মিয়ানমার থেকে জানুয়ারি মাসে ১৫ হাজার ৭৬৫ মেট্রিক টন পেঁয়াজ আমদানি
মিয়ানমার থেকে জানুয়ারি মাসে টেকনাফ বন্দর দিয়ে ১৫ হাজার ৭৬৫ মেট্রিক টন পেঁয়াজ আমদানি করা হয়েছে। মিয়ানমার থেকে এখনও পেঁয়াজ আমদানি অব্যাহত রয়েছে। দেশের চাহিদা অনুযায়ী ব্যবসায়ীরা পেঁয়াজ আমদানি করছেন। গত বছরের সেপ্টেম্বর মাস থেকে মিয়ানমার থেকে পেঁয়াজ আমদানি শুরু হয়, এখনও আমদানি অব্যাহত রয়েছে। বিপুল পরিমাণ পেঁয়াজ আমদানির পরও বাজারে পেঁয়াজের দাম এখনও বাড়তি।
শুল্ক বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, মিয়ানমার থেকে টেকনাফ স্থলবন্দর দিয়ে বৃহস্পতিবার (৩০ জানুয়ারি) দশ ব্যবসায়ীর ১৩১৩ মেট্রিক টন পেঁয়াজ এসেছে। এর আগের দিন এসেছে ১৩৮৯ মেট্রিক টন। তবে আগের তুলনায় পেঁয়াজ আমদানি কিছুটা বেড়েছ। এ নিয়ে জানুয়ারি মাসে ১৫ হাজার ৭৬৫ মেট্রিক টন পেঁয়াজ আমদানি হলো। এর আগে ডিসেম্বর মাসে ১৪ হাজার ৬৪৭ মেট্রিক টন, নভেম্বর মাসে ২১ হাজার ৫৬০ মেট্রিক টন, অক্টোবর মাসে ২০ হাজার ৮৪৩ মেট্রিক টন পেঁয়াজ আমদানি হয়েছিল। এছাড়া সেপ্টেম্বর মাসে ৩৫৭৩ মেট্রিক টন এবং আগস্ট মাসে ৮৪ মেট্রিক টন পেঁয়াজ আমদানি হয়। তবে চলতি অর্থ বছরের আগস্ট থেকে জানুয়ারি মাস পর্যন্ত মিয়ানমার থেকে পেঁয়াজ এসেছে ৭৬ হাজার ৪৭৩ মেট্রিক টন।
ব্যবসায়ীরা জানায়, চাহিদা থাকায় মিয়ানমার থেকে পেঁয়াজ আমদানি করা হচ্ছে। আমদানিকৃত পেঁয়াজ স্থানীয় বাজার ও চট্টগ্রামসহ বিভিন্ন স্থানে সরবরাহ করা হচ্ছে। তবে পেঁয়াজ কাঁচা মাল হওয়ায় আমদানিতে ঝুঁকি বেশি, তার পরও বাজার চাহিদার কথা বিবেচেনা করে আমদানি করা হচ্ছে।
টেকনাফ স্থলবন্দর শুল্ক কর্মকর্তা মো. আবছার উদ্দিন বলেন, এই মাসে মিয়ানমার থেকে ১৫ হাজার ৭৬৫ মেট্রিকটন পেঁয়াজ আমদানি হয়েছে। দেশের চাহিদা থাকলে পেঁয়াজ আমদানি থাকবে। আমদানিকৃত পেঁয়াজ দ্রুত সময়ে বন্দরের কার্যক্রম শেষ করে সরবরাহ করা হচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, এই মাসে পেঁয়াজ আমদানির ফলে অন্য পণ্য কম আমদানি হয়েছে। ফলে মাসিক রাজস্ব আদায়ে এর প্রভাব পড়েছে। কিন্তু দেশের চাহিদা পূরণে পেঁয়াজের পাশাপাশি অন্যান্য পণ্য আমদানি করতে ব্যবসায়ীদের উৎসাহিত করা হচ্ছে।