কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের কবরস্থানে কঙ্কাল চুরি
গাজীপুরে বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের (বারি) কবরস্থান থেকে বেশ কয়েকটি কঙ্কাল চুরির খবর পাওয়া গেছে।
বৃহস্পতিবার (৩০ জানুয়ারি) ভোরে কঙ্কাল চুরির বিষয়টি স্থানীয় বাসিন্দা ও বারি কর্তৃপক্ষের নজরে আসলেও তারা সঠিক তথ্য দিতে পারেনি।
স্থানীয়দের দাবি ২৪-৩০টির মতো কঙ্কাল চুরি হয়েছে। তবে পুলিশ বলছে, তাদের ১০টির মতো কঙ্কাল চুরির বিষয়ে জানানো হয়েছিল।
বারির মৃত্তিকা বিজ্ঞান বিভাগের অবসরে যাওয়া গবেষণা সহকারী আব্দুল ওহাব মোল্লা জানিয়েছেন, অনেকদিন ধরেই কবরস্থান থেকে কঙ্কাল চুরি হচ্ছে। আজ ভোরে যেসব কবরের কঙ্কাল চুরি হয়েছে; সেখানে তার স্ত্রী, মেয়ে ও ভগ্নীপতির কবর রয়েছে।
তবে বারি কর্তৃপক্ষ, স্থানীয় বাসিন্দা ও পুলিশ কঙ্কালের সংখ্যা নির্দিষ্ট করে বলতে না পারলেও কবরস্থানের পাশে কয়েক জোড়া হ্যান্ড গ্লাভস ও ছুরি পাওয়া গেছে।
বারির সাবেক কর্মচারী ওয়াজি উল্লাহর স্ত্রী নুরুন্নাহার জানান, চার বছর আগে ওই কবরস্থানে তার ভাই আব্দুল করিমের মরদেহ দাফন করা হয়।
তার অভিযোগ, বারির সীমানা প্রাচীরের পাশেই মাদকসেবীদের নিয়মিত আড্ডা বসে। নিরাপত্তাকর্মীরা ঠিকমত দায়িত্বপালন করে না। গত বছর কবরস্থানে দক্ষিণে একটি খুন হয়েছিল।
বারির সিকিউরিটি ইনচার্জ মো. নজরুল ইসলাম বলেন, কবরস্থানের সীমানা প্রাচীরের নিচ দিয়ে ফাঁকা। যেখানে রাতে আলোর কোনও ব্যবস্থা নেই। নিরাপত্তার ঘাটতির কথা স্বীকার করে তিনি বলেন, বিষয়টি প্রশাসন জেনেও কোনও ব্যবস্থা নিচ্ছে না।
গাজীপুর সদর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. জাহাঙ্গীর আলম বার্তা২৪.কম-কে বলেন, বারির সিকিউরিটি ইনচার্জ মো. নজরুল ইসলাম আজ সকালে কঙ্কাল চুরির অভিযোগে সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করতে এসেছিলেন। তিনি কয়েকটি কঙ্কাল চুরির কথা লিখেছিলেন। তার কাছে ডিউটি অফিসার জানতে চেয়েছিলেন, কতটি কঙ্কাল চুরি হয়েছে। তিনি বলেছিলেন ১০টির মতো হতে পারে। এই ঘটনায় জিডি হবে না। তাই তাকে বারির কর্তৃপক্ষের সঙ্গে পরামর্শ করে মামলা করতে বলা হয়েছিল। কিন্তু তিনি আর আসেননি। ২৪- ৩০টি কঙ্কাল চুরির কথা সঠিক নয়।