নাটোরে ৫০ লাখ টাকার মালামালসহ গ্রেফতার ৩

  • ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, নাটোর
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

নাটোরে আন্তঃজেলা ডাকাত দলের তিন সদস্য গ্রেফতার

নাটোরে আন্তঃজেলা ডাকাত দলের তিন সদস্য গ্রেফতার

নাটোরের নলডাঙ্গা বাজারে চার বস্ত্রালয়ে ডাকাতির ঘটনায় লুণ্ঠিত ৫০ লাখ টাকার মালামালসহ আন্তঃজেলা সংঘবদ্ধ ডাকাত দলের তিন সদস্যকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

শনিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে পুলিশ সুপারের কার্যালয় আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান জেলা পুলিশ সুপার লিটন কুমার সাহা।

বিজ্ঞাপন

গ্রেফতারকৃতরা হলেন, টাঙ্গাইল সদরের মহিষা গ্রামের সোহরাব হোসেনের ছেলে আব্বাস উদ্দিন (২৯), টাঙ্গাইল জেলার কালিহাতী থানার মালতি গ্রামের আজগর আলীর ছেলে আশরাফুল ইসলাম (২৮) এবং সিরাজগঞ্জ সদরের বনবাড়িয়া গ্রামের বাছির ব্যাপারীর স্ত্রী নাছিমা বেগম (৩২)। তাদের বিরুদ্ধে ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ, টাঙ্গাইল, সিরাজগঞ্জ, ময়মনসিংহ, কুমিল্লাসহ দেশের বিভিন্ন থানায় ডাকাতির মামলা রয়েছে। তাদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে লুণ্ঠিত ১২৯৯টি শাড়ি, ৬৩১টি লুঙ্গি ও ৭২২টি থ্রি পিস উদ্ধার করা হয়।

পুলিশ সুপার বলেন, গত ২২ জানুয়ারি রাতে নলডাঙ্গা বাজারের চারটি কাপড়ের দোকানে ডাকাতি সংঘটিত হয়। ডাকাতরা প্রথমে নৈশ প্রহরীদের হাত-পা বেঁধে মুখে স্কচটেপ লাগিয়ে একটি ঘরে বন্ধ করে রাখে। পরে ওই চারটি দোকানের সিসিটিভি এবং এর হার্ডডিস্ক খুলে নিয়ে ৪ কাপড়ের দোকানের ৭০ লাখ টাকার মালামাল ট্রাকে করে তুলে নিয়ে পালিয়ে যায়।

বিজ্ঞাপন

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আবুল হাসনাতের নেতৃত্বে পুলিশের একটি দল ঘটনার তদন্ত করে। এরই এক পর্যায়ে আধুনিক প্রযুক্তির সাহায্যে গত ৫ ফেব্রুয়ারি বগুড়ার নন্দীগ্রাম উপজেলার কড়ইহাট এলাকা থেকে ডাকাতির প্রস্তুতিকালে আব্বাস ও আশরাফকে আটক করে পুলিশ। জিজ্ঞাসাবাদে তারা নলডাঙ্গার ডাকাতির কথা স্বীকার করে। তাদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে প্রথমে সিরাজগঞ্জ থেকে নাছিমা বেগমকে পরে ঢাকা মহানগরীর শাহ আলী থানার শাহ আলী শপিং কমপ্লেক্সের বেনারসি শাড়ি হাউস থেকে নলডাঙ্গার লুণ্ঠিত ১২৯৯টি শাড়ি, ৬৩১টি লুঙ্গি ও ৭২২টি থ্রি পিস সহ বিভিন্ন ধরনের মালামাল উদ্ধার করে পুলিশ।

পুলিশ সুপার আরও জানান, ডাকাতির সঙ্গে সরাসরি সম্পৃক্ত না থাকলেও নাছিমা বেগম ডাকাতির মালামালগুলো নিজ জিম্মায় রেখেছিলেন। গ্রেফতারকৃতদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে ঘটনার সঙ্গে জড়িত আরও সাতজনকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।

সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আকরামুল ইসলাম, সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আবুল হাসনাত, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (হেড কোয়ার্টার) মীর আসাদুজ্জামান, সহকারী পুলিশ সুপার বড়াইগ্রাম সার্কেল হারুন-অর-রশিদ, নলডাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শফিক আহমেদ প্রমুখ।