দাখিল পরীক্ষা কেন্দ্রের মাঠ দখল করে ঠিকাদারের ব্যবসা!



খাইরুল ইসলাম, ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, বরগুনা
দাখিল পরীক্ষা কেন্দ্রের মাঠ দখল করে চলছে ঠিকাদারের ব্যবসা, ছবি: বার্তা২৪.কম

দাখিল পরীক্ষা কেন্দ্রের মাঠ দখল করে চলছে ঠিকাদারের ব্যবসা, ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

চলমান এসএসসি ও দাখিল পরীক্ষা কেন্দ্রের একটি হলো বরগুনার তালতলীতে ছালেহিয়া ইসলামিয়া আলিম মাদরাসা। এই কেন্দ্রে উপজেলার বিভিন্ন মাদরাসার ৪১৪ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষা দিচ্ছে। কিন্তু মাদরাসার মাঠ দখল করে সড়কের কাজের নির্মাণ সামগ্রী ইট-বালু রেখে ব্যক্তিগত ব্যবসা চালাচ্ছেন বাদশা নামের এক ঠিকাদার। একই সঙ্গে উড়ছে ধুলাবালিও। এতে চরম দুর্ভোগে পড়েছেন শিক্ষক ও পরীক্ষার্থীরা। যেকোনো সময় দুর্ঘটনার আশঙ্কা করছেন অভিভাবকরা।

স্থানীয়রা জানান, দীর্ঘদিন যাবৎ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের মাঠ দখল করে ব্যবসা করে আসছেন ঠিকাদার বাদশা। এরপর থেকেই এই মাদরাসায় এক দিনের জন্যও স্বাভাবিক পাঠদান হয়নি। তবে মাদরাসার অধ্যক্ষ হারুন অর রশিদের যোগসাজশে মাঠে স্তূপ করে কংক্রিট, ইট, বালুসহ নির্মাণসামগ্রী রেখে ব্যক্তিগত ব্যবসা চালিয়ে নেওয়ারও অভিযোগ রয়েছে। তাই অধ্যক্ষের কাছে শিক্ষার্থী এবং অভিভাবকরা অভিযোগ করলেও তা আমলে নেননি তিনি।

মঙ্গলবার (৪ ফেব্রুয়ারি) সকালে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, তালতলীতে ছালেহিয়া ইসলামিয়া আলিম মাদরাসায় চলছে দাখিল পরীক্ষা। মাদরাসার মাঠজুড়ে রাখা হয়েছে বালু ও পাথর। যেখানে পরীক্ষার্থী ও শিক্ষকরা ঠিকভাবে চলাফেরা করতে পারছেন না। আনেকে নাক-মুখে হাত দিয়ে চলাফেরা করছেন।

স্তূপ করে রাখা হয়েছে বালুও

নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক শিক্ষক বলেন, ‘মাদরাসার সুপার ও ঠিকাদার ক্ষমতার অপব্যবহার করে মাদরাসা মাঠ দখল করে ঠিকাদারি ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছেন। অভিযোগ জানালেও তারা এতে কর্ণপাত করছেন না।’

একাধিক শিক্ষার্থী জানায়, নির্মাণসামগ্রী পরিবহনের জন্য ব্যবহৃত ট্রাকের শব্দে কিছু শোনা যায় না। পরীক্ষা শুরু হওয়ার ৩০ মিনিট আগে এসব কাজ বন্ধ করা হয়। এজন্য কেন্দ্র এসে স্বাচ্ছন্দ্যে চলাফেরাও করা যাচ্ছে না।

একাধিক অভিভাবক অভিযোগ করেন, পরীক্ষার কেন্দ্রর মাঠে পাথর ও বালু রেখে সম্পূর্ণ মাঠটি দখল করে ব্যক্তিগত ব্যবসা চলছে। এই পাথর ও বালুতে যেকোনো সময় পরীক্ষার্থীরা বড় ধরনের দুর্ঘটনার স্বীকার হতে পারে। দ্রুত এগুলো সরিয়ে নেওয়া অনুরোধ জানান তারা।

মোবাইল ফোনে এ বিষয়ে জানতে চাইলে ঠিকাদার বাদশা বার্তা২৪.কম-কে বলেন, ‘রাস্তার কিছু কাজ চলছে, সে জন্য বালু ও পাথরগুলো মাঠে রাখা হয়েছে। এক দিনেই এগুলো সরিয়ে নেওয়া হবে।’ তবে বালু ও পাথরের জন্য কেন্দ্রে পরীক্ষা চলাচলে বিঘ্ন ঘটার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি মোবাইল ফোন কেটে দেন।

ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে পরীক্ষার্থী ও শিক্ষকদের

এ বিষয়ে মাদরাসার অধ্যক্ষ ও হল সচিব হারুন অর রশিদ বার্তা২৪.কম-কে বলেন, ‘বিষয়টির জন্য আমি দুঃখিত। ঠিকাদার বাদশাকে গত বছরের ডিসেম্বরের ভেতরে মাঠে রাখা বালু ও পাথরগুলো সরিয়ে নেওয়ার বিষয়ে বললেও তিনি নেননি। আর এ জন্য পরীক্ষা কেন্দ্রে পরীক্ষা দিতে আসা পরীক্ষার্থীদের কিছুটা সমস্যা হচ্ছে।’

উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ভারপ্রাপ্ত) সেলিম মিঞা বার্তা২৪.কম-কে বলেন, ‘এই বালু ও পাথরের জন্য আমি গতকাল (সোমবার) পরীক্ষা কেন্দ্র পরিদর্শনের জন্য যেতে পারিনি। এ বিষয়ে কেন্দ্র সচিবের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেছেন- তার মাদরাসায় সাইক্লোন ভবন হবে। এ জন্য কিছু বলিনি। আজ আপনাদের মাধ্যমে জানতে পারলাম এগুলো ঠিকাদারের ব্যক্তিগত। এ বিষয়ে আমি ব্যবস্থা নেব।’

   

গড়াই নদীতে ডুবে যুবকের মৃত্যু



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুষ্টিয়া
ছবি প্রতীকী

ছবি প্রতীকী

  • Font increase
  • Font Decrease

কুষ্টিয়ার খোকসায় গড়াই নদীতে ডুবে সুমন (২০) নামে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে।

রোববার (৫ এপ্রিল) বিকেলে খোকসা উপজেলার গনেশপুর অংশে গড়াই নদী থেকে মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

মৃত সুমন কুমারখালী উপজেলার রাজাপুর গ্রামের নিজাম উদ্দিনের ছেলে।

খোকসা ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের ফায়ারম্যান হাবিবুর রহমান জানান, সকালের দিকে গড়াই নদীতে মাছ ধরতে যান সুমন। মাছ ধরার এক পর্যায়ে নদীতে ডুবে যান তিনি। বিকেলের দিকে স্থানীয়দের সহায়তায় তার মরদেহ উদ্ধার করে ফায়ার সার্ভিস।

;

কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে বজ্রপাতে কিশোরের মৃত্যু



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুমিল্লা
প্রতীকী ছবি

প্রতীকী ছবি

  • Font increase
  • Font Decrease

কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে ফুটবল খেলার সময় বজ্রপাতে সাফায়েত হোসেন (১৯) নামে একজনের মৃত্যু হয়েছে। এ সময় সালাউদ্দিন (২২) নামের আরেক যুবক গুরুতর আহত হন।

রোববার (৫ এপ্রিল) এই বিকেলে এই ঘটনা ঘটে। তাদের উদ্ধার করে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে লাকসামের একটি ক্লিনিকে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ওই কিশোরকে মৃত ঘোষণা করেন।

স্থানীয় সূত্র জানায়, উপজেলার আদ্রা দক্ষিণ ইউনিয়নের আটিয়াবাড়ি দক্ষিণপাড়া স্কুল বাড়ির আবদুল আউয়ালের ছেলে সাফায়াত হোসেন এদিন বিকেলে সহপাঠীদের সাথে পার্শ্ববর্তী ঘোড়াময়দান গ্রামের একটি মাঠে ফুটবল খেলতে যায়। বিকাল ৫টার দিকে খেলা চলা অবস্থায় আকস্মিক বজ্রপাতে সাফায়েতের পুরো শরীর ঝলসে যায়। তাৎক্ষনিকভাবে তাকে উদ্ধার করে লাকসামের একটি ক্লিনিকে নেয়া হলে সন্ধ্যায় কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

এছাড়া বজ্রপাতে ওই ঘোড়াময়দান গ্রামের নুরুল হকের ছেলে সালাউদ্দিন (২২) গুরুতর আহত হয়ে স্থানীয় একটি ক্লিনিকে চিকিৎসাধীন রয়েছে।

স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আবদুল ওহাব ঘটনার এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

;

লক্ষ্মী ভাইয়েরা বাসায় যান, নিজেসহ দেশকে বাঁচান



নাহিদ রেজা, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঠাকুরগাঁও
ওসি তানভিরুল ইসলাম।

ওসি তানভিরুল ইসলাম।

  • Font increase
  • Font Decrease

আমার লক্ষ্মী ভাইয়েরা দয়া করে বাইরে ঘোরাঘুরি না করে বাসায় যান। নিজে বাঁচেন, পরিবারকে বাঁচান, দেশকে বাঁচান। সচেতন হোন।

ঠিক এসব কথা বলে করোনাভাইরাস প্রতিরোধে জনগণকে সচেতন করছেন ঠাকুরগাঁও সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তানভিরুল ইসলাম। মাঠ পর্যায়ে গিয়ে এভাবে সচেতন করায় সাধুবাদ জানিয়েছে সাধারণ মানুষ।

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার রহিমানপুর ইউনিয়নের রেজাউল ইসলাম বলেন, ‘আমি ওষুধ কেনার জন্য স্থানীয় বাজারে এসেছিলাম। কিছুক্ষণ পর থানার একটি গাড়ি বাজারের সামনে এসে দাঁড়ায় এবং ওসি তানভিরুল সবাইকে বাসায় থাকার জন্য অনুরোধ করেন। এর আগে কখনো জনগণের সঙ্গে পুলিশের এমন ভালো আচরণ দেখি নাই।’

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার চৌড়াস্তা মোড়ে কথা হয় জয়নাল নামে এক পথচারীর সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘আমাদের জেলার পুলিশ সাধারণ জনগণের সঙ্গে ভালো ব্যবহার করছে। তাদের ভাই বলে বাসায় ফিরে যাওয়ার জন্য অনুরোধ করছে। ওসিসহ পুলিশের সদস্যরা নিজেদের কথা চিন্তা না করে আমাদের জন্য এ কাজটি করে যাচ্ছেন। তাদের ধন্যবাদ জানাই।’

স্থানীয় সাহাদত হোসেন নামে একজন বলেন,‘তানভিরুল ভাই একজন মানবিক পুলিশ অফিসার। তার জন্য শুভকামনা ও দোয়া রইল।’

ঠাকুরগাঁও সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তানভিরুল ইসলাম বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘করোনাভাইরাস নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। এ ভাইরাস প্রতিরোধে আমাদের সবাইকে সচেতন হতে হবে। সরকার যেসব দিক নির্দেশনা দিয়েছে সেগুলো মেনে চলতে হবে। জনগণের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার না করে তাদের সচেতন করা হচ্ছে। এতে কাজও হচ্ছে।’

;

ডিবি পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই, যুবক গ্রেফতার



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, নীলফামারী
গ্রেফতার আবেদ আলী।

গ্রেফতার আবেদ আলী।

  • Font increase
  • Font Decrease

নীলফামারীতে গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) উপপরিদর্শক পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই করার অপরাধে আবেদ আলী (২৮) নামে এক যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

রোববার (৫ এপ্রিল) বিকেলে নীলফামারী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমিনুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

আবেদ আলী সৈয়দপুর উপজেলার কাশিরাম বেলপুকুর ইউনিয়নের চওড়া গ্রামের খয়রাত হোসেনের ছেলে।

জানা গেছে, শনিবার (৪ এপ্রিল) দুপুরে জেলা সদরের কুন্দপুকুর ইউনিয়নের আঙ্গারপাড়া গ্রামে মোকছেদুল ইসলামসহ কয়েক যুবক মোবাইলে ভিডিও গেম খেলছিলেন। এ সময় আবেদ আলী নিজেকে সৈয়দপুর থানার ডিবি পুলিশের উপপরিদর্শক পরিচয় দিয়ে ওই যুবকদের কাছ থেকে মোবাইলটি নিয়ে যান। পরে এ বিষয়ে মোবাইলের মালিক মোকছেদুল ইসলাম সদর থানায় অভিযোগ করেন।

এরপর রোববার ভোরে আবেদ আলীর বাড়িতে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করা হয়। ওই সময় তার কাছ থেকে ছিনতাই কাজে ব্যবহৃত একটি খেলনা পিস্তল ও ওয়্যারলেস সেট, একাধিক মোবাইল সিম এবং দুটি পরিচয়পত্র জব্দ করে পুলিশ।

নীলফামারী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমিনুল ইসলাম জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ডিবি পুলিশের ভুয়া পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই করার সত্যতা স্বীকার করেছেন আবেদ আলী। এ ঘটনায় মামলা দায়ের করার পর আদালতের মাধ্যমে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

;