নারায়ণগঞ্জে ভারতীয় মাংস বিক্রির দায়ে ব্যবসায়ীকে কারাদণ্ড
নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার সিদ্ধিরগঞ্জে বিপুল পরিমাণ প্যাকেটজাত ভারতীয় মহিষের মাংস জব্দ করেছে র্যাব।
রোববার (২ ফেব্রুয়ারি) রাতে সিদ্ধিরগঞ্জের আদমজী বিহারী ক্যাম্প এলাকা থেকে এসব মাংস ও মাংস পরিবহনে ব্যবহৃত কাভার্ডভ্যান জব্দ করা হয়।
এ সময় একটি কাভার্ডভ্যানে সংরক্ষিত ১০ কেজির ২০টি, ১৮ কেজির ২২টি এবং ২০ কেজির ৩টি মাংসের প্যাকেটে আনুমানিক ৬৫০ কেজি মহিষের মাংস উদ্ধার করে র্যাব। অনুমোদিত এই ব্যবসার সঙ্গে জড়িত থাকার অপরাধে ঘটনাস্থল থেকে গ্রেফতার হওয়া ব্যবসায়ী সামিরকে ৩ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেয় ভ্রাম্যমান আদালত।
সোমবার (৩ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে গণমাধ্যমে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানায় র্যাব -১১।
বিজ্ঞপ্তিতে র্যাবের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জসিম উদ্দিন চৌধুরী জানান, অনুমোদিত মাংস ব্যবসায়ীরা সপ্তাহে ৩ দিন ঢাকার তেজগাঁও হতে প্যাকেটজাত মাংসগুলো নিয়ে এসে নারায়ণগঞ্জে বিভিন্ন রেষ্টুরেন্ট ও স্থানীয় কসাইয়ের কাছে বিক্রি করে। যা হোটেল ও রেষ্টুরেন্টসহ সাধারণ ক্রেতাদের কাছে গরুর মাংস বলে বিক্রি করে।
এছাড়া প্যাকেটজাত হিমায়িত মাংসগুলো বিক্রির জন্য আইনানুযায়ী প্রাণিসম্পদ কর্তৃক কোয়ারান্টাইন সার্টিফিকেট তাদের নেই। আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান হিসেবে তারেক ট্রেডার্স ও ইগলুর নাম লেখা থাকলেও সেই কোম্পানির অনূকুলে প্রাণী সম্পদ অধিদফতরের কোয়ারান্টাইন সার্টিফিকেট তারা দেখাতে পারেনি। এছাড়া প্যাকেটজাত মাংস পরিবহনে ফ্রিজিং চেইন রাখার বিধান থাকলেও তা অমান্য করে তারা নন-ফ্রিজিং গাড়িতে নিয়ে আসে। এতে করে মাংসের গুণগতমান নষ্ট হয়ে যায়।
তিনি আরও জানান, বিষয়গুলো আমলে নিয়ে ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মেহেদী হাসান ফারুক কর্তৃক ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইনে অভিযুক্ত সামিরকে ৩ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করেন। একইসঙ্গে জব্দকৃত মহিষের মাংস ধ্বংস করার নির্দেশ দেন।