নিখোঁজের ১০দিন পর গর্তে মিলল কিশোরীর মরদেহ
নিখোঁজের ১০দিন পর মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলে শিপা নায়েক (১৫) নামের এক কিশোরীর মরদেহ তার নিজের বসত ঘরের পেছনের গর্ত থেকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। সে মির্জাপুর চা বাগানের মাঝিপাড়ার বাসিন্দা মৃত চন্দন নায়েকের মেয়ে।
শনিবার (১ ফেব্রুয়ারি) সকাল ৭টায় বাড়ির পেছনের গর্ত থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়।
কিশোরীর মা নমিতা নায়েক জানান, আজ সকালে বাড়ির পেছনে ঝাড়ু দিতে গিয়ে আবর্জনায় ঢাকা একটি গর্ত থেকে শিপার মরদেহ বের হয়ে আসে। মরদেহের সন্ধান পেয়ে স্থানীয় মেম্বারের মাধ্যমে পুলিশকে খবর দেন।
খবর পেয়ে পুলিশ সকাল সাড়ে ১১টায় ঘটনাস্থলে পৌঁছে নিখোঁজ শিপা নায়েকের মরদেহ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে। দুপুর সাড়ে ১২টায় ময়নাতদন্তের জন্য মৌলভীবাজার সদর হাসপাতালে মরদেহটি পাঠানো হয়েছে।
এ হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত সন্দেহে বখাটে লিটন সাওতাল নামে এক যুবককে স্থানীয়রা আটক করে পুলিশে দিয়েছে।
শ্রীমঙ্গল থানার উপ-পুলিশ পরিদর্শক মধুসুধন দেব জানান, ‘কয়েকদিন আগে মেয়েটি নিখোঁজ হয়। তাকে কোথাও খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না। আজ তাকে ঘরের পেছনের আবর্জনায় ঢাকা একটি গর্তে খোঁজ পাওয়া যায়। নিখোঁজের বিষয়ে মেয়েটির মা নমিতা থানায় একটি অভিযোগ দিয়েছিল।
এদিকে শিপা নায়েকের নিখোঁজের পর বিভিন্ন স্থানে তাকে খোঁজাখুঁজি করে না পেয়ে তার মা নমিতা নায়েক গত ২৯ জানুয়ারি একই চা বাগানের উত্তর লাইনের বাসিন্দা ধনু সাওতালের ছেলে লিটন সাওতালকে (২২) সন্দেহ করে শ্রীমঙ্গল থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দেন।
এতে তিনি উল্লেখ করেন, ‘শিপা নায়েক মির্জাপুর চা বাগানে কাজ করতো। কাজ করা অবস্থায় একই চা বাগানের লিটন সাওতাল আমার মেয়েকে প্রায় সময়ই উত্যক্ত করতো এবং বিভিন্ন কুপ্রস্তাব দিতো। গত ২২ জানুয়ারি সকাল ৯টায় শিপা নায়েককে বাড়িতে রেখে বাগানের কাজে বেরিয়ে যান। সে সময়ে শিপা বাড়িতে একা ছিল। বাগানের কাজ শেষে বিকেলে ৪টায় বাড়িতে এসে দেখি আমার মেয়ে বাড়িতে নেই। আশপাশের এলাকার সকল স্থানে তাকে খোঁজ করেও পাইনি। লিটন সাওতাল প্রায় সময় আমার মেয়ে শিপাকে অপহরণ করে নিয়ে যাবে বলে হুমকি প্রদান করতো। এতে আমার সন্দেহ হয়, লিটন সাওতাল আমার মেয়েকে অপহরণ করে নিয়ে যেতে পারে।
শ্রীমঙ্গল থানার ওসি মো.আব্দুছ ছালেক বলেন, ‘এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে লিটন সাওতালকে আটক করেছে পুলিশ। আটক লিটনকে জিজ্ঞাসাবাদ চলছে।