নাটোরে থ্রি-হুইলার বিরোধী অভিযান, মহাসড়ক অবরোধ শ্রমিকদের
এক মাসে সড়ক দুর্ঘটনায় ৩ জনের মৃত্যুর ঘটনায় নাটোর-বগুড়া মহাসড়কে থ্রি-হুইলার চলাচল ঠেকাতে অভিযানে নেমে পরিবহন শ্রমিকদের অবরোধের মুখে পড়েছে সিংড়া থানা পুলিশ। এ সময় উত্তেজিত শ্রমিকরা প্রায় ৩০ মিনিট নাটোর-বগুড়া মহাসড়ক অবরোধ করে রাখে। এতে উত্তরাঞ্চলগামী বাস ও পণ্যবাহী ট্রাক আটকে যানজটের সৃষ্টি হয়। পরে সিংড়া থানার অফিসার ইনচার্জ নুর-এ-আলম সিদ্দিকী শ্রমিকদের সাথে কথা বলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন।
রোববার (৯ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে সাড়ে ১২টা থেকে ১টা পর্যন্ত নাটোর-বগুড়া মহাসড়কের সিংড়া বাজার এলাকায় অভিযানকালে এ ঘটনা ঘটে।
জানা যায়, রোববার দুপুরে নাটোর-বগুড়া মহাসড়কে বনপাড়া হাইওয়ে পুলিশের উপ-পরিদর্শক মোহাম্মদ ইসরাফিলের নেতৃত্বে অবৈধ থ্রি হুইলারের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালিত হয়। এ সময় কয়েকটি সিএনজি জব্দ করলে শ্রমিকরা মহাসড়ক অবরোধের চেষ্টা করে। পরে সিংড়া থানা পুলিশ, হাইওয়ে পুলিশ ও ট্রাফিক পুলিশ এক হয়ে শ্রমিকদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়। তবে মহাসড়কের পাশে শ্রমিকরা বিক্ষোভ চালিয়ে যায়।
পরিবহন শ্রমিকদের অভিযোগ, তারা বিভিন্ন এনজিও থেকে ঋণ নিয়ে সিএনজি কিনে নাটোর-বগুড়া মহাসড়কের সিংড়া বাজার বাসস্ট্যান্ড থেকে চৌগ্রাম-জামতলী পর্যন্ত গাড়ি চালান। হাইওয়ে পুলিশ মাঝে মাঝে অভিযান পরিচালনা করে গাড়ি জব্দ করে নিয়ে যায়। থানায় গিয়ে টাকা দিলে গাড়ি ছেড়ে দেয় পুলিশ।
সিএনজি মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক রঞ্জু মন্ডল বলেন, সিএনজি এই পথে সড়ক দুর্ঘটনার কারণ নয়। দ্রুতগতির ট্রাক-মাইক্রোবাসের কারণে প্রাণহানি ঘটে। সিএনজি চালানোর জন্য ফিডার রোড (সংযোগ সড়ক) না থাকায় তারা বাধ্য হয়ে মহাসড়কে গাড়ি চালান।
হাইওয়ে পুলিশের উপ-পরিদর্শক মোহাম্মদ ইসরাফিল বলেন, সম্প্রতি এ মহাসড়কে সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণহানি বেড়ে গেছে। আমরা দুর্ঘটনা রোধে আদালতের নির্দেশনা বাস্তবায়ন করছি মাত্র।
নাটোরের সিংড়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) নুর-এ-আলম সিদ্দিকী বলেন, দেশের সর্বোচ্চ আদালত মহাসড়কে থ্রি হুইলার চলাচল বন্ধে নির্দেশনা দিয়েছে বিধায় কোনো থ্রি হুইলার সিংড়ায় চলবে না। আদালতের নির্দেশ আমরা পালন করতে বাধ্য।
ওসি আরও বলেন, সিংড়ায় যদি থানা পুলিশ, হাইওয়ে পুলিশ অথবা ট্রাফিক পুলিশের কোনো সদস্য পরিবহন থেকে চাঁদা আদায় করে আর সেটা কেউ প্রমাণ দিতে পারে তাহলে তার পোশাক খুলে বাড়ি পাঠিয়ে দেবো।