়েছে।

বিজ্ঞাপন

বৃহস্পতিবার (৩০ জানুয়ারি) দুপুরে নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জে র‌্যাব-১১ সদর দফতরে সংবাদসম্মেলনে র‌্যাব-১১ সিনিয়র সহকারী পরিচালক মো. আলেপ উদ্দিন জানান, জাতিয়াতি চক্রের মূল হোতা ইদ্রিস মিয়া গত তিন বছর আগে একটি হোটেলে চাকুরি করার সময় তার সঙ্গে ভারতীয় সফটওয়্যার প্রকৌশলী ও আন্তর্জাতিক জাতিয়াতি চক্রের সদস্য পশু ভাইয়ের ঘনিষ্ঠ সম্পর্কের সৃষ্টি হয়। পশু ভাই দীর্ঘদিন ধরে বিভিন্ন ব্যাংকের এটিএম বুথ হ্যাক করে অবৈধভাবে টাকা উত্তোলন ও রেমিট্যান্স জালিয়াতি করে আসছিলেন। তার কাছ থেকে ইদ্রিস মিয়া জালিয়াতির মাধ্যমে ব্যাংকের অর্থ হাতিয়ে নেয়ায় নানা ধরনের অভিনব কৌশল রপ্ত করেন।

পরবর্তীতে তিনি নিজ এলাকার ইউপি সদস্য মমিনুল ইসলাম ও অপর দুইজনকে সঙ্গে নিয়ে ব্যাংক জালিয়াতির একটি সংঘবদ্ধ দল গড়ে তোলেন। এরপর থেকেই এই চক্রটি ব্যাংক জালিয়াতির কাজ শুরু করে। তারা অগ্রণী ব্যাংক, সোনালী ব্যাংক, পূবালী ব্যাংক, ইসলামী ব্যাংক, ডাচ বাংলা ব্যাংক ও এনসিসি ব্যাংকসহ বিভিন্ন্ সরকারি বেসরকারি ব্যাংকের ভুয়া ভাউচার, কর্মকর্তাদের ভুয়া সিল, স্বাক্ষর, পিন নম্বর এবং ভুয়া জাতীয় পরিচয়পত্র ও ছবি তৈরি করে ব্যাংকের অর্থ হাতিয়ে নেয়া শুরু করে।

এই চক্রটি গত চার বছরে বিভিন্ন ব্যাংকের শাখা ও এটিএম বুথ থেকে কোটি টাকারও বেশি অর্থ অবৈধভাবে হাতিয়ে নিয়েছে বলে র‌্যাবের জিজ্ঞাসাবাদের স্বীকারোক্তি দিয়েছে।

গ্রেফতারকৃত চারজনের বিরুদ্ধে ইতিপূর্বে একাধিক মামলা রয়েছে। এ ঘটনায় তাদের বিরুদ্ধে অস্ত্র, জালিয়াতি ও ডাকাতির অভিযোগে নতুন করে আরো তিনটি মামলা দায়েরের প্রক্রিয়া চলছে বলে জানান র‌্যাবের এই কর্মকর্তা।