মিয়ানমার থেকে একদিনে এলো ১৬৩৪ মে. টন পেঁয়াজ

  • নুরুল হক, উপজেলা করেসপেন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, টেকনাফ (কক্সবাজার)
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

মিয়ানমার থেকে টেকনাফ বন্দরে আসা পেঁয়াজ, ছবি: বার্তা২৪.কম

মিয়ানমার থেকে টেকনাফ বন্দরে আসা পেঁয়াজ, ছবি: বার্তা২৪.কম

কক্সবাজারের টেকনাফ স্থলবন্দর দিয়ে মিয়ানমারের পেঁয়াজের আমদানি বাড়ছে। মাত্র একদিনেই বন্দরে এসেছে ১ হাজার ৬৩৪ মেট্রিক টন পেঁয়াজ। এর আগের দিন এসেছে ১ হাজার ১৭৭ মেট্রিক টন।

বৃহস্পতিবার (৬ ফেব্রুয়ারি) রাতে বিষয়টি নিশ্চিত করেন টেকনাফ স্থলবন্দর শুল্ক কর্মকর্তা মো. আবছার উদ্দিন।

বিজ্ঞাপন

তিনি বার্তা২৪.কম-কে বলেন, বৃহস্পতিবার মিয়ানমার থেকে স্থলবন্দর দিয়ে এলো ১ হাজার ৬৩৪ মেট্রিক টন পেঁয়াজ এবং আরও পেঁয়াজ ভর্তি ট্রলার আসার পথে রয়েছে। এসব ১৪ জন ব্যবসায়ী এসব পেঁয়াজ আমদানি করছেন। তাদের মধ্যে বেশি পেঁয়াজ আমদানি করেন ব্যবসায়ী এম এ হাশেম ও আব্দুল জব্বার। তারা ২৮৫ মেট্রিক টন করে পেঁয়াজ আমদানি করেন। এরপর রয়েছেন ব্যবসায়ী সজিব।

মিয়ানমার থেকে পেয়াঁজ আমদানি থেমে থেমে বাড়ছে। এখন বন্দর পেঁয়াজে সয়লাব হয়ে গেছে। তবে ট্রলার থেকে দ্রুত পেঁয়াজ খালাস করার জন্য আলাদা জেটির ব্যবস্থা করা হয়েছে।

বিজ্ঞাপন

শুল্ক বিভাগ সূত্র জানায়, চলতি ফেব্রুয়ারি মাসের ছয় দিনে মিয়ানমার থেকে পেঁয়াজ এসেছে ৭ হাজার ৫২৭ মেট্রিক টন। এর আগে জানুয়ারিতে এসেছে ১৫ হাজার ৭৬৫ মেট্রিক টন, ডিসেম্বরে ১৪ হাজার ৬৪৭ মেট্রিক টন, নভেম্বরে ২১ হাজার ৫৬০ মেট্রিক টন, অক্টোবরে ২০ হাজার ৮৪৩ মেট্রিক টন, সেপ্টেম্বরে ৩ হাজার ৫৭৩ মেট্রিক টন এবং আগস্টে ৮৪ মেট্রিক টন পেঁয়াজ আমদানি হয়েছিল।

ব্যবসায়ীরা জানান, চলতি অর্থ বছরে মিয়ানমার থেকে বিপুল পরিমাণে পেঁয়াজ এসেছে। তবে দেশে চাহিদার কারণে মিয়ানমারের পেঁয়াজের আমদানি বেড়ে চলছে। এসব পেঁয়াজ দেশের বিভিন্ন স্থানে সরবরাহ করছি। তবে পেঁয়াজ আমদানিতে ঝুঁকিও থাকে বেশি। কেননা পেঁয়াজ পচনশীল পণ্য।

টেকনাফ স্থলবন্দর ইউনাইটেড ল্যান্ড পোর্ট ব্যবস্থাপক মো. জসিম উদ্দীন চৌধুরী বলেন, মিয়ানমারের পেঁয়াজের আমদানি অব্যাহত রয়েছে। চাহিদার কারণে ব্যবসায়ীরা পেঁয়াজ আমদানি করছেন। এসব পেঁয়াজ দ্রুত সময়ে খালাস ও সরবরাহ করা হচ্ছে।