সীমান্ত হত্যা ও গ্যাস চুক্তি বাতিলের দাবি

  • ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, নারায়ণগঞ্জ
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

মানববন্ধন করে নারায়ণগঞ্জ জেলা বাম গণতান্ত্রিক জোট

মানববন্ধন করে নারায়ণগঞ্জ জেলা বাম গণতান্ত্রিক জোট

সীমান্তে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএসফ) গুলিতে বাংলাদেশি হত্যা বন্ধ ও রাশিয়ার গ্যাজপ্রমের হাতে গ্যাস উত্তোলনের দায়িত্ব দেওয়ার প্রতিবাদে নারায়ণগঞ্জে মানববন্ধন করেছে জেলা বাম গণতান্ত্রিক জোট।

সোমবার (৩ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে নারায়ণগঞ্জ শহরের প্রেসক্লাবের সামনে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় মানববন্ধন থেকে সীমান্ত হত্যা বন্ধ করতে না পারায় সরকারের তীব্র সমালোচনা করেন জোটের নেতারা।

বিজ্ঞাপন

মানববন্ধনে বাসদের জেলা সমন্বয়ক নিখিল দাশ বলেন, ‘বাংলাদেশে বিভিন্ন বিদেশি কোম্পানির হাতে গ্যাস ক্ষেত্র তুলে দিয়ে হাজার কোটি টাকার সম্পদ নষ্ট করেছে তারা। আমরা টেংরাটিলার কথা ভুলে যাইনি। তাদের কাছ থেকে ক্ষতিপূরণ আমরা আজও আদায় করতে পারিনি। উল্টো পুরো গ্যাসক্ষেত্রের আশপাশের এলাকা ধ্বংস করে দিয়ে গেছে। বর্তমানে আমাদের বাপেক্সের সক্ষমতা থাকার পরও তাদেরকে বসিয়ে রেখে রাশিয়ান কোম্পানি গ্যাজপ্রমের সঙ্গে গ্যাস উত্তোলনের চুক্তি করেছে সরকার। আন্তর্জাতিকভাবে টেন্ডার আহ্বান করে চুক্তির কথা থাকলেও আন্তর্জাতিক চুক্তি আইন লঙ্ঘন করেই গ্যাজপ্রমের সঙ্গে চুক্তি করেছে সরকার। একই সঙ্গে এই ধরনের কার্যক্রমের বিরুদ্ধে মানুষ যাতে মামলা কিংবা প্রতিবাদ জানাতে না পারে সেজন্য দায়মুক্তি আইন প্রণয়ন করা হয়েছে।’

গণসংহতি আন্দোলনের জেলা সমন্বয়ক তরিকুল সুজন বলেন, ‘ভারতীয় সীমান্ত বাহিনী এতটাই বেপরোয়া যে তারা বাংলাদেশে প্রবেশ করে তুলে নিয়ে যেতে দ্বিধাবোধ করে না। তারা আমাদের নাগরিকদের ধরে নিয়ে পিটিয়ে নির্মমভাবে হত্যা করে। হাতের আঙ্গুলের নখ তুলে ফেলে নির্যাতন করে। আর সীমান্তে গুলি হত্যা করা হয় পাখির মতো। আমরা ফেলানীকে ভুলে যাইনি। ফেলানী ইস্যুতে আন্তর্জাতিক চাপের মুখে মামলা দায়ের হলেও খুনি অমিয় ঘোষকে ভারতের আদালতে নির্দোষ প্রমাণ করা হয়। আর এদেশের কর্তাব্যক্তিরা ভারত-বাংলাদেশের সম্পর্ককে স্বামী স্ত্রীর মতো বলে আখ্যা দিয়ে বেড়ায়। অথচ বাংলাদেশের চাইতে ক্ষুদ্র দেশ নেপাল তাদের নাগরিক হত্যার যে প্রতিবাদ জানিয়েছে তাতে ভারত প্রকাশ্যে ক্ষমা চাইতে বাধ্য হয়েছে। তারা তাদের মেরুদণ্ড সোজা করে দেখিয়ে দিয়েছে নিজেদের আত্মমর্যাদা কতটা উঁচু।’

বিজ্ঞাপন

জেলা বিপ্লবী ওয়ার্কাস পার্টির সভাপতি মাহমুদ হোসেনের সভাপতিত্বে মানববন্ধনে আরও বক্তব্য দেন- সিপিবির জেলা সভাপতি হাফিজুল ইসলাম, সিপিবি নেতা দুলাল সাহা, শিবনাথ চক্রবর্তী, আবু হাসান টিপু সহ ছাত্র ফেডারেশন ও ছাত্র ইউনিয়নে নেতৃবৃন্দ।